জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এখানে মৃত্যুর ফেতনার দ্বারা কি উদ্দেশ্য?
মৃত্যুর সময় কষ্ট পাওয়া যদি উদ্দেশ্য হয়,তাহলে এটি কোনো আশ্চর্যজনক বিষয় নয়।
এটি কাহারো জাহান্নামি হওয়ার আলামত নয়।
স্বয়ং রাসূল (সা.) এরও মৃত্যুর সময় কষ্ট হয়েছিল।
হাদিস শরিফে এসেছে-
عن عائشة قالت ما أغبط أحدا بهون موت بعد الذي رأيت من شدة موت رسول الله صلى الله عليه و سلم
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, ‘যখন থেকে আমি রাসূল (সা.) এর মৃত্যু যন্ত্রণার তীব্রতা অবলোকন করেছি তখন থেকে কারও সহজ মৃত্যুর কথা শুনলে আমার ঈর্ষা সৃষ্টি হয় না।’ [জামে তিরমিযি, হাদিস: ৯৭৯]
অন্য বর্ণনায় এসেছে
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ مَاتَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنَّهُ لَبَيْنَ حَاقِنَتِي وَذَاقِنَتِي فَلَا أَكْرَهُ شِدَّةَ الْمَوْتِ لِأَحَدٍ أَبَدًا بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
‘হযরত আয়েশা (রা.) আরও বলেন, রাসূল (সা.) এর মৃত্যু যন্ত্রণার কঠোরতা দেখার পর থেকে মৃত্যু যন্ত্রণার তীব্র কষ্ট আমার কাছে কোনো খারাপ বিষয় বলে মনে হয় না।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৪৪৪৬]
,
তবে যদি এখানে ফেতনা দ্বারা তার কাফের হয়ে যাওয়া উদ্দেশ্য হয়,তাহলে সে জাহান্নামি হবে।
,
(০২)
যে ব্যাক্তি অনেক নেক আমল করেছে কিন্তু মৃত্যুর সময় সে কাফের হয়ে মারা গেছে,সে জাহান্নামি হবে।
সারা জিবন গুনাহ করে মৃত্যুর সময় ইমানি মৃত্যু হলে সে জান্নাতি হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنِي صَالِحُ بْنُ أَبِي عَرِيبٍ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ كَانَ آخِرُ كَلَامِهِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ صحيح
মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যার সর্বশেষ বাক্য হবে ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’’, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
(আবু দাউদ ৩১১৬)