আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
220 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম,

1) আমাদের সাথে থাকা ফেরেশতা (কেরমান কাতিবিন, ভাল চিন্তা দেয়া ফেরেশতা এবং প্রমুখ), কুপ্ররোচনা দেয়া সয়তান এবং শরীরে অনুপ্রবেশকারী জীন কি আমাদের মনের কথা বুঝতে পারে?

2) আল্লাহর ইচ্ছা কি পরিবর্তনশীল? এবং কুরআনে আল্লাহর দুইটি হাতের কথা উল্লেখ আছে, এক্ষেত্রে আমাদের আকিদা কিরূপ হওয়া উচিত।
3) সয়তান আমাদের শিরায় শিরায় বিচরণ করে। এক্ষেত্রে প্ররোচনা দেয়া ব্যতীত তাদের আর কোন ক্ষমতা আছে কি? (যেমন: মাথা ব্যথা তৈরি করা, কোন কিছু ভুলিয়ে দেয়া ইত্যাদি)অর্থাৎ আমাদের শরীরের অপর তাদের ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি।

(অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর বিভিন্ন যায়গায় সন্ধান করেছি তবে তা যথেষ্ট মনে হয় নি।কিছু ক্ষেত্রে উত্তর পায়নি। এই ওয়েবসাইটের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী আমি।)

1 Answer

0 votes
by (574,200 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عن صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَيٍّ -رضي الله عنها- قالت: «كان النبي -صلى الله عليه وسلم- مُعْتَكِفًا، فَأَتَيْتُهُ أَزُورُهُ ليلا، فَحَدَّثْتُهُ، ثمَّ قُمْتُ لِأَنْقَلِبَ، فقام معي لِيَقْلِبَنِي -وكان مسكنها في دار أُسَامَةَ بن زَيْدٍ-، فَمَرَّ رَجُلاَنِ من الأنصار، فلما رأيا رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أسرعا، فقال النبي -صلى الله عليه وسلم-: على رِسْلِكُمَا، إنها صَفِيَّةَ بِنْتُ حُيَيٍّ، فقالا: سبحان الله يا رسول الله، فقال: إن الشَّيْطَانَ يَجْرِي من ابن آدم مَجْرَى الدَّمِ، وإني خَشِيتُ أن يَقْذِفَ في قُلُوبِكُمَا شرا -أو قال شيئا-». وفي رواية: «أنها جاءَت تَزُورُهُ في اعْتِكَافِهِ في الْمَسْجِدِ، فِي العَشْرِ الأوَاخِرِ من رمضان، فتَحدَّثَتْ عنده ساعة، ثم قامت تَنقَلِبُ، فقام النبي -صلى الله عليه وسلم- معها يَقْلِبُهَا ، حتى إذا بَلَغَتْ باب المسجد عند باب أم سلمة...» ثم ذكره بمعناه

সাফিয়্যাহ বিনতে হুয়াই রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে মরফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ই‘তিকাফ অবস্থায় ছিলেন। আমি রাতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসলাম। অতঃপর তাঁর সঙ্গে কিছু কথা বললাম। অতঃপর আমি ফিরে আসার জন্য দাঁড়ালাম। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও আমাকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমার সঙ্গে উঠে দাঁড়ালেন। আর তাঁর বাসস্থান ছিল উসামাহ ইবন যায়েদর বাড়িতে। এ সময় দু’জন আনসারী সে স্থান দিয়ে অতিক্রম করল। তারা যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখল তখন তারা শীঘ্র চলে যেতে লাগল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা একটু থাম। এ হচ্ছে সাফিয়্যাহ বিনতে হুয়াই। তারা বললেন, সুবহানাল্লাহ! হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, মানুষের ভেতর রক্তের শিরায় শয়তান চলাচল করে। আমি শংকাবোধ করছিলাম যে, সে তোমাদের মনে কোন খারাপ ধারণা অথবা বললেন অন্য কিছু সৃষ্টি করে দেবে। অন্য বর্ণনায় এসেছে: একদা তিনি রমাযানের শেষ দশকে মসজিদে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খিদমতে উপস্থিত হন। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ই‘তিকাফরত ছিলেন। সাফিয়্যাহ তাঁর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন। অতঃপর ফিরে যাবার জন্য উঠে দাঁড়ান। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে উঠে দাঁড়ালেন। যখন তিনি (উম্মুল মুমিনীন) উম্মে সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহার গৃহ সংলগ্ন মসজিদের দরজা পর্যন্ত পৌঁছলেন...” অতঃপর অনুরূপ হাদীস উল্লেখ করেছেন।

সহীহুল বুখারী, পর্ব ৩৩: ইতিকাফ, অধ্যায় ৮, হাঃ ২০৩৫; মুসলিম, পর্ব ৩৯; সালাম, অধ্যায় ৯, হাঃ ২১৭৫
,
(০১)
হ্যাঁ, তারা আমাদের মনের কথা বুঝতে পারে।
,
(০২)
তাকদীরে মু'আল্লাকে যাহা আছে,সেটি পরিবর্তনশীল।
কিন্তু তাকদিরে মুবরামে যাহা আছে,সেটি পরিবর্তনশীল নয়।

বিস্তারিত জানুনঃ
,
আল্লাহর হাত রয়েছে,তবে কি রকম হাত? হাতের আকার কি রকম? তা আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

বিস্তারিত জানুনঃ   

(০৩)
শয়তান প্ররোচনা দেয়া ব্যতীত আমাদের মনে কুধারনা নিয়ে আসা,ইত্যাদির ক্ষমতা আছে।

তবে প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয় যেমন: মাথা ব্যথা তৈরি করা, কোন কিছু ভুলিয়ে দেয়া ইত্যাদির ক্ষমতা তার নেই।
,
 কুরআন শরিফ এ ইরশাদ হয়েছেঃ
 رَبِّ بِمَآ أَغْوَيْتَنِى لَأُزَيِّنَنَّ لَهُمْ فِى ٱلْأَرْضِ وَلَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ. إِلَّا عِبَادَكَ مِنْهُمُ ٱلْمُخْلَصِينَ

 “হে আমার প্রতিপালক! যেহেতু আপনি আমাকে ভ্রান্তপথে ঠেলে দিলেন, কাজেই আমিও পৃথিবীতে মানুষের কাছে পাপকাজকে অবশ্য অবশ্যই সুশোভিত করে দেখাব আর তাদের মধ্য থেকে আপনার একান্ত বান্দাগণ ছাড়া তাদের সবাইকে অবশ্য অবশ্যই বিভ্রান্ত করব।” [কুরআন ১৫:৩৯-৪০]


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
May Allah give you jannah.

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 228 views
...