ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
জবাবঃ-
অজুতে তিনবার ধৌত করা অর্থ হল, প্রত্যেক ধৌত করার অঙ্গ সমূহকে নতুন পানি দ্বারা তিনবার ধৌত করা উদ্দেশ্য।
ওজুর নিয়মঃ-ওজুর কিছু ফরয(অত্যাবশ্যকীয় পালনীয়) রয়েছে এবং কিছু সুন্নাত(অত্যাবশ্যকীয় নয় তবে সচরাচর রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে প্রমাণিত) এবং কিছু মুস্তাহাব(উত্তম ও ভালো)। এবং কিছু মাকরুহ রয়েছে যা বর্জনীয়।
ওজুর ফরয চারটি যথাঃ-
(১)
চুলের গুড়া থেকে তুথনীর নিচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে অন্য কানের লতি পর্যন্ত সমস্ত মূখ ধৌত করা।
(২)
দুনু হাত কনুই সহ ধৌত করা।
(৩)
দুনু পা টাখনু সহ ধৌত করা।
(৪)
মাথার এক চতুর্তাংশ মাসেহ করা।
ওজুর সুন্নাত ১৮ টি।
(১)কব্জি সহ দুনু হাত ধৌত করা।
(২)প্রথমে বিসমিল্লাহ বলা।
(৩)প্রথমে মিসওয়াক করা।
মিসওয়াক না থাকলে আঙ্গুল দিয়ে দাত পরিস্কার করা।
(৪)গড়গড়া করে কুল্লি করা যদিও এক চিল্লু পানি দ্বারা হয়।
(৫)তিন চিল্লু পানি দ্বারা নাক পরিস্কার করা।
(৬-৭)রোজাদার না হলে ভালভাবে কুল্লি ও নাকে পানি দেওয়া।
(৮)ঘন দাড়ি হলে নিচের দিক থেকে এক চিল্লু পানি দ্বারা দাড়িকে খিলাল করা।
(৯)আঙ্গুল সমূহকে খিলাল করা।
(১০)প্রত্যেকটা ধৌতকে তিনবার করে ধৌত করা।
(১১)সমস্ত মাথা একবার মাসেহ করা।
(১২)দুনু কান মাসেহ করা যদিও মাথা মাসেহের পানি দ্বারা হয়।
(১৩)প্রতিটা অঙ্গকে মলা।
(১৪)এক অঙ্গ অপর অঙ্গর অভ্যাহতির পর ধৌত করা।
(১৫)নিয়্যাত করা
(১৬)কোরআনে বর্ণিত ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।
(১৭)আঙ্গুলের মাথা, মাথার অগ্রভাগ সহ প্রত্যেকটা অঙ্গের ডান দিক থেকে শুরু করা।
(১৮)গর্দনা মাসেহ করা(হলক্বুম ব্যতীত)।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ভাঙ্গা হাতকে ধৌত করা ব্যতিত অজুর অন্যান্য ফরয আদায় করতে হবে।এবং ভাঙ্গা হাতে উপর মাসেহ করতে হবে।যতটুকু নাড়ানো সম্ভব ততটুকু নাড়িয়ে ততটুকু অংশ মাসেহ করে নিলেই অজু হয়ে যাবে।তায়াম্মম করা যাবে না।
দুই হায়েজের মধ্যবর্তী পাক থাকার সর্বনিম্ন সময় ১৫ দিন।
হায়েজ যেদিন শেষ হবে,সে দিন থেকে গণনা করা হবে।