ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) জ্বী, অবশ্যই নামায হবে। নামায শুদ্ধ-বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য জায়নামায থাকা শর্ত নয় বা মুস্তাহাবও নয়। শর্ত হল, যে জায়গায় নামায পড়া হবে, সেই জায়গা পবিত্র হতে হবে। সুতরাং বাজার থেকে কাপড় কিনে সেটা নিজে হাতে সেলাই করে জায়নামায বানানো হলে, তাতে নামায পড়া যাবে, নামায শুদ্ধ হবে।
(২)
শরীয়তের মূলনীতি হল,
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হয় না। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা(২৯)
এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم " ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আমাদের দেশে সেলাই পরবর্তী টুকরা কাপড় সম্পর্কে কাস্টমারদের মৌন সম্মতি থাকে, এগুলো দোকানে থাক, এগুলো নেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই, তাই এ টুকরোগুলো দোকানদার না দিলেও তার কোনো গোনাহ হবে না। হ্যা, টেইলার্সের উচিৎ, উক্ত টুকরো সম্পর্কে দোকানদারকে আগ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করে নেয়া যে, এগুলোকে কি করতে হবে। তবে যদি টুকরো এত প্রশস্ত হয় যে, তা দ্বারা মূল্যবান কোনো জিনিষ তৈরী করা যাবে, তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত টুকরোকে কাস্টমারের নিকট পৌছিয়ে দেয়া দোকানদারের উপর অত্যাবশকীয়। বিশেষ করে কাস্টমার দাবী করলে তখন ফিরিয়ে দেয়া ওয়াজিব।