আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
109 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (84 points)
আসসালামু আলাইকুম,

১-  ফেসবুকে স্মাইল, স্যাড, এংরি ইত্যাদি ইমোজি গুলা কি ব্যবহার করা কি জায়েজ?

২- ফেসবুকের পোস্টে কেয়ার, হা হা, স্যাড রিএক্ট দেওয়া কি জায়েজ?

৩- ফেসবুকের বিভিন্ন স্টিকার কমেন্ট করা জায়েজ? যেগুলো নড়াচড়া করে।

৪- আমরা যেসব পণ্য মুখ,শরীর বা চুলে ব্যবহার করি সেগুলাতে হারাম কিছু মিশ্রিত আছে কিনা নরমালি বোঝা যায়না।

সেক্ষেত্রে এগুলা ব্যবহার কি জায়েজ?

৫- সানস্ক্রিন যদি ওয়াটার প্রুফ হয়, শুধু পানি দিয়ে ধুয়ে নিলে কি ওজু হবেনা?

৬- সানস্ক্রিন নন-ওয়াটারপ্রুফ হলে পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেই কি ওজু হবে?

৭- অনলাইনে থাকলে মাঝে মাঝে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক এড চলে আসে।তখন কি করব?

1 Answer

0 votes
by (560,820 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

(১.২)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,    
https://ifatwa.info/12687/ ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,     
ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসএ্যাপ ইত্যাদিতে চ্যাটিং-এর সময় বিভিন্ন ধরণের emoji ব্যবহারের বিধান: যদি emoji এর পূর্ণ অবয়ব তথা emoji তে ব্যবহৃত প্রাণীর মাথা,মুখ,চোখ,নাক,কান ইত্যাদি স্পষ্টভাবে বুঝা যায়,তাহলে সেগুলোকে ব্যবহার করা যাবে না।কেননা এগুলো হাদীসে বর্ণিত নিষিদ্ধ ছবির অন্তর্ভুক্ত।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
كُلُّ مُصَوِّرٍ فِي النَّارِ يُجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسٌ فَيُعَذِِّبُهُ فِي جَهَنَّمَ
প্রত্যেক ছবিনির্মাতা জাহান্নামে যাবে, তার নির্মিত প্রতিটি ছবি পরিবর্তে একটি করে প্রাণ সৃষ্টি করা হবে, যা তাকে জাহান্নামে শাস্তি দিতে থাকবে। (বুখারী ২২২৫, ৫৯৬৩, মুসলিম ৫৬৬২)

হাদিস শরীফে এসেছে,
قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نمير فراى فى صفته تماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى ﷺ يقول ان اشد الناس عذابا عند الله المصورون
আ’মাশ তিনি  মুসলিম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মাসরুকের  সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইরের ঘরে ছিলাম, তিন ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ্  রাযি.-এর নিকট শুনেছি, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘নিশ্চয় মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাআলা কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।’ (বুখারী ২/৮৮০)

★ কিন্তু যদি এমন ইমোজিতে চোখ, মুখ ইত্যাদি অঙ্গগুলো স্পষ্টত বুঝা না যায়, তাহলে সেগুলোকে ব্যবহার করা যাবে। কেননা, এগুলোকে ‘প্রাণীর ছবি’ বলা যাবে না বরং খুব বেশী এগুলোকে আঁকিবুকি, চিহ্ন বা কিছু রেখা ইত্যাদি ভাবা হবে। তবে যথাসম্ভব এ সব ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
,
যদি চোখ-মুখ বা শারীরিক অবয়ব স্পষ্ট বুঝা না যায়, তবে এমন ইমোজি ব্যবহারে দোষ নেই। কেননা তা প্রাণীর হুকুমের অন্তর্ভুক্ত নয় (আল-মুগনী ৭/২৮২; উছায়মীন, মাজমূ ফাতাওয়া ২/২৭৯)। 

তবে অকারনে এগুলোর ব্যবহার পরিত্যাগ করাই তাক্বওয়ার পরিচয়। 

(০৩)
প্রানী ছবির ন্যায় স্টিকার হলে,আর তাহা স্পষ্ট হলে  তাহা ব্যবহার করা যাবেনা।
,
(০৪)
প্যাকেটের গায়ে যেসব তথ্য আছে,তাতে যদি আপনি  হারাম কিছু মিশ্রণ সম্পর্কে কিছুই না পান,তাহলে এটির ব্যবহার জায়েজ আছে।
তবে শরীর,ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হলে এটির ব্যবহার জায়েজ নেই।
,
(৫.৬)
যদি অযুর কোবো অঙ্গে পানি পৌছাতে এটি বাধা সৃষ্টি করে,তাহলে অযু হবেনা।
,
(০৭)
এড আসলে সাথে সাথে সড়ানোর চেষ্টা করবেন,আওয়াজ বন্ধ করে চক্ষু অন্য দিকে নিবেন।
এমতাবস্থায় কিছু চোখে/কানে আসলে ইস্তেগফার পাঠ করবেন।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...