ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার হওয়ার পরও যদি কুরবানির দিন সমূহে তথা জিলহজ্ব মাসের ১০/১১/১২ তারিখে কুরবানি না দেয়, তাহলে পরবর্তীতে কুরবানির সমপরিমাণ টাকা সদকাহ করতে হবে। কুরবানি যেহেুত ধনী গরীব সবার উপর একটা খাসি ওয়াজিব হয়, তাই একটা ১ বৎসর বয়সী খাসির সমপরিমাণ টাকা সদকাহ করাই মূলত বিধান বা নিয়ম। তবে যদি কেউ খাসির মূল্য সদকাহ করার পরিবর্তে বরং একটা খাসিই জবাই করে ফকির মিসকিনকে দিয়ে দেয়, তাহলে তার কুরবানি আদায় হয়ে যাবে। যেহেতু কুরবানির সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ঐ খাসিকে জবাই করা হচ্ছে, তাই উক্ত জবাই-কে কুরবানি বলা যাবে না এবং উক্ত খাসির মাংসকে নিজেও খাওয়া যাবে না এবং ধনী কাউকে দেওয়া যাবে না।
কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব।কার উপর ওয়াজিব?এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
مِنْهَا الْيَسَارُ وَهُوَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبِ صَدَقَةِ الْفِطْرِ دُونَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبُ الزَّكَاةِ،
এই পরিমাণ ধনবান ব্যক্তির উপর কুরবানি ওয়াজিব,যে পরিমাণ ধনসম্পত্তি থাকার কারণে কারো উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয়।যাকাত ওয়াজিব হওয়ার নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া শর্ত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/২৯২, কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/১৩১)
(২) বাড়ির উঠান এবং পুকুর জরুরতের আওতাধীন, তাই উঠান বা উঠানের জন্য সংরক্ষিত জায়গা এবং পুকুর বা পুকুরের জন্য সংরক্ষিত জায়গা থাকার কারণে আপনার উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে না।
(৩) যেহেতু আপনার উপর কুরবানি ওয়াজিব হয় নাই, তাই এ প্রশ্নের জবাব দিকে আর এগোচ্ছি না। জাযাকুমুল্লাহ।