আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
298 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
ধরি ক, খ দুজন ব্যক্তি এবং গ একটি প্রতিষ্ঠান। 'ক' 'খ' এর কাছে মিথ্যা বলার কারণে 'খ' এর মাধ্যমে 'গ' এর পাওনা হক নষ্ট হল। যা 'খ' জানতনা যে হক নষ্ট হচ্ছে। এখন এক পর্যায়ে এসে 'খ' জানতে পারে এই বিষয়টি। তারপর সে 'গ' এর হক দেওয়া শুরু করে।

এখন প্রশ্ন্ হচ্ছে

১। 'ক' এর মিথ্যা বলার কারণে 'খ' না জানার কারণে 'খ' এর মাধ্যমে এতদিন 'গ' এর যেই হক নষ্ট হয়েছে সেজন্য 'খ' কি কোনভাবে দায়ী থাকবে? নাকি সম্পূর্ণ দায় 'ক' এর?

২। 'খ' যদি দায়ী হয় সেক্ষেত্রে 'খ' কে কি  'ক' এর ভুলের কারণে পূর্বে না জেনে যে হক নষ্ট হয়েছে তা পূরণ করে দিতে হবে?

নাকি তাওবাই যথেষ্ট?

৩। যদি হক পূরণ করতে হয় সেক্ষেত্রে 'গ' এর এই হক পূরণ করতে গিয়ে 'ক' এবং 'খ' দুজনেরই যদি সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা থাকে সেক্ষেত্রে 'খ' কি এই হক 'গ' কে না জানিয়ে সেই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে সাদাকা করে দিলে হক আদায় হবে যেহেতু 'গ' প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারণে এর সাথে আরও অনেকের হক জড়িত?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


না জেনে করে থাকলে মাফ। কেননা শরীয়তে উযর বিল জাহালত ক্ষমাযোগ্য অপরাধ।

 আল্লাহ তা'আলা বলেন,
 ( رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا )
হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না।(সূরা বাকারা-২৮৬)

অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
 (وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا)
এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা আহযাব-৫)


রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)
,
(১.২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে খ এর গুনাহ হবেনা।
তবে তার দ্বারাই যেহেতু একটি প্রতিষ্ঠান এর হক নষ্ট হয়েছে,তাই সেই হক পূরনের জন্য তাকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সে ক কে বলে প্রতিষ্ঠান এর হক আদায়ের জন্য বাধ্য করবে।   
অথবা প্রতিষ্ঠানকে বিস্তারিত বলে দিবে।
,
(০৩)
অন্য কোনো ব্যাক্তির মাধ্যমে উক্ত প্রতিষ্ঠানে জমা দিবে। 
নতুবা উক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক একাউন্টে সেই পরিমান টাকা জমা দিবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...