ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
হাদীসে অমুসলিমদের আদর্শ চাল চলন কে অনুসরণ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻣَﻦْ ﺗَﺸَﺒَّﻪَ ﺑِﻘَﻮْﻡٍ ﻓَﻬُﻮَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ
অনুবাদঃ হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ বলেন যে ব্যক্তি অন্য গোত্রে (অমুসলিম)-র অনুসরণ করবে সে তাদের-ই অন্তর্ভুক্ত হবে। {আবু-দাউদ-৩৫১২}
বিদগ্ধ গবেষক আল্লামা ইবনে উছাইমিন রহ: বলেন
ﻭﺍﻷﻋﻴﺎﺩ ﺍﻟﺸﺮﻋﻴﺔ ﻣﻌﺮﻭﻓﺔ ﻋﻨﺪ ﺃﻫﻞ ﺍﻹﺳﻼﻡ ، ﻭﻫﻲ ﻋﻴﺪ ﺍﻟﻔﻄﺮ، ﻭﻋﻴﺪ ﺍﻷﺿﺤﻰ ، ﻭﻋﻴﺪ ﺍﻷﺳﺒﻮﻉ ( ﻳﻮﻡ ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ ) ﻭﻟﻴﺲ ﻓﻲ ﺍﻹﺳﻼﻡ ﺃﻋﻴﺎﺩ ﺳﻮﻯ ﻫﺬﻩ ﺍﻷﻋﻴﺎﺩ ﺍﻟﺜﻼﺛﺔ
শরীয়ত স্বীকৃত ঈদ হল তিনটা যা মুসলিমদের নিকট অতি সু-পরিচিত,এবং তা হল,ঈদুল আযহা,ঈদুল ফিতর,সাপ্তাহিক ঈদ (শুকুবার)এই তিন ঈদ ব্যতীত ইসলামে অন্যকোন ঈদ নেই
(মাজমু'উ ফাতাওয়া ইবনে ইছাইমিন,২/৩০১)
সুতরাং বিশেষ কোন দিন-তারিখ নির্ধারণ করে
"হৃদরোগ দিবস"
"ডায়াবেটিস দিবস"
"হিজাব দিবস"
"মা দিবস"
ও নববর্ষ
ইত্যাদিউপালন করা কখনো বৈধ হবে না।
যদিও কাজটি ভালো হোক এবং জনসচেতনতার স্বার্থে হোক না কেন।
কেননা এগুলো কাজ ভালো হলেও এতে অনেক খারাবী রয়েছে।
যেমনঃ- এই সমস্ত দিবসকে ঈদের স্থানে নিয়ে আসা,কাফিরদের অনুসরণ, নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণের সুযোগ সৃষ্টি সহ মুসলিম সমাজে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ইত্যাদি নানান সমস্যা এতে রয়েছে।
তাই দিবস পালনকে শরীয়ত কখনো সমর্থন দিতে পারেনা।
তবে জনসচেতনতার স্বার্থে দিন-তারিখ ঠিক না করে অন্য কোনো প্রদেক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) কেননা অমুসলিমের সাদৃশ্য হয়ে যায়।
(২) কবিরা গোনাহ হবে।
(৩) জ্বী গোনাহ হবে।
(৪)উপহার দেয়া যাবে না।
(৫) জ্বি, একই মাস'আলা।
(৬) আমাদের প্রদত্ব উপরোক্ত লিংক পড়ুন।তাহলে বুঝাতে পারবেন।