আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
249 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম,
কাওকে প্রশ্ন করার পর সে যদি উত্তর না দেয় ইচ্ছাগত করে তাহলে এর বিধান কি হবে?

যেমন-

১) আমার স্বামী মিথ্যাচার করে। সে নিজেই মিথ্যাচার করে ধরা পরে।আমি কোনো দোষ-ত্রুটি খুঁজিনি। আমি তাকে স্বাভাবিকভাবেই জিজ্ঞেস করেছি তিন মাসের বেশি। সে বারংবার চুপ ছিলো। এরপর সে নিজেই বলে, এইভাবে হইলে থাকো; নইলে আর যোগাযোগ রাখবা না। এরপর আমি আর যোগাযোগ করিনি। কারণ আমি বাপের বাড়িতেই থাকি। পরে সে নিজ থেকেই বাধ্য হয়ে সত্য স্বীকার করে।

২) সে নিজ থেকেই বলেছে, সে বিয়ে করেছে এবং ছবিও দেখালো সাথে অনেক প্রমাণ।  এরপর আমি চুপ করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় কারণ সে চায়নি আমার সাথে যোগাযোগ থাকুক। এরপর সে কি কারণে ফেরত এসেছে তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা জানেন। এরপর যখন তাকে সে স্ত্রীর কথা জিজ্ঞেস করেছিলাম তখন সে উত্তর না দিয়ে আমাকে মানসিক রোগী মানে পাগল সাব্যস্ত করে দেয় সবার কাছে। সে সবার কাছে আমাকে এমন ভাবে মিথ্যাবাদী এবং পাগল বানিয়েছে যে, সবাই তাই বিশ্বাস করছে। আমার কাছে সব প্রমাণ আছে এবং সে নিজের মুখেও আমাকে বলে সে মেয়ের কথা কিন্তু সবার সামনে গিয়েই আবার বলে আমি পাগল আর মিথ্যাবাদী।

৩) সে কখনই আমার প্রশ্নের উত্তর দেয় না এবং দিলেও খুব অপমান করে। আমি তার সাথে ঝগড়াঝাটি কিংবা সারাক্ষণ ঝগড়াঝাটি করি না। আমি শান্ত থাকতে এবং ঝামেলা এড়িয়ে চলতে পছন্দ করি। সে সবার সাথে খুব ভালো আচরণ করে কিন্তু আমার কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয় না। যখনই আমি কষ্ট পেয়ে তার থেকে চুপ করে সরে যায়, তারপর গিয়েই উত্তর দেয়।তার উত্তর পেতে মাসের পর মাস পেরিয়ে যায়।
আমার জানার বিষয় দুইটা,
১) কেউ ন্যায়সংগত প্রশ্ন করলে তার উত্তর দেওয়া কি আবশ্যক নয়? এইক্ষেত্রে ইসলাম কি বলে?

২) কেউ কাউকে পাগল আখ্যায়িত করলে তার বিধান কি হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,440 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا ) ، 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৬)

ভিন্ন এক সুত্রে বর্ণিত আছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : ( مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃযে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) আপনার কথা উত্তর দেয়ার সাথে আপনার কোনো ওয়াজিব হকের সম্পর্ক না থাকলে,তার উপর জবাব দেয়া ওয়াজিব নয়।সে চাইলে জবাব দেবে, নতুবা দেবে না।

(২) আপনাকে অযথা যদি সে পাগল বানিয়ে থাকে,তাহলে এটা কখনো তার জন্য উচিৎ জায়েয হয়নি।বরং এটা চরম পর্যােয়ের ঘৃণিত কাজ।এজন্য তাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...