আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
390 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (40 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। 

স্বপ্নে দেখলাম, আমি চাচির বাসায় দাওয়াত এ গিয়েছি।(যে বাসায় দাওয়াত খেতে যাই সেখানে,আমার চাচিরা এখন আর থাকেন না,বরং ভাড়া দেওয়া হয়েছে সেই ঘর।আর এই ঘরের নিচেই আমরা থাকি, এখনও আছি সেখানে)

 ওখানে অনেক মানুষ দেখেছি। তারপর দেখি,একটি মেয়ে এসে আমাকে ধরে তারপর, আমাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে দেয়। কিছু একটা আমি তার সম্পর্কে জেনে গিয়েছিলাম। (তবে জানিনা আমি কি জেনে ছিলাম ) আমাকে বার বার মেয়েটি বলছিল, আমার বিষয়ে কাউকে বলবে না।আমাকে জোর করে নুডুলস খাওয়ায়। তারপর আমাকে একা রেখে চলে যায়। (ওই রুমটা পুরোই অন্ধকার ছিল,কেউ আসছিলেন না) তারপর দেখি আমি হেটে হেটে রুমের একটু সামনে চলে যাই। দেখি একটা হিন্দু ছেলে আসে তারপর আমার সাথে কিছু করতে চাচ্ছিল,আমি ছেলেকে ধাক্কা দেই।আর আমার আম্মু, দাদি, চাচি সবাই চলে আসেন।পরে ছেলেটি চলে যায়। (নোট, ছেলেটি কে চিনি। আমাদের বাসার উপরের ভাড়াটিয়া) তারপর সবাই আমার শরীর থেকে রশিগুলো খুলেন। আমাকে বসান চেয়ারে। তারপর ওই মেয়েটি আসে আমাকে দেখে অবাক। অনেক ভয়ে ছিল মেয়েটি। আমার পাশে এসে বসে, আমার সাথে আমার আম্মু চাচিরাও ছিলেন। তারপর আমি বলছিলাম সবাইকে, আমাকে একটা মেয়ে এভাবে করেছে। নামটা পরে বলি। নাম বলার পর মেয়েটা টেবিলে ছুরি ছিল,ছুরি নেয় হাতে আমার সাথে ছোট চাচাত বোন ছিল ওকে নিয়ে আমি  আমার বড় চাচাত বোনের কাছে চলে আসি। বিছানায় বসে পরি, আপুর সাথে।তারপর মেয়েটি ছুরি নিয়ে আসছিল, আর কি জানি বলছিল আর হাসছিল।তারপর যখন কাছে আসে তখন আমি ছুরিটা হাত থেকে টেনে নিয়ে নেই। তারপর মেয়েটা পালাচ্ছিল আমরা ধরতে চাচ্ছিলাম মেয়েটাকে,কিন্তু পারলাম না। তারপর দেখি, আমার চাচাত ভাই বাড়ান্দা দিয়ে ছুরি দিয়ে মেয়েটিকে মারতে চাচ্ছিল।কিন্তু পারে নাই। তখনি দেখি, অনেক গুলো শিশু নিচে। খেলা করছিল হয়ত। (৫-৭ এই বছরের হবে) আমি, আমার চাচাত বোন, ভাই এটা ২ তালা থেকে দেখছিলাম। চারিদিকে অন্ধকার কেমন জানি পরিবেশ। হঠাৎ দেখি শিশুগুলো দাড়ানো থেকে মাঠিতে পরে মরে যাচ্ছে। একজন এর পর একজন মরতেই আসে। আমরা সবাই ভয় পাচ্ছিলাম খুব। তারপর ওই মেয়েটি দেখি আমাদের বাসায় আবার চলে আসে এবং বলে যে সে কিছু করবে না। আমাদের সাথে তাকে রাখার জন্য আমরা রাজি হই। তারপর দেখি, আম্মু এসে বলছেন,আমাদের পরিবারে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পরেছেন তাই দেখতে যেতে হবে। তারপর দেখি আমার পরিবারের পুরুষরা সবাই গাড়ি দিয়ে হাস্পাতালে যাচ্ছেন। তারপর দেখি বাড়ান্দার পাশে উপরে ট্রেনের রাস্তা ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার কথা বলছিলেন আম্মু। ( যারা অসুস্থ তাদের কে দেখতে যাওয়ার জন্য) তারপর আমি, আমার চাচাত বোন, আম্মু আমরা উপরের ট্রেন দিয়ে যাচ্ছিলাম। অল্প সময়ের মধ্যে পৌঁছে যাই। তারপর দেখি,ট্রেন এমন এক জায়গায় নেমেছে যা বলা মতো না! এত সুন্দর জায়গাটা! শীতকাল মনে হচ্ছিল। অনেক বড় নদী সমুদ্রের মতো। যা কখনও দেখি নাই। অনেক সুন্দর জায়গাটা।আমি তাকিয়ে ছিলাম খেয়াল করলাম আমার বুড়কা পরা নাই। মানুষ আশেপাশে ছিল।আমার হাতে চাদড় ছিল তা দিয়ে পুরো শরীর ডেকে দেই।  তারপর নদী পার হয়ে নৌকাতে উঠে পরি। তারপর ঘুম ভেঙে যায়।

