ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী, কাগজ শুকাবেন।এবং পলিথিন ধৌত করবেন।
(২)
তাহলে শুকিয়ে নিবেন।
(৩)
সবার জন্য একই বিধান।
(৪)
একই বিধান হবে।
(৫)
ব্যবহৃত পানি নাপাক নয়।হ্যা সেই পানি কাউকে পবিত্র করতে পারে না।
হযরত আবু উমামা বাহিলি রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ الْمَاءَ لَا يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ، إِلَّا مَا غَلَبَ عَلَى رِيحِهِ وَطَعْمِهِ وَلَوْنِهِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,পানি মূলত পবিত্র।তাকে কোনো জিনিষ নাপাক করতে পারে না।তবে পানির গন্ধ, স্বাদ ও রং পরিবর্তন হয়ে গেলে সে পানি জায়েয হবে না।(সুনানু ইবনি মা'জা-৫২১)
পানিকে ব্যবহার করার পর যে পানি শরীর থেকে ছিটকে পড়ে যায় তাকে ব্যবহৃত পানি বলে।ব্যবহৃত পানি পবিত্র যদিও সেই কাউকে পবিত্র বানাতে পারে না।
والثالث طاهر غير مطهر وهو ما استعمل لرفع حدث أو
لقربه كالوضوء على الوضوء بنيته ويصير الماء مستعملا بمجرد انفصاله عن الجسد
পানি সর্বমোট পাঁচ প্রকার।এর মধ্যে তৃতীয় প্রকার পানী হলো,যা নিজে পবিত্র তবে অন্যকে পবিত্র করতে পারে না। সেটা হল ঐ পানী যা অপবিত্রতাকে দূর করার জন্য ব্যবহার করা হয়।বা নেকী অর্জনের জন্য ব্যবহার করা হয়,যেমন ওযুর থাকাবস্থায় ওযুর করার ব্যবহৃত পানি।
পানি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া মাত্রই তা ব্যবহৃত পানি হিসেবে গণ্য হয়ে যাবে।(মারাক্বিল ফালাহ-১/১৪)
ইবনুল মুনযির রাহ বলেন,
"وَفِي إِجْمَاعِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ النَّدَى الْبَاقِي عَلَى أَعْضَاءِ الْمُتَوَضِّئِ وَالْمُغْتَسِلِ وَمَا قَطَرَ مِنْهُ عَلَى ثِيَابِهِمَا طَاهِرٌ : دَلِيلٌ عَلَى طَهَارَةِ الْمَاءِ الْمُسْتَعْمَلَِ"
অজু কারী এবং গোসল কারীর শরীরে যে পানি বাকী থাকে এবং যা টপকে টপকে কাপড়ে পড়ে,সেটা পবিত্র হওয়ার ব্যপারে সমস্ত উলামায়ে কেরামের ইজমা রয়েছে।এটা প্রমাণ করে যে ব্যবহৃত পানি পবিত্র। সুতরাং সেটা পবিত্রতাকে বিনষ্ট করবে না।(আল-আউসাত ফিস-সুনানি ওয়াল ইজমায়ি ওয়াল-ইখতেলাফি-১/২৮৮)