আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
478 views
in সালাত(Prayer) by (67 points)
edited by
১. সূর্যোদয়ের সময় কাউকে সালাত আদায় করতে দেখলে উক্ত ব্যক্তিকে সালাতরত অবস্থায় সালাত ভাঙ্গার জন্য বলবো নাকি সালাত আদায়ের পর সতর্ক করবো?  এইক্ষেত্রে কি সালাত পুনরায় আদায় করতে হবে?

২. কেউ যদি কিবলা ব্যতীত অন্য কোনো দিকে মুখ করে সালাত আদায় করে তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে সালাতরত অবস্থায় সালাত ভাঙ্গার জন্য বলবো নাকি সালাত আদায়ের পর সতর্ক করবো? এইক্ষেত্রে কি সালাত পুনরায় আদায় করতে হবে?

৩. কেউ যদি না জানার কারণে সালাতের ১৩ টি রুকনের এক বা একাধিক রুকন আদায় না করে পরবর্তীতে সালাতের আহকাম জানার পর ঐ সালাত গুলো কি কাজা আদায় করতে হবে?

৪. জামায়াতে সালাত আদায়ের সময় প্রায়ই দেখি ইমাম সাহেব রুকু থেকে উঠার পর মুক্তাদি নিজে নিজে রুকু করে সালাতে যোগ দেয়। এই ক্ষেত্রে দুই ধরনের ঘটনা দেখা যায়:
ইমামের সাথে সালাম ফিরিয়ে ফেলে অথবা ইমাম সালাম ফিরানোর পর এক রাকাত আদায় করে নেয়।
এই দুই অবস্থায় কি উক্ত ব্যক্তির সালাত শুদ্ধ হবে নাকি পুনরায় সালাত আদায় করতে হবে?

যদি সালাত শুদ্ধ না হয় তাহলে পরবর্তীতে জানার পর কি ঐ সালাতের কাজা আদায় করতে হবে?

৫. সালাতে সূরা ফাতিহার পর আমিন বলা হয়। সঠিক উচ্চারণ آمين নাকি آمن নাকি أمين নাকি أمن

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/471 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
মাকরুহ তিন ওয়াক্ত যদি কেউ নামায পড়ে নেয়,তাহলে তার নামায কি বাতিল বলে গণ্য হবে?না তার নামায হয়ে যাবে?চার মাযহাব সম্বলীত নির্ভর্যোগ্য  ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-ফেকহু আলাল মাযাহিবিল আরবা'আহ"
ولكن اتفق ثلاثة من الأئمة على أن الصلاة تكون صحيحة متى وقعت بعد دخول وقتها، وخالف الحنفية في ثلاثة من الأئمة على أن الصلاة تكون صحيحة متى وقعت بعد دخول وقتها، وخالف الحنفية في ثلاثة أوقات، فقالوا: إن الصلاة المفروضة لا تنعقد فيها أصلاً،
ইমাম শাফেয়ী রাহ, ইমাম মালিক রাহ,আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ এর মতে নামাযের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর যখনই আদায় করা হোক না কেন?সেটা বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।চায় তিন মাকরুহ ওয়াক্তের কোনো ওয়াক্তেই আদায় করা হোক না কেন?হানাফি উলামায়ে কেরাম ঐ মাকরুহ তিন ওয়াক্ত সম্পর্কে মতবিরোধ করেন।তারা বলেন,ঐ সময়ে মূলত নামাযই আদায় হবে না।(এই মতানৈক্য ফরয নামাযকে নিয়ে)

তবে কেউ যদি সূর্যাস্তের পূর্বে ঐ দিনের আসরের এক রা'কাত নামায পড়ার পরিমাণ সময় পায়,এবং সে নামাযে দাড়িয়ে যায় অতঃপর নামাযের মধ্যেই সূর্যাস্ত হয়ে যায়,তাহলে তার নামায ফাসিদ হবে না।এটা হানাফি মাযহাবের সিদ্ধান্ত।এবং অন্যান্য তিন মাযহাবে ফুকাহায়ে কেরামগণও এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
فإذا غربت الشمس في أثناء الصلاة لم يفسد العصر؛ لأنه ما بعد الغروب كامل كما دل فيه لأن ما وجب ناقصا يتادى كاملا بطريق الأولى
যদি আছরের নামাযের সময় সূর্যাস্ত হয়ে যায়,তাহলে ঐ আছরের নামায ফাসিদ হবে না।কেননা সূর্যাস্তর পর সময়টা কামিল(ত্রুটিহীন)।যেহেতু নামায শুরু করার পূর্ব মূহুর্তটা নামায ফরয হওয়ার সবব বা কারণ।তাই বলা যায় তার উপর নাক্বিসভাবে তথা ত্রুটিপূর্ণ ওয়াক্তে বা অবস্থায় নামায ফরয হয়েছে।আর যে নামায ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় ফরয হয়েছিলো এবং শুরুও হয়েছিলো,সে নামায কামিল ওয়াক্ত তথা ত্রুটিহীন অবস্থায় উত্তমভাবে আদায় হবে। (বেনায়া শরহে হেদায়া-২/২৩-শামেলা) (শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সূর্যোদয়ের সময় কাউকে সালাত আদায় করতে দেখলে উক্ত ব্যক্তিকে সালাতরত অবস্থায় সালাত ভাঙ্গার জন্য বলবেন। এইক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তি উক্ত ফজরের সালাতকে পুনরায় আদায় করবে।

(২)
কেউ যদি কিবলা ব্যতীত অন্য কোনো দিকে মুখ করে সালাত আদায় করে তাকে সাথে সাথে বলার কোনো প্রয়োজন নাই। বরং সে নামাযকে যখন সমাপ্ত করবে, তখন তাকে বলবেন যে, আপনি কি তাহাররি(গভীর চিন্তা ভাবনা) করে নামায শুরু করেছিলেন, সে যদি হ্যা, বলে, তাহলে তাকে বলার কোনো প্রয়োজন নাই, কেননা তার নামায হয়ে গেছে। আর যদি সে বলে যে, সে তাহাররি করে নাই, তাহলে তাকে অবশ্যই পূনরায় উক্ত নামায পড়তে হবে। তখন আপনি তাকে অবগত করবেন। হ্যা, তাহাররি অবস্থায়ও তার জন্য পূনরায় উক্ত নামায পড়া উত্তম। 

(৩) জ্বী< কাযা আদায় করতে হবে। 

(৪) উভয় অবস্থায় মুক্তাদির নামায বিশুদ্ধ হয়ে যাবে। 
(৫) সঠিক উচ্চারণ آمين 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 171 views
...