ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) রেকর্ড তিলাওয়াত শ্রবণ করাও ভালো এবং উত্তম কাজ। এর জন্য সওয়াবের আশাও রাখা যায়, তবে রেকর্ড তিলাওয়াত শ্রবণ দ্বারা তিলাওয়াত পড়ার মত বা তিলাওয়াত করার মত সওয়াব পাওয়া যাবে না। ফজিলত পাওয়া যাবে না।
যে ক্যাসেট বা মেমোরি কার্ডে কুরআনে কারীম সংরক্ষিত রয়েছে,সেই ক্যাসেট বা মেমোরি কার্ড বিনা অজুতে স্পর্শ করা জায়েয।কেননা তাতে তো কুরআন দেখা যাচ্ছে না।(মুহাক্কাক্ব ও মুদাল্লাল জাদীদ মাসাঈল;১০৯-জামেয়া ইসলামিয়া এ'শাআ'তুল উলূম, -মহার্রাষ্ট,ভারত- কর্তৃক প্রকাশিত)
কুরআনে কারীম রেকর্ড/সংরক্ষিত রয়েছে এমন মুবাইলকে বিনা অজুতে স্পর্শ করা জায়েয।কেননা এটা যেমন মানুষের ব্রেইনের মত।তবে যদি কুরআনের কোনো আয়াত স্কীনে ভেসে উঠে তাহলে সে আয়াতকে বিনা অজুতে স্পর্শ করা জায়েয হবে না।(ইমদাদুল ফাতাওয়া ৪/২৪৫)
(৩) জ্বী, পাহাড় পরিমাণ গোনাহ করলেও খালিছ নিয়তে আল্লাহ-কে রাজি ও খুশি করার নিয়তে যদি কেউ সূরা মূলক নিয়মিত পড়ে, তাহলে তারও কবরের আযাব ক্ষমা হবে।
সূরা ইয়াসিন সম্পর্কে একটি হাদীসে বর্ণিত রয়েছে যে,
মা'ক্বাল ইবনে ইয়াসার রাযি থেকে বর্ণিত,
وَعَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ الْمُزَنِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: " «مَنْ قَرَأَ يس ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللَّهِ - تَعَالَى - غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ، فَاقْرَءُوهَا عِنْدَ مَوْتَاكُمْ» " رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে,তার অতীতের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে।সুতরাং তোমরা মৃত/মুমূর্ষু ব্যক্তির সম্মুখে সূরা ইয়াসিন পাঠ করো।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২১৭৮,সুনানু আবি-দাউদ-২/৪৪৫)
সূরায়ে ইয়াসিনকে ফজরের পর তিলাওয়াত করা উত্তম। হ্যা, দিন রাত যেকোনো সময়ই পড়া যায়।