আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (10 points)
সকল প্রকার কবীরা গুনাহ করার পরে আল্লাহর হক ও বান্দার হক নষ্ট করার পরও ত‌ওবা না করে মৃত্যু বরণ করলে , প্রত্যেক ফরয নামাযের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ কারী  এ ব্যক্তি সাথে সাথে জান্নাতে যাবে ?এমন ব্যক্তি রাতে সূরা মূলক পাঠকারী তাহলে তার কবরের আযাব মাফ হবে ?এ ক্ষেত্রে তার ঈমান কি সাধারণ ঈমান না খালেস ঈমান ?

1 Answer

0 votes
by (574,440 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

(০১)
প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠের ফজিলতঃ

হযরত আবু-উমামাহ রাযি থেকে বর্ণিত

أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ بِشْرٍ ، بِطَرَسُوسَ ، كَتَبْنَا عَنْهُ قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حِمْيَرٍ قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( مَنْ قَرَأَ آيَةَ الْكُرْسِيِّ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ مَكْتُوبَةٍ لَمْ يَمْنَعْهُ مِنْ دُخُولِ الْجَنَّةِ إِلَّا أَنْ يَمُوتَ ) .
وهكذا رواه الطبراني في " الكبير" (7532) ، والروياني في " مسنده " (1268) ، وابن السني في " عمل اليوم والليلة " (124) من طريق محمد بن حمير به .

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয নামাযের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে,তার জান্নাতে প্রবেশ করাতে মৃত্যু ব্যতীত আর কোনো প্রতিবন্ধকতা নাই(সুনানে কুবরা-৯৮৪৮,তাবারানি কাবির-৭৫৩২,ইবনুস-সুন্নি- আ'মলুল ইয়াওমি ওয়াল-লাইল-১২৪)

আরেকটি হাদীসে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْمُغِيرَةِ أَبُو سَلَمَةَ الْمَخْزُومِيُّ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الْمُلَيْكِيِّ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ مُصْعَبٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَرَأَ حم الْمُؤْمِنَ إِلَى : (إِلَيْهِ الْمَصِيرُ ) وَآيَةَ الْكُرْسِيِّ حِينَ يُصْبِحُ حُفِظَ بِهِمَا حَتَّى يُمْسِيَ وَمَنْ قَرَأَهُمَا حِينَ يُمْسِيَ حُفِظَ بِهِمَا حَتَّى يُصْبِحَ "

ইয়াহ্ইয়া ইবন মুগীরা আবূ সালামা মাখযূমী মাদীনী (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে সূরা মু’মিনের হা-মীম থেকে ইলাইহিল মাসীর পর্যন্ত (১,২,৩ নং আয়াত) এবং আয়াতুল কুরসী তিলাওয়াত করবে তবে বিকাল পর্যন্ত এর কারণে তার হিফাযত করা হবে। আর যে ব্যক্তি বিকালে তা পাঠ করবে সকাল পর্যন্ত এর কারণে তার হিফাজত করা হবে।

যঈফ, মিশকাত, তাহকিক ছানী ২১৪৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৮৭৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির বান্দার হক নষ্টের বিচার হবে,সাথে সাথে কবিরা গুনাহের পর তওবা না করে মারা যাওয়ার কারনে মহান আল্লাহ তায়ালা চাইলে তাকে শাস্তি দিতে পারেন।
তারপর তাকে জান্নাতে দিবেন।   
চাইলে শাস্তি নাও দিতে পারেন।
,
প্রত্যেহ ফরজ নামাজের শেষে আয়াতুল কুরসি পাঠের সময় সে খালেছ দিলে তওবাও করতে পারে,সেক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা কবিরা গুনাহের শাস্তি দেওয়া ছাড়াও জান্নাতে দিতে পারেন।
,
(০২)
হ্যাঁ খালেছ নিয়তে প্রতিদিন রাতে সুরা মূলক তিলাওয়াত করলে কবরের আযাব থেকে মাফ হবে,ইনশাআল্লাহ। 
,  
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبَّاسٍ الْجُشَمِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ سُورَةً مِنَ الْقُرْآنِ ثَلاَثُونَ آيَةً شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ وَهِيَ سُورَةُ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .

মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট কুরআনের একটি সূরা (পাঠ করে) কোন ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করলে তাকে মাফ করে দেওয়া হয়। সেই সূরাটি হল তাবারাকল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক। 
হাসান, তা'লীকুর রাগীব ২/২২৩, মিশকাত ২১৫৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৮৯১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

বিস্তারিত জানুনঃ  

★উল্লেখিত ব্যাক্তি সাধারণ মুমিনের অন্তর্ভুক্ত।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...