ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
বিয়ের কোনো বয়স নাই, বিয়ের ক্ষেত্রে কোনো মানবতার প্রশ্নও নেই।বিয়ে মূলত যৌন উপভোগ করার জন্য নয় বরং ঈমান হেফাজত এবং বংশবৃদ্ধি তথা উম্মতে মুহাম্মদির আধিক্য স্থাপনের জন্যই বিয়ের বিধান দেয়া হয়েছে। আবু বকর রাযি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে উত্তম কাউকে পাবেন না বলে তিনি প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন।
রাসূলুল্লাহ সাঃ বাল্য বিয়ে যে শরীয়তে জায়েয সেটা বুঝানোর জন্যই উক্ত বিয়ে করেছেন।
(২)
সম্ভবত আপনি কা'ব ইবনে আশরাফের কথা বলছেন।কা'ব ইবনে আশরাফ তখন নিরিহ ছিল না।সে ধনাট্য এবং প্রাচীর বেষ্টিত এলাকার বাসিন্দা ছিল। তাছাড়া মহান রব্বে কারীম সর্বদা নিজ কুদরতকে প্রদর্শন করেন না।কেননা আল্লাহ দুনিয়াতে মানুষকে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন।যদি সর্বদা কুদরতকে দেখান যেমন বদর উহুদ ইত্যাদি যুদ্ধে দেখিয়েছেন,নিরস্ত্র কতিপয় ব্যক্তিবর্গ আধুনিক সমরাস্ত্র সম্ভলিত ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে বিজয় দিয়েছেন, তাহলে মানুষকে পরীক্ষা করা হল না। তাছাড়া নবীকে গালিগালাজ করলে পৃথিবী আলো বাতাস ঐ ব্যক্তির জন্য হারাম হয়ে যায়। সেজন্য রাসূল সাঃ কৌশলে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।তাছাড়া এতে যুদ্ধের রীতিনীতিকে শিক্ষা দেয়া হয়েছে।কেননা রীতিনীতির মধ্যে একটা নীতি হল, সুকৌশলে বিরুদ্ধবাদীদের উপর বিজয় লাভ করা।
(৩)
এটা ইসলামের প্রতি মিথ্যা অভিযোগ। মুসলমানরা কখনো কোনো নারী শিশুর উপর কখনো হামলা করেননি।
(৪)
https://www.ifatwa.info/5229 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
প্রকৃত সত্য এই যে,অনেক অবস্থায় বন্দীদেরকে দাসে পরিণত করার চাইতে উত্তম কোন পথ থাকে না।দাসে পরিণত না করা হলে যৌক্তিক দিক দিয়ে তিন অবস্থাই সম্ভবপর--হয় হত্যা করা হবে,না হয় মুক্ত ছেড়ে দেয়া হবে,না হয় যাবজ্জীবন বন্দী করে রাখা হবে।প্রায়ই এই তিন অবস্থা উপযোগিতার পরিপন্থী হয়।কোন কোন বন্দী উন্নত প্রতিভার অধিকারী হয়ে থাকে,এ কারণে হত্যা করা সমীচীন হয় না।মুক্ত ছেড়ে দিলে অনেক ক্ষেত্রেই এমন আশংকা থাকে যে,স্বদেশে পৌছে সে মুসলমানদের জন্য পূনরায় বিপদ হয়ে দাঁড়াবে।এখন এই দুই অবস্থাই অবশিষ্ট থাকে।হয় তাকে যাবজ্জীবন বন্দী রেখে আজকালকার মত কোন বিচ্ছিন্ন দ্বীপে আটক রাখা,না হয় তাকে দাসে পরিণত করে তার প্রতিভাকে কাজে লাগানো এবং তার মানবিক অধিকারগুলোরও পুরোপুরি প্রদান করা।
চিন্তা করলে প্রত্যেকেই বুঝতে পারে যে,এতদুভয়ের মধ্যে উত্তম ব্যবস্থা কোনটি?
বিশেষতঃ দাসদের সম্পর্কে ইসলামের যে দৃষ্টিভঙ্গি তার পরিপ্রেক্ষিতে এটা বোঝা আরও সহজ। দাসদের সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি রসূলে করীম সাঃ নিম্নরূপ ভাষায় ব্যক্ত করেছেনঃ
"তোমাদের দাসেরা তোমাদের ভাই। আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের অধীনস্থ করে দিয়েছেন। এতএব,যার ভাই তার অধীনস্থ হয়,সে যেন তাকে তাই খাওয়ায় যা সে নিজে খায়। তাই পরিধান করায় যা সে নিজে পরিধান করে। এবং তাকে যেন এমন কাজের ভার না দেয় যা তার জন্য অসহনীয় হয়। যদি এমন কাজের ভার দিতেই হয়, তবে যেন সে নিজেও তাকে সাহায্য করে।"(বুখারী -মুসলিম-আবু-দাউদ)(শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু কখনো কখনো দাস দাসী বানানোর ব্যতিত আর কোনো রাস্তা বাকী থাকে না। তাই রাসূলুল্লাহ সাঃ দাস/ দাসী রাখাতে সম্মতি দিয়েছেন। এবং বৈধতার প্রমাণ স্বরুপ নিজেও বাদী গ্রহণ করেছেন।
(৫)
যুদ্ধবন্ধীদেরকে হত্যা না করে দাস বানিয়ে রাখা মূলত তাদের প্রতি এহসান করা। এবং নারী হলে তার জৈবিক চাহিদা পূরণ করাও তাদের প্রতি এহসান করা।কেননা নারী যখন সন্তানের মা হয়ে যাবে, তখন এই নারীকে আর ঐ মালিক কখনো বিক্রি করতে পারবে না।