যদি সেটি সেক্ষেত্রে বেঁচে যায়,তাহলে তাহা বিক্রয় করে টাকা দিয়ে গরিব ছাত্রদের খাবারের কাজে ব্যবহার করবে।
যেহেতু এটি যাকাত/মান্নতের চাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,তাই না জেনে সেই চাল বিক্রয় করে নির্মানের কাজ করা যাবেনা।
হ্যাঁ যদি আপনারা নিশ্চিত হোন যে সেটি যাকাত বা মান্নতের নয়,তাহলে নির্মান কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।
মিলাদের তাবারক খাওয়া হারাম নয়,তবে না খাওয়াই উত্তম।
আরো জানুনঃ
ওরশে তৈরীকৃত খাবার যদি পশু গোস্ত দ্বারা হয়,এবং উক্ত পশুকে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ব্যতীত অন্য কারো নৈকট্য অর্জনের বা সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে জবাই করা হয়,তাহলে বিসমিল্লাহ বলে জবাই করার পরও উক্ত খাবার জায়েয হবে না।কেননা এখানে আল্লাহ ব্যতীত ভিন্ন কারো সম্মানে জবাই করা হয়েছে,যা স্পষ্টত হারাম ও নাজায়েয।যেমনটা মুফতী শফী রাহ মা'রিফুল কুরআন গ্রন্থে নিম্নোক্ত আয়াতের ব্যখ্যায় উল্লেখ করেছেন।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةَ وَالدَّمَ وَلَحْمَ الْخِنزِيرِ وَمَا أُهِلَّ بِهِ لِغَيْرِ اللّهِ فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلاَ عَادٍ فَلا إِثْمَ عَلَيْهِ إِنَّ اللّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
তিনি তোমাদের উপর হারাম করেছেন, মৃত জীব, রক্ত, শুকর মাংস এবং সেসব জীব-জন্তু যা আল্লাহ ব্যাতীত অপর কারো নামে উৎসর্গ করা হয়। অবশ্য যে লোক অনন্যোপায় হয়ে পড়ে এবং নাফরমানী ও সীমালঙ্ঘনকারী না হয়, তার জন্য কোন পাপ নেই। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহান ক্ষমাশীল, অত্যন্ত দয়ালু।(সূরা বাকারা-১৭৩)
তবে যদি আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের নিমিত্তেই জবাই করা হয়ে থাকে,কিংবা খাবার/শিরণি গোস্ত ব্যতীত ভিন্ন কিছু হয়,তাহলে বিদ'আতিদের তৈরী এমন খাবার ভক্ষণ/গ্রহণ করা যদিও হালাল।তবে এসব খাবার ভক্ষণ/গোহণ করা বা তাদের অনুষ্টানে অংশগ্রহণ করা কখনো উচিৎ হবে না।
আরো জানুনঃ
ওরশের খাবার মান্নতের হলে বিধান জানুনঃ
,
(০৩)
শরীয়াহর নিয়মনীতি মেনে তাদের সাথে শেয়ারে ব্যবসা করা যাবে।
(০৪)
হ্যাঁ, এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
,
(০৫)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ أُبَيٍّ لَمَّا تُوُفِّيَ جَاءَ ابْنُهُ إِلَى النَّبِيِّ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَعْطِنِي قَمِيصَكَ أُكَفِّنْهُ فِيهِ وَصَلِّ عَلَيْهِ وَاسْتَغْفِرْ لَهُ فَأَعْطَاهُ النَّبِيُّ قَمِيصَهُ فَقَالَ آذِنِّي أُصَلِّي عَلَيْهِ فَآذَنَهُ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يُصَلِّيَ عَلَيْهِ جَذَبَهُ عُمَرُ فَقَالَ أَلَيْسَ اللهُ نَهَاكَ أَنْ تُصَلِّيَ عَلَى الْمُنَافِقِينَ فَقَالَ أَنَا بَيْنَ خِيَرَتَيْنِ قَالَ : {اسْتَغْفِرْ لَهُمْ أَوْ لاَ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ إِنْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ سَبْعِينَ مَرَّةً فَلَنْ يَغْفِرَ اللهُ لَهُمْ} فَصَلَّى عَلَيْهِ فَنَزَلَتْ {وَلاَ تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلاَ تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ}
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু উবাই (মুনাফিক সর্দার)-এর মৃত্যু হলে তার পুত্র (যিনি সাহাবী ছিলেন) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললেন, আপনার জামাটি আমাকে দান করুন। আমি সেটা দিয়ে আমার পিতার কাফন পরাতে ইচ্ছা করি। আর আপনি তার জানাযা পড়বেন এবং তার জন্য মাগফিরাত কামনা করবেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের জামাটি তাঁকে দিয়ে দিলেন এবং বললেনঃ আমাকে খবর দিও, আমি তার জানাযা আদায় করব। তিনি তাঁকে খবর দিলেন। যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জানাযা আদায়ের ইচ্ছা করলেন, তখন ‘উমার (রাঃ) তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বললেন, আল্লাহ্ কি আপনাকে মুনাফিকদের জানাযা আদায় করতে নিষেধ করেননি? তিনি বললেনঃ আমাকে তো দু’টির মধ্যে কোন একটি করার ইখ্তিয়ার দেয়া হয়েছে। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেছেনঃ (যার অর্থ) ‘‘আপনি তাদের (মুনাফিকদের) জন্য মাগফিরাত কামনা করুন বা মাগফিরাত কামনা না-ই করুন (একই কথা) আপনি যদি সত্তর বারও তাদের জন্য মাগফিরাত কামনা করেন; কখনো আল্লাহ্ তাদের ক্ষমা করবেন না-’’ (আত তাওবাহঃ ৮০)। কাজেই তিনি তার জানাযা পড়লেন, অতঃপর নাযিল হলঃ (যার অর্থ) ‘‘তাদের কেউ মৃত্যুবরণ করলে আপনি তাদের জানাযা কক্ষণও আদায় করবেন না।’’( আত তাওবাহঃ ৮৪) ( বুখারী শরীফ ১২৬৯.৪৬৭০, ৪৬৭২, ৫৭৯৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৯৫)