আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
735 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (23 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম
 শায়েখ ২টা জরুরি মাসআলা জানার প্রয়োজন ছিল,,

(১)বর্তমানে যারা (মেয়েরা) নার্সিং পরে/নার্সিং পেশা((জব করে সরকারী/বেসরকারি)) যাদের,তাদের এই পেশাটা কতটুকু শরিয়ত সম্মত??
(২)স্বামী প্রতিষ্ঠিত(পরিবার চালানোর সক্ষমতা তার আছে) থাকা সত্ত্বেও কোন স্ত্রী কি জব করতে পারবে??

বিষয়টা ব্যাখ্যা স্বরূপ
অর্থাৎ পৃথিবীতে অনেক বিদ্যাই রয়েছে তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য চিকিৎসা বিদ্যা অর্থাৎ কোন মেয়ে যদি চিকিৎসা  বিদ্যা অর্জন করে যেমন- ডাক্তার,,নার্সিং,,মিডওয়াইফারি ইত্যাদি এবং সে মানুষের সেবার উদ্দেশ্যে (কোন সরকারি অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান) কাজ করে এতে কি তার গুনাহ হবে শরীয়ত কি তাকে এই কাজের অনুমতি দিবে??
এটা সবারই বোধগম্য যে, বর্তমানে পরিপুর্ণ পর্দা রক্ষা করে এটা করা সম্ভব না তবে যদি আমরা আলেম ওলামারা অন্য দিকে তাকাই যে আমাদের (আলেমদের/যারা পর্দা করে চলে) পরিবারের কোনো "মহিলা" সদস্যকে যদি কখনো হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হয় আমরা কিন্তু তখন একজন মেয়ে ডাক্তার বা নার্সকেই খুজি,আমাদের পরিবারের লোকজনদের পর্দার কথা চিন্তা করে।। এখন যদি আমরা বলি যে পরিপূর্ণ পর্দা না করা হলে (অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে) এই প্রফেশনটা জায়েজ হবে না তাহলেতো আমরাও আমাদের পরিবারকে পরিপূর্ণ পর্দা সহকারে কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারবো না বাধ্য হয়ে পুরুষ দ্বারা চিকিৎসা নিতে হবে যেটা আরো মারাত্মক!!
এবং তখন গণহারে পুরুষরাই মেয়েদেরকে ট্রিটমেন্ট দিয়ে যাবে যেটা সমাজের জন্য আরও ক্ষতিকারক!
এই বিষয় যদি একটু বিস্তারিত বলতেন
closed

1 Answer

–1 vote
by (58,830 points)
selected by
 
Best answer


بسم الله الرحمن الرحيم

 

জবাব,

আল্লাহ তা'আলা বলেন, 


 

وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى وَأَقِمْنَ الصَّلَاةَ وَآتِينَ الزَّكَاةَ وَأَطِعْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا

তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে।(সূরা আহযাব-৩৩)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,

 

الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ ، وَإِنَّهَا إِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ ، وَإِنَّهَا لا تَكُونُ أَقْرَبَ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا فِي قَعْرِ بَيْتِهَا

নারী গোপন জিনিস, যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে তাড়া করে। আর সে আল্লাহ তাআলার সবচে’ নিকটতম তখন হয় যখন সে নিজের ঘরের মাঝে লুকিয়ে থাকে।’ (তাবরানী ২৯৭৪)

নারী মসজিদে যাওয়ার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,وَبُيُوتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ তাদের জন্য তাদের ঘর উত্তম।’ (আবু দাউদ ৫৬৭)

শরয়ী পর্দা ও বিধান অনুসরণ করে মহিলাদের ব্যবসা বাণিজ্য ও চাকুরী করাতে কোন নিষেধাজ্ঞা আসেনি। তা’ই শরয়ী কোন কারণ ছাড়া মহিলাদের ব্যবসা করা ও চাকুরী করাকে হারাম বলার সুযোগ নেই।

-তাবয়ীনুল হাকায়েক ৬/১১৭; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৫৫; আলবাহরুর রায়েক ১/২০০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৮, ফিকহুন নাওয়াযিল ৩/৩৫৯

 

মোটকথা ,নারী চাকরির খাতিরে ঘর থেকে বের হতে পারবে। তবে এর জন্য কিছু নিয়ম ও শর্ত রয়েছে। নিয়ম ও শর্তগুলো মেনে চললে নারীর জন্য ঘর থেকে বের হওয়া জায়েয হবে; অন্যথায় নয়।

যেমন,– যদি সত্যিকারে তার চাকরি করার প্রয়োজন দেখা দেয় তাহলে তার জন্য চাকরি করা জায়েয হবে।

– চাকরিটা তার দৈহিক, মানসিক স্বভাব ও রুচির সঙ্গে সামন্জস্যশীল হতে হবে। যেমন, ডাক্তারি, নার্সিং, শিক্ষা, সেলাই কিংবা এ জাতীয় পেশা হতে হবে।

– কর্মক্ষেত্রে পর্দার পরিপূর্ণ পরিবেশ থাকতে হবে। অন্যথায় জায়েয হবে না।

– চাকরির কারণে যাতে পরপুরুষের সঙ্গে সফর করতে না হয়।

– কর্মক্ষেত্রে আসা-যাওয়ার পথে যাতে কোন হারাম কাজ করতে না হয়। যেমন, ড্রাইভারের সঙ্গে একাকী যাওয়া, পারফিউম ব্যবহার করা ইত্যাদি।

– নারীর প্রধান কাজ ও দায়িত্ব হচ্ছে স্বামীর খেদমত করা, তার সন্তুষ্টি অন্বেষণ করা ও মাতৃত্বের দায়িত্ব পালন করা। যদি চাকরি করতে গিয়ে এসব দায়িত্ব পালনে ব্যাপক অসুবিধা হয় তাহলে তার জন্য চাকরি করা জায়েয হবে না। (ফাতাওয়াল মারআতিল মুসলিমাহ ২/৯৮১ ফিকহুন নাওয়াযিল ৩/৩৫৯)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!

মহিলাদের জন্য পর্দা রক্ষা করে ব্যবসা বাণিজ্য ও চাকুরী করা জায়েজ আছে। তবে এক্ষেত্রে যেন পর্দা লঙ্ঘণ না হয়, সেই সাথে শরয়ী অন্য কোন বিধান লঙ্ঘিত না হয়, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

হ্যাঁ, যদি উপার্জনক্ষম কোন মাহরাম আত্মীয় থাকে, বা অভিভাবক থাকে, তাহলে মহিলাদের জন্য ব্যবসা ও চাকরীর জন্য বাহিরে যাওয়া উচিত নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...