ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ঐ সমস্ত জিনিষ যা মানুষের শরীর থেকে বের হয়ে ওজু গোসলকে ওয়াজিব করে দেয়।তা হল নাজাসতে গালিজাহ,যেমনঃ- পায়খানা,পেশাব,বীর্য, মযি(বীর্যের পূর্বে যা বাহির হয়),ওদি(প্রস্রাবের সময় যা বাহির হয়)ফুঁজ,বমি যখন তা মুখভড়ে হয়,(বাহরুর রায়েক)এবং আরো ও নাজাসতে গালিজাহ হল যথাক্রমে-হায়েয ও নেফাসের রক্ত,ছোট্ট বালক/বালিকার প্রস্রাব তারা আহার করুক বা না করুক।মদ,প্রবাহিত রক্ত,মৃত জানোয়ারের গোসত,ঐ সমস্ত প্রাণীর প্রস্রাব ও গোবর যাদের গোস্ত ভক্ষণ হারাম।গরুর গোবর,কুকুরের বিষ্টা, মোরগ এবং হাস ও পানী হাসের বিষ্ঠা। হিংস প্রাণীর বিষ্টা,বিড়ালের বিষ্টা,ইদুরের বিষ্টা।বিড়াল এবং ইদুরের প্রস্রাব যদি কাপড়ে লাগে তবে কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরামগণ মনে করেন যে,যদি তা এক দিরহামের বেশী হয় তবে পবিত্র।আর কিছুসংখ্যক না করেন।সাপের বিষ্টা,ও প্রস্রাব।জোকের বিষ্টা।আঠালো ও টিকটিকির রক্ত যদি তা প্রবাহিত হয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৪৬)
নাজাসতে গালিজাহ কাপড় বা শরীরে লাগলে, এক দিরহাম (তথা বর্তমান সময়ের পাঁচ টাকার সিকি)পরিমাণ বা তার চেয়ে কম হলে, উক্ত কাপড়ের সাথে নামায বিশুদ্ধ হবে।যদিও তা ধৌত করা জরুরী যদি সময়-সুযোগ থাকে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) শরীরের কোথাও নাপাকি লাগলে তা ধোয়ার সময় পানি ছিটে গায়ের বিভিন্ন জায়গায় লাগে। এক্ষেত্রে এই ছিটার পরিমাণ যদি এক দিরহাম অপেক্ষা কম হয়,তবে তা পাক হিসেবে ধর্তব্য হবে। উক্ত শরীর নিয়ে নামায পড়া যাবে।
(২) যদি একদিরহাম থেকে বেশী হওয়ার কারণে শরীর নাপাক হয়, এরপর যে জামা পড়া হবে, যে বিছানায় শুয়া হবে, তাতে ঘাম লেগে নাপাকি লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যদি গায়ের জামা বা বিছানায় এক দিরহাম থেকে বেশী লাগে, তাহলে উক্ত জিনিষ গুলোকে ধৌত করতে হবে।
(৩) ছিটার পরিমাণ এক ফোটা হলেও ভেজা হাত দিয়ে শরীরের ওই জায়গায় স্পর্শ করায় যদি তা ছড়িয়ে এক দিরহামের বেশি হয়ে যায়, তাহলে তা নাপাক হয়ে যাবে।