আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
253 views
in পবিত্রতা (Purity) by (65 points)
edited by
কারো হাত ভেঙে গেলে পুরো হাতে প্লাস্টার করলে হাত নারা চারা করা যায় না। সেক্ষেত্রে ওজু কিভাবে করবে হাত তো নারা যায় না।তায়াম্মুম করলে প্লাস্টারের উপর দিয়ে মাসাহ করলে অজু হবে কি?    এক হাত খোলা থাকার কারনে সেই হাত দিয়েই কি পুরো তায়াম্মুম করবে? পট্টির উপর মাসাহ করালে পানি তো প্লাস্টারকে ভিজিয়ে দিবে।তাছাড়া রোগীর জন্য হাত নাড়ানো পানি ঢালা সম্ভব না। তবে কিভাবে নামাজের আগে পবিত্রতা অর্জন করবে?


দুই হায়েজের মধ্যবর্তী পাক থাকার সময় কতোদিন?আর সময় গননা হবে কবে থেকে গত মাসের হায়েজ শুরুর দিন থেকে নাকি হায়েজ শেষ হয়েছে যেদিন থেকে সেদিন থেকে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/6410 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
অজুতে তিনবার ধৌত করা অর্থ হল, প্রত্যেক ধৌত করার অঙ্গ সমূহকে নতুন পানি দ্বারা তিনবার ধৌত করা উদ্দেশ্য।
ওজুর নিয়মঃ-ওজুর কিছু ফরয(অত্যাবশ্যকীয় পালনীয়)  রয়েছে এবং কিছু সুন্নাত(অত্যাবশ্যকীয় নয় তবে সচরাচর রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে প্রমাণিত) এবং কিছু মুস্তাহাব(উত্তম ও ভালো)। এবং কিছু মাকরুহ রয়েছে যা বর্জনীয়।
ওজুর ফরয চারটি যথাঃ-
(১)
চুলের গুড়া থেকে তুথনীর নিচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে অন্য কানের লতি পর্যন্ত সমস্ত মূখ ধৌত করা।
(২)
দুনু হাত কনুই সহ ধৌত করা।
(৩)
দুনু পা টাখনু সহ ধৌত করা।
(৪)
মাথার এক চতুর্তাংশ মাসেহ করা।

ওজুর সুন্নাত ১৮ টি।
(১)কব্জি সহ দুনু হাত ধৌত করা।
(২)প্রথমে বিসমিল্লাহ বলা।
(৩)প্রথমে মিসওয়াক করা।
মিসওয়াক না থাকলে আঙ্গুল দিয়ে দাত পরিস্কার করা।
(৪)গড়গড়া করে কুল্লি করা যদিও এক চিল্লু পানি দ্বারা হয়।
(৫)তিন চিল্লু পানি দ্বারা নাক পরিস্কার করা।
(৬-৭)রোজাদার না হলে ভালভাবে কুল্লি ও নাকে পানি দেওয়া।
(৮)ঘন দাড়ি হলে নিচের দিক থেকে এক চিল্লু পানি দ্বারা দাড়িকে খিলাল করা।
(৯)আঙ্গুল সমূহকে খিলাল করা।
(১০)প্রত্যেকটা ধৌতকে তিনবার করে ধৌত করা।
(১১)সমস্ত মাথা একবার মাসেহ করা।
(১২)দুনু কান মাসেহ করা যদিও মাথা মাসেহের পানি দ্বারা হয়।
(১৩)প্রতিটা অঙ্গকে মলা।
(১৪)এক অঙ্গ অপর অঙ্গর অভ্যাহতির পর ধৌত করা।
(১৫)নিয়্যাত করা
(১৬)কোরআনে বর্ণিত ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।
(১৭)আঙ্গুলের মাথা, মাথার অগ্রভাগ  সহ প্রত্যেকটা অঙ্গের ডান দিক থেকে শুরু করা।
(১৮)গর্দনা মাসেহ করা(হলক্বুম ব্যতীত)।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ভাঙ্গা হাতকে ধৌত করা ব্যতিত অজুর অন্যান্য ফরয আদায় করতে হবে।এবং ভাঙ্গা হাতে উপর মাসেহ করতে হবে।যতটুকু নাড়ানো সম্ভব  ততটুকু নাড়িয়ে ততটুকু অংশ মাসেহ করে নিলেই অজু হয়ে যাবে।তায়াম্মম করা যাবে না।


দুই হায়েজের মধ্যবর্তী পাক থাকার সর্বনিম্ন সময় ১৫ দিন।
হায়েজ যেদিন শেষ হবে,সে দিন থেকে গণনা করা হবে।




(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...