ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মাকরুহ তিন ওয়াক্ত যদি কেউ নামায পড়ে নেয়,তাহলে তার নামায কি বাতিল বলে গণ্য হবে?না তার নামায হয়ে যাবে?চার মাযহাব সম্বলীত নির্ভর্যোগ্য ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-ফেকহু আলাল মাযাহিবিল আরবা'আহ"
ولكن اتفق ثلاثة من الأئمة على أن الصلاة تكون صحيحة متى وقعت بعد دخول وقتها، وخالف الحنفية في ثلاثة من الأئمة على أن الصلاة تكون صحيحة متى وقعت بعد دخول وقتها، وخالف الحنفية في ثلاثة أوقات، فقالوا: إن الصلاة المفروضة لا تنعقد فيها أصلاً،
ইমাম শাফেয়ী রাহ, ইমাম মালিক রাহ,আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ এর মতে নামাযের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর যখনই আদায় করা হোক না কেন?সেটা বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।চায় তিন মাকরুহ ওয়াক্তের কোনো ওয়াক্তেই আদায় করা হোক না কেন?হানাফি উলামায়ে কেরাম ঐ মাকরুহ তিন ওয়াক্ত সম্পর্কে মতবিরোধ করেন।তারা বলেন,ঐ সময়ে মূলত নামাযই আদায় হবে না।(এই মতানৈক্য ফরয নামাযকে নিয়ে)
তবে কেউ যদি সূর্যাস্তের পূর্বে ঐ দিনের আসরের এক রা'কাত নামায পড়ার পরিমাণ সময় পায়,এবং সে নামাযে দাড়িয়ে যায় অতঃপর নামাযের মধ্যেই সূর্যাস্ত হয়ে যায়,তাহলে তার নামায ফাসিদ হবে না।এটা হানাফি মাযহাবের সিদ্ধান্ত।এবং অন্যান্য তিন মাযহাবে ফুকাহায়ে কেরামগণও এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
فإذا غربت الشمس في أثناء الصلاة لم يفسد العصر؛ لأنه ما بعد الغروب كامل كما دل فيه لأن ما وجب ناقصا يتادى كاملا بطريق الأولى
যদি আছরের নামাযের সময় সূর্যাস্ত হয়ে যায়,তাহলে ঐ আছরের নামায ফাসিদ হবে না।কেননা সূর্যাস্তর পর সময়টা কামিল(ত্রুটিহীন)।যেহেতু নামায শুরু করার পূর্ব মূহুর্তটা নামায ফরয হওয়ার সবব বা কারণ।তাই বলা যায় তার উপর নাক্বিসভাবে তথা ত্রুটিপূর্ণ ওয়াক্তে বা অবস্থায় নামায ফরয হয়েছে।আর যে নামায ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় ফরয হয়েছিলো এবং শুরুও হয়েছিলো,সে নামায কামিল ওয়াক্ত তথা ত্রুটিহীন অবস্থায় উত্তমভাবে আদায় হবে। (বেনায়া শরহে হেদায়া-২/২৩-শামেলা) (শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সূর্যোদয়ের সময় কাউকে সালাত আদায় করতে দেখলে উক্ত ব্যক্তিকে সালাতরত অবস্থায় সালাত ভাঙ্গার জন্য বলবেন। এইক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তি উক্ত ফজরের সালাতকে পুনরায় আদায় করবে।
(২)
কেউ যদি কিবলা ব্যতীত অন্য কোনো দিকে মুখ করে সালাত আদায় করে তাকে সাথে সাথে বলার কোনো প্রয়োজন নাই। বরং সে নামাযকে যখন সমাপ্ত করবে, তখন তাকে বলবেন যে, আপনি কি তাহাররি(গভীর চিন্তা ভাবনা) করে নামায শুরু করেছিলেন, সে যদি হ্যা, বলে, তাহলে তাকে বলার কোনো প্রয়োজন নাই, কেননা তার নামায হয়ে গেছে। আর যদি সে বলে যে, সে তাহাররি করে নাই, তাহলে তাকে অবশ্যই পূনরায় উক্ত নামায পড়তে হবে। তখন আপনি তাকে অবগত করবেন। হ্যা, তাহাররি অবস্থায়ও তার জন্য পূনরায় উক্ত নামায পড়া উত্তম।
(৩) জ্বী< কাযা আদায় করতে হবে।
(৪) উভয় অবস্থায় মুক্তাদির নামায বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।
(৫) সঠিক উচ্চারণ آمين