ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) খাওয়ার সময় বসার আদব তিনটি। (১) উভয় হাটু তুলে (২) এক হাটু তুলে এবং এক হাটু বিছিয়ে (৩) উভয় হাটু বিছিয়ে নামাযের বৈঠকের মত। যেকোনো এক পদ্ধতিতে খাবার গ্রহণ করা যায়। আবার প্রয়োজনে বরের মতও বসা যায় তবে এটা অনুত্তম।
(২) হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻋَﻦْ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ : ( ﻟَﺎ ﻳَﺴْﺘُﺮُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻰ ﻋَﺒْﺪٍ ﻓِﻲ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﺇِﻟَّﺎ ﺳَﺘَﺮَﻩُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন- আল্লাহ (তাওবাহর মাধ্যমে)দুনিয়াতে যদি কোনো বান্দার দোষকে ঢেকে রাখেন,তাহলে কিয়ামতের দিনও সেই দোষকে ঢেকে রাখবেন। (সহীহ মুসলিম-২৫৯০) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/906
(৩) হাফ প্যান্ট পরে কি মসজিদে প্রবেশ করা যাবে না। কেননা সতর ঢেকে রাখা ফরয। সুতরাং গোনাহরত অবস্থায় মসজিদের প্রবেশ করা কখনো উচিৎ হবে না।
(৪)
লাহব কাকে বলে?
اللهو: ما يشغل الإنسان عما يعنيه و يهمه (مفردات القرآن للإمام الراغب)
অর্থাৎ-যে সকল বস্তু মানুষকে লক্ষণীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী থেকে অমনোযোগী করে দেয় তা হলো "লাহব"।
اللعب :لعب فلان اذا كان فعله غير قاصد به مقصدا صحيحا
অর্থাৎ- খেলাধুলা ঐ সকল কাজ যাতে সঠিক কোন উদ্দেশ্য থাকে না।
اللغو: وهو كل سقط من قول او فعل فيدخل فيه الغناء واللهو و غير ذلك مما قاربه
অর্থাৎ- লাগু ঐ সকল অনর্থক কথাবার্তা ও কাজ-কর্ম যাতে গান-বাদ্য রং তামাশা ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।(কুরতুবি:১৩/৮০)
উল্লেখিত আয়াত ও হাদীস সমূহ থেকে বুঝা গেল যে, ইসলামী শরীয়তে সময়ের প্রতি যত্নশীল হওয়া ও লক্ষস্থির জীবন গঠন করা জরুরী।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেরাম বোর্ড শর্তসাপেক্ষ্যে জায়েয হতে পারে। অর্থাৎ নামাযে কোনো ব্যাঘাত ঘটতে পারবে না। এবং তাতে অন্য কোনো হারাম থাকতে পারবে না।