আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
699 views
in পবিত্রতা (Purity) by (30 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
শায়েখ,
(১) গত শুক্রবার কোনোভাবে আমার শরীরে নাপাক পানি/ পানির ছিটা লেগে যায়। গোসলের সময় ধুয়ে ফেলব ভেবে তখন আর ধুই নি। বাসায় চলাফেরার সময় একটা স্ট্যান্ড ফ্যানের সাথে গায়ের ওই জায়গার ধাক্কা লেগে যায়, এতে ফ্যানের ওই জায়গায় নাপাকি লেগে গেছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ ওইসময় গা ঘামা/ ঘামের কারণে তেলতেলে ভাব ছিল।
পরে ফ্যানের ওই জায়গায় আর মোছা হয়নি। গত রবিবার রাতে আবার ওই জায়গায় স্পর্শ/ ধাক্কা লাগে। জামাটা পুরোপুরি শুকনা না থাকলেও প্রায় শুকনা ছিল (ঘাম লেগে প্রায় শুকিয়ে গিয়েছিল, তবে পুরোপুরি শুকায়নি)। হাত দিয়ে চাপ দিলে বা নিংড়ালে কোনো কিছু হয় না, তবে হাত দিলে জামায়  সামান্য ভেজাভাব অনুভূত হয়। এখন ওখানে কোনো চিহ্ণ বা গন্ধ তো বুঝতে পারছি না, জামায় নাপাকি লেগে গেল কিনা বুঝব কিভাবে?
নাপাক হয়েছে কি না ভাবতে ভাবতে ওই হাতে আরও অনেক কিছু, যেমন টেবিল, চেয়ার, বই, কলম মোবাইল এসব স্পর্শ করেছি। আবার ওই জামা পরেই বিছানায় শুয়েছিলাম। এখন এগুলোর কী করব? এগুলো কি শয়তানের ওয়াসওয়াসা?
(২) ঘামা গায়ে/ ঘামের ফলে গা তেলতেলে থাকাবস্থায় শরীরে নাপাকি লেগে গেলে কি পুরো শরীর ধুতে হবে?

(৩) আমার শরীরের কয়েক জায়গায় নাপাকি/ ছিটা লাগায় তা ধুতে গিয়ে দেখি গা ঘেমে ভিজে গেছে। এখন ঘামার আগে এক জায়গায় নাপাকি/ছিটা ছিল, এখানেও ঘেমে গেছে... এখন কি পুরো শরীর ধুতে হবে? আমি শুধু যেখানে নাপাকি ছিল ওই জায়গা ধুয়ে ফেলেছি।
এ অবস্থায় জামা পরলে, চেয়ার- বিছানায় শুলেতো সেখানেও  নাপাকি লেগে যেতে পারে? এখন কী করণীয়? (এমনটা রাতে ঘটলে কী করণীয়?
বিষয়গুলো নিয়ে পেরেশানিতে আছি শায়েখ। এগুলো কি শয়তানের ওয়াসওয়াসা?
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379  নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)জ্বী, এটা ওয়াসওয়াসা, সুতরাং একে কোনো পাত্তাই দিবেন না। বরং সর্বদা এই খুত খুতে ভাবকে অন্তর থেকে দূরে রাখবেন। 
(২)  ঘামা গায়ে/ ঘামের ফলে গা তেলতেলে থাকাবস্থায় শরীরে নাপাকি লেগে গেলে, যেই স্থানে নাপাকি লাগবে, শুধুমাত্র সেই জায়গাই ধৌত করতে হবে। 
(৩)আপনার বর্ণিত পরিস্থিতিতে যেহেতু নাপাকি শরীর বিভিন্ন জায়গার লাগার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই আপনি সমস্ত শরীরকে ধৌত করবেন। জাযাকুমুল্লাহ। শুধুমাত্র আক্রান্ত স্থানকে ধৌত করলে হবে না। বরং সমস্ত শরীরকে ধৌত করতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 
by (30 points)
reshown by
শায়েখ, ঘটনাটা কালকের। কোনো কারণে কালকে প্রশ্ন করা সম্ভব হয়নি। আমি নাপাকির স্থান ও আশেপাশের জায়গাগুলো ধুলেও কিছু স্থান বাকি ছিল। এখন ওই অবস্থায়ই জামা পড়া, বিছানায় শোয়া, জিনিসপত্র ধরা..  এসব হয়েছে। এটা নিয়েও সন্দেহ হচ্ছে। এখন এটা এবং ভবিষ্যতে  এরকম সন্দেহ আসলে কি সেগুলোকেও ওয়াসওয়াসা হিসেবে উপেক্ষা করবো? 
জাযাকাল্লাহু খাইর

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 145 views
...