আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
191 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম।

১.যদি বাজার থেকে কাপড় কিনে সেটা নিজে হাতে সেলাই করে জায়নামায বানানো হয় তাহলে সেটাতে নামায পড়া যাবে? নামায হবে??প্লিজ উত্তরটা জানাবেন।

২.টেইলার্সে জামা কাপড় বানাতে দিলে জামা বানানোর পর কিছু টুকরো কাপড় থেকে যায়। এসব সাধারণত টেইলার্সরাই রেখে দেয়।(এসব কখনো কাজে লাগে কখনো লাগে না) এটা রাখা কি ঠিক হবে? কাস্টমারের হক্ব নষ্ট হবে এতে?
জাযাকুমুল্লাহু খায়ের

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) জ্বী, অবশ্যই নামায হবে। নামায শুদ্ধ-বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য জায়নামায থাকা শর্ত নয় বা মুস্তাহাবও নয়। শর্ত হল, যে জায়গায় নামায পড়া হবে, সেই জায়গা পবিত্র হতে হবে। সুতরাং বাজার থেকে কাপড় কিনে সেটা নিজে হাতে সেলাই করে জায়নামায বানানো হলে, তাতে নামায পড়া যাবে, নামায শুদ্ধ হবে। 

(২)
শরীয়তের মূলনীতি হল, 
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হয় না। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم " ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আমাদের দেশে সেলাই পরবর্তী টুকরা কাপড় সম্পর্কে কাস্টমারদের মৌন সম্মতি থাকে, এগুলো দোকানে থাক, এগুলো নেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই, তাই এ টুকরোগুলো দোকানদার না দিলেও তার কোনো গোনাহ হবে না। হ্যা, টেইলার্সের উচিৎ, উক্ত টুকরো সম্পর্কে দোকানদারকে আগ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করে নেয়া যে, এগুলোকে কি করতে হবে। তবে যদি টুকরো এত প্রশস্ত হয় যে, তা দ্বারা মূল্যবান কোনো জিনিষ তৈরী করা যাবে, তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত টুকরোকে কাস্টমারের নিকট পৌছিয়ে দেয়া দোকানদারের উপর অত্যাবশকীয়। বিশেষ করে কাস্টমার দাবী করলে তখন ফিরিয়ে দেয়া ওয়াজিব। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...