আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
878 views
in পবিত্রতা (Purity) by (30 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
শায়েখ,
https://ifatwa.info/22676/?show=22676#q22676 তে বলা হয়েছে,
"সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নাপাকির ছিটা যদি আপনার কাপড় বা গায়ে এক দিরহাম পরিমাণ লাগে, তাহলে আপনার কাপড় বা শরীর নাপাক বলে ধর্তব্য হবে। আর যদি এক দিরহাম পরিমাণ না হয়, বরং একটু আধটু ছিটা হয়, তাহলে আপনার কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না। এবং আপনার নামাযে কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না।"

এখন প্রশ্ন হলো-
(১) শরীরের কোথাও নাপাকি লাগলে তা ধোয়ার সময় পানি ছিটে গায়ের বিভিন্ন জায়গায় লাগে। এক্ষেত্রে এই ছিটার পরিমাণ যদি এক দিরহাম অপেক্ষা কম হয়, তবে কি পাক ধরব?

(২) যদি নাপাক হয়, তবে এরপর যে জামা পড়েছি, বিছানায় শুয়েছি তাতে ঘাম লেগে নাপাকি লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এখন কি এগুলো সব ধুতে হবে?

(৩) ছিটার পরিমাণ এক ফোটা হলেও ভেজা হাত দিয়ে শরীরের ওই জায়গায় স্পর্শ করায় তা হয়তো ছড়িয়ে এক দিরহামের বেশি হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে কি তা নাপাক হয়ে যাবে?
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/118 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
ঐ সমস্ত জিনিষ যা মানুষের শরীর থেকে বের হয়ে ওজু গোসলকে ওয়াজিব করে দেয়।তা হল নাজাসতে গালিজাহ,যেমনঃ- পায়খানা,পেশাব,বীর্য, মযি(বীর্যের পূর্বে যা বাহির হয়),ওদি(প্রস্রাবের সময় যা বাহির হয়)ফুঁজ,বমি যখন তা মুখভড়ে হয়,(বাহরুর রায়েক)এবং আরো ও নাজাসতে গালিজাহ হল যথাক্রমে-হায়েয ও নেফাসের রক্ত,ছোট্ট বালক/বালিকার  প্রস্রাব তারা আহার করুক বা না করুক।মদ,প্রবাহিত রক্ত,মৃত জানোয়ারের গোসত,ঐ সমস্ত প্রাণীর প্রস্রাব ও গোবর যাদের গোস্ত ভক্ষণ হারাম।গরুর গোবর,কুকুরের বিষ্টা, মোরগ এবং হাস ও পানী হাসের বিষ্ঠা। হিংস প্রাণীর বিষ্টা,বিড়ালের বিষ্টা,ইদুরের বিষ্টা।বিড়াল এবং ইদুরের প্রস্রাব যদি কাপড়ে লাগে তবে কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরামগণ মনে করেন যে,যদি তা এক দিরহামের বেশী হয় তবে পবিত্র।আর কিছুসংখ্যক না করেন।সাপের বিষ্টা,ও প্রস্রাব।জোকের বিষ্টা।আঠালো ও টিকটিকির রক্ত যদি তা প্রবাহিত হয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৪৬)
নাজাসতে গালিজাহ কাপড় বা শরীরে লাগলে, এক দিরহাম (তথা বর্তমান সময়ের পাঁচ টাকার সিকি)পরিমাণ বা তার চেয়ে কম হলে, উক্ত কাপড়ের সাথে নামায বিশুদ্ধ হবে।যদিও তা ধৌত করা জরুরী যদি সময়-সুযোগ থাকে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) শরীরের কোথাও নাপাকি লাগলে তা ধোয়ার সময় পানি ছিটে গায়ের বিভিন্ন জায়গায় লাগে। এক্ষেত্রে এই ছিটার পরিমাণ যদি এক দিরহাম অপেক্ষা কম হয়,তবে তা পাক হিসেবে ধর্তব্য হবে। উক্ত শরীর নিয়ে নামায পড়া যাবে। 
(২) যদি একদিরহাম থেকে বেশী হওয়ার কারণে শরীর নাপাক হয়, এরপর যে জামা পড়া হবে, যে বিছানায় শুয়া হবে, তাতে ঘাম লেগে নাপাকি লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যদি গায়ের জামা বা বিছানায় এক দিরহাম থেকে বেশী লাগে, তাহলে উক্ত জিনিষ গুলোকে ধৌত করতে হবে। 
(৩) ছিটার পরিমাণ এক ফোটা হলেও ভেজা হাত দিয়ে শরীরের ওই জায়গায় স্পর্শ করায় যদি তা ছড়িয়ে এক দিরহামের বেশি হয়ে যায়, তাহলে তা নাপাক হয়ে যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 396 views
...