ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইউনুস এর পঠিত দু'আ সম্পর্কে এক হাদীসে এসেছে,
হযরত সা'দ রাযি থেকে বর্ণিত
2292 - ﻭَﻋَﻦْ ﺳَﻌْﺪٍ - ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ - ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -: " «ﺩَﻋْﻮَﺓُ ﺫِﻱ اﻟﻨُّﻮﻥِ ﺇِﺫْ ﺩَﻋَﺎ ﺭَﺑَّﻪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻦِ اﻟْﺤُﻮﺕِ {ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ، ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ، ﺇِﻧِّﻲ ﻛُﻨْﺖُ ﻣِﻦَ اﻟﻈَّﺎﻟِﻤِﻴﻦَ} [ اﻷﻧﺒﻴﺎء: 87]
ﻟَﻢْ ﻳَﺪْﻉُ ﺑِﻬَﺎ ﺭَﺟُﻞٌ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻓِﻲ ﺷَﻲْءٍ ﺇِﻻَّ اﺳْﺘُﺠِﻴﺐَ ﻟَﻪُ» " ﺭَﻭَاﻩُ ﺃَﺣْﻤَﺪُ، ﻭَاﻟﺘِّﺮْﻣِﺬِﻱُّ.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, মাছ ওয়ালার দু'আ যখন তিনি মাছের পেঠে থাকাবস্থায় দু'আ করেছিলেন,
"লা-ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা, ইন্নি কুনতু মিনাজ-জালিমিন"
অর্থঃ-(হে আল্লাহ)"আপনি ব্যতীত আর কোনো মা'বুদ নেই।আপনি প্রবিত্র।আমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত।" (সুতরাং আপনি রহম করুন)
যে মুসলমান-ই যে কোনো বিষয়ে উক্ত দু'আ পড়বে,আল্লাহ তা'আলা তার দু'আকে কবুল করে নিবেন।মুসনাদে আহমাদ ও জামে তিরমিযি দ্রষ্টব্য। {মিশকাত,হাদীস নং-২২৯২}
সুপ্রিয় পাঠকবর্গ!
https://www.ifatwa.info/23839 নং ফাতাওয়ায় বর্ণিত আলোচনা থেকে প্রতিয়মান হয় যে,বিপদআপদ থেকে মুক্তি ও মাকসাদ হাসিল করতে উক্ত দু'আ যদি কেউ ঈমান ও ইয়াকিনের সাথে পড়ে তবে তার মাকসাদ পূর্ণ হবে। তবে এক্ষেত্রে কোনো সময় বা সংখ্যা হাদীসে নির্ধারিত নেই। যে কোনো সময়ই পড়া যাবে। এবং যত ইচ্ছা পড়া যাবে। এক্ষেত্রে কোনো কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যাকে সুন্নাত মনে করা যাবে না। এটা বেদাআত হবে। নির্দিষ্ট সংখ্যায় না পড়লে দু'আ কবুল হবে না এবং পড়লে দু'আ কবুল হবে, এরকম আকিদা-বিশ্বাস পরিত্যাগ করে যদি কেউ পূর্ববর্তী বুজুর্গানে কেরামদের তরিকাকে গ্রহণ করে, তবে তা অবশ্য নিন্দনীয় হবে না। আল্লাহ-ই ভালো জানেন।