بسم
الله الرحمن
الرحيم
জবাব,
হাদিসে এসেছে,
عَنِ
ابْنِ عَبَّاسٍ
ـ رضى
الله عنهما
ـ عَنِ
النَّبِيِّ ﷺ
أَنَّهُ مَرَّ
بِقَبْرَيْنِ يُعَذَّبَانِ
فَقَالَ ”
إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ
وَمَا يُعَذَّبَانِ
فِي كَبِيرٍ
أَمَّا أَحَدُهُمَا
فَكَانَ لاَ
يَسْتَتِرُ مِنَ
الْبَوْلِ
ইবনু আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ﷺ এমন দু’টি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন
যে কবর দু’টির বাসিন্দাদের আযাব দেওয়া হচ্ছিল। তখন তিনি বললেন, এদের দু’জনকে আযাব দেওয়া হচ্ছে অথচ তাদের এমন গুনাহর জন্য আযাব
দেওয়া হচ্ছে না যা থেকে বিরত থাকা দুঃরূহ ছিল। তাদের একজন পেশাবের ব্যাপারে সতর্কতা
অবলম্বন করত না আর অপরজন চোগলখুরী করে বেড়াত। (সহীহ বুখারী ১২৭২)
অপর এক হাদিসে রাসূল ﷺ বলেছেন,
استنزهوا
من البول
فإن عامة
عذاب القبر
منه
পেশাব থেকে নিজেকে রক্ষা করো। অর্থাৎ
পবিত্র থাকো। কেননা, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে
কবরের আজাব হবে, পেশাব থেকে ভালোভাবে পবিত্র না হওয়ার
কারণে। (ইবন মাজাহ ৩৪৮ হাকিম ১/১৮৩ মুসনাদ আহমাদ ২/৩২৬
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ
عَائِشَةَ أُمِّ
الْمُؤْمِنِينَ، أَنَّهَا
قَالَتْ أُتِيَ
رَسُولُ اللَّهِ
ﷺ بِصَبِيٍّ،
فَبَالَ عَلَى
ثَوْبِهِ، فَدَعَا
بِمَاءٍ فَأَتْبَعَهُ
إِيَّاهُ
উম্মুল মু’মিনীন আয়শা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ﷺ-এর কাছে একটি শিশুকে আনা হল। শিশুটি তাঁর কাপড়ে পেশাব করে দিল। তিনি
পানি আনালেন এবং এর ওপর ঢেলে দিলেন। (সহীহ বুখারী ২২২)
উপরের প্রমাণাদির মাধ্যমে একথা সুস্পষ্ট
প্রতিয়মাণ হয় যে,ছোট বড় সকলের পেশাব
নাপাক এবং তা কাপড়ে লাগলে কাপড় অপবিত্র হয়ে যাবে। বিধায় তা থেকে পবিত্রতা অর্জন করা
আবশ্যক।
প্রশ্নকারী প্রিয় দীনি ভাই/বোন!
যে শিশু এখনও কেবল মায়ের দুধ খায়; অন্য খাবার খায় না, তার পেশাবও নাপাক এবং তা কাপড়ের যেই স্থানে
লাগবে সেই অংশটুকু পবিত্র করা ব্যতিত উক্ত কাপড় পরিধান করে নামাজ আদায় করা শুদ্ধ হবে
না।সুতরাং শরীর বা কাপড়ের যেই অংশে পেশাব লাগবে ততটুকু ধুয়ে ফেলা আবশ্যক,পুরো কাপড় বা শরীর ধুয়ে ফেলা জরুরী নয়।