বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
যদি পূর্ব থেকে ঋণের বিপরীতে অতিরিক্ত ঋণ প্রদাণের কোনো শর্ত থাকে, তাহলে আপনার জন্য ঐ অতিরিক্ত দেওয়া জায়েয হবে না।আর যদি অতিরিক্ত প্রদাণের কোনো শর্ত না থাকে, তাহলে আপনি তা দিতে পারবেন।
(২)
জ্বী, আপনি সবগুলো নিয়তেই এই টাকা দিতে পারবেন।
(৩)
একজন মানুষ দৈনিক যত টাকাই উপার্জন করুক না কেন বৎসর শেষে যদি যাকাতের নিসাব পরিমান সম্পদ তার নিকট না থাকে তাহলে তার উপর জাকাত ফরয হবে না।
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُول اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا زَكَاةَ فِي مَالٍ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ»
হযরত আয়েশা রা থেকে বর্ণিতঃনবী কারীম সাঃ বলেনঃ-সম্পত্তিতে কোনো যাকাত নেই যতক্ষণ না এক বৎসর পূর্ণ হবে।(সুনানে ইবনে মাজা-১৭৯২)
عَنْ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ اسْتَفَادَ مَالًا فَلَا زَكَاةَ عَلَيْهِ، حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الحَوْلُ عِنْدَ رَبِّهِ»
হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত নবী কারীম সাঃ বলেনঃ- বৎসরের মধ্যখানে অর্জিত সম্পদে জাকাত আসবেনা যতক্ষণ না মালিকের পূর্ণ সম্পত্তির একবৎসর পূর্ণ হবে।(জামে তিরমিযি-৬৩১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার নিকট যদি নেসাব পরিমাণ মাল থাকে,তাহলে সে মালে যতক্ষণ না এক বৎসর অতিবাহিত হবে,তাতে যাকাত ফরয হবে না।এক বৎসর অতিবাহিত হওয়ার পরই যাকাত ওয়াজিব হবে। নিজের নিকট থাকা প্রত্যেক মালে এক বৎসর অতিবাহিত হওয়া জরুরী নয়।বরং সামষ্টিকভাবে অারবী এক বৎসর অতিবাহিত হয়ে গেলে যাকাত আদায় হবে।এর জন্য এক রমজান থেকে আরেক রমজান গণনা করা যাবে।
(৪) বৎসর থেকে যেমন আরবী মাস সমূহের রমজানে যদি আপনার মায়ের নিকট নেসাব পরিমাণ স্বর্ণালংকার থাকে, এবং তা অচিরেই খরচ হওয়ার কোনো সম্ভবাবনা না থাকে,তাহলে এই স্বর্ণাক্ষরের যাকাত আদায় করা যাবে।
(৫)
আপনার এ প্রশ্নটি অস্পষ্ট।সুতরাং আপনি স্পষ্ট করে কমেন্টে উল্লেখ করবেন।