1 Answer

0 votes
by (561,150 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছে 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا يُحِبُّهَا فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ اللَّهِ، فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ عَلَيْهَا، وَلْيُحَدِّثْ بِهَا، وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْرَهُ، فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ شَرِّهَا، وَلاَ يَذْكُرْهَا لأَحَدٍ، فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ ".

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, যেখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে, তাহলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এ জন্য আল্লাহর প্রশংসা করে এবং অন্যের কাছে তা বর্ণনা করে। আর যদি এর বিপরীত অপছন্দনীয় কিছু দেখে, তাহলে তা শয়তানের পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর ক্ষতি থেকে আল্লাহর আশ্রয় চায়। আর কারো কাছে যেন তা বর্ণনা না করে। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করবে না। ( বুুুখারী ৬৯৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫১৪)
,
উপরোক্ত হাদীসের আলোকে দুঃস্বপ্ন দেখলে আমাদের যা যা করতে হবেঃ
১) দুঃস্বপ্নের ক্ষতি ও অনিষ্ট থেকে আল্লাহ তাআলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। এভাবে সকল প্রকার ক্ষতি থেকে আল্লাহ তাআলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা উচিত।
২) শয়তানের অনিষ্ট ও কুমন্ত্রণা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। এবং এর জন্য আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম পড়তে হবে। কারণ, খারাপ স্বপ্ন শয়তানের কুপ্রভাবে হয়ে থাকে।
৩) ঘুম ভাঙার পর বাঁ দিকে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করতে হবে। এটা করতে হবে শয়তানের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ ও তার চক্রান্তকে অপমান করার জন্য।
৪) যে দিক ফিরে দুঃস্বপ্ন দেখেছে তা পরিবর্তন করে অন্য দিক ফিরে ঘুমাতে হবে। অবস্থাকে বদলে দেয়ার ইঙ্গিত স্বরূপ এটা করতে বলা হয়েছে।
৫) খারাপ স্বপ্ন দেখলে কারো কাছে বলা যাবে না। আর নিজেও এর ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি স্বপ্নে দুশমনের হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন,এটি আপনার জন্য ভালো বিষয়। তবে স্বপ্নটি ভয়ংকর ছিলো,তাই উপরোক্ত আমল করতে হবে।
আপনার সামনে শিশু বাচ্চাদের মারা যাওয়ার বিষয়টি বুঝায় যে আপন আমল বাড়িয়ে দিতে হবে,দান সদকাহ করবেন।
নেক ব্যাক্তিদের সাথে বেশি বেশি থাকার চেষ্টা করবেন।ইনশাআল্লাহ কোনো সমস্যা হবেনা।      


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...