আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (35 points)
edited by
ধরুন,
১।আমি কারো কাছ  থেকে বিকাশে ঋণ নিলাম।সে  বিকাশে ১০০০ টাকা পাঠাল আমি ৯৮০ টাকা তুলতে পারলাম। তার কিন্তু ১০০০ টাকাই গেল,
তার টাকাটা নিজের কাছে ক্যাশ ১০০০৳ ছিল ও আমি বলাতে সে ১০০০ হাজার টাকা বিকাশ করল।
এখন আমি যদি ঋণ পরিশোধ করার সময় টাকাটা  তাকে বিকাশে দিতে চায় ও ১০০০৳ দেয় এবং সে যদি বিকাশ থেকে উত্তোলন করে তাহলে ৯৮০৳ উত্তোলন করতে পারবে।সে যেহেতু ১০০০৳ দিয়েছে সেই হিসেবে সে তো ২০ টাকা কম পেল।আমার কি তাহলে ঋণ পরিশোধ হবে?

২।আরেকটি বিষয় সে টাকা উত্তোলন করবে নাকি বিকাশ থেকে অন্য কাজে খরচ করবে সেটাও জানা নেই।আমি যদি ১০০০টাকা বিকাশে ঋণ নিয়ে পরিশোধের সময় ১০২০ টাকা পাঠাই তাহলে ১০০০৳ তুলতে পারবে, কিন্তু সে যদি না উত্তোলন করে বিকাশ থেকে খরচ করে তাহলে ১০২০ টাকাই খরচ করতে পারবে, কিন্তু সে তো দিয়েছিল ১০০০৳ এক্ষেত্রে ২০৳ কি সুদ হবে?

৩।অর্থাৎ আমার প্রশ্নটি হলো কারো কাছে ক্যশ ১০০০৳ ছিল।আমি বলাতে সে  আমাকে বিকাশে ১০০০৳ ঋণ দিল ও আমি ৯৮০৳ উত্তোলন করতে পারলাম।এখন আমি যদি বিকাশ এ টাকাটা পরিশোধ করি তাহলে কত টাকা দিতে হবে তাকে?

৪।কেউ আমাকে 'নগদ' একাউন্ট দিয়ে ৫০০৳ ও সাক্ষাৎ এর সময় ৫০৳ ঋণ দিল।আমি যদি বিকাশে ৫৫০৳ দেয় তাহলে কি ঋণ পরিশোধ হবে?
নাকি ক্যাশ আউট চার্জ দিতে হবে?
নাকি তাকে জিজ্ঞেস করব ক্যাশ আউট চার্জ দিতে হবে কিনা।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) কারো যদি আপনার নিকট ১০০০ টাকা পাওনা থাকে, তাহলে পরিশোধের সময় তার নিকট হুবহু ১০০০ টাকাই পৌছতে হবে। যদি আপনি বিকাশের মাধ্যমে তার নিকট টাকা প্রেরণ করেন, তাহলে আপনি ১০২০টাকা প্রেরণ করবেন, যাতেকরে সে ১০০০ টাকা পায়। তবে যদি সে কম মেনে নেয়, তাহলে সমস্যা নেই। 

(২)
শর্ত ব্যতিত ঋণ পরিশোধের সময় অতিরিক্ত প্রদান করা জায়েয। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-

(৩)
আপনি তাকে ১০০০ টাকাই বিকাশে দিবেন।

(৪)
যেহেতু ঐ ব্যক্তি আপনাকে ক্যাশ আউট খরচ দেয় নাই, তাই আপনাকে ও খরচ দিতে হবে না।জাযাকুমুল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...