আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
390 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (33 points)
edited by

সালাম দেয়া সুন্নত। এবং সময় থাকলে একে অপরের কুশল বিনিময় করাও সুন্নতের আওতাধীন ।

এখন প্রশ্ন হলো যে এই কথা বলা সুন্নত আমলের অন্তর্ভুক্ত কি না?

"আপনার বাড়ির সবাই ভালো আছে কি?" --জাস্ট এই কথাটুক  ওই কুশল বিনিময়ের সময় বলা সরাসরি সুন্নত আমলের মধ্যে পড়ে কি?

 

কেননা,, আমার এক বন্ধু সালাম-ও পছন্দ করে। তার সম্পর্কে খুজ নেয়া কুশল বিনিময় এগুলোও পছন্দ করে।

কিন্তু যখন-ই, আমি বা যেকোনো কেউ তার **বাড়ির পরিবারের খুজ নিলে** যেমন্টা উপরে বর্নিত বাক্য বলতে যাই,, তখন সে এই কথা শুনার পর রাগ করে বসে।

বরং উপোরক্ত বাক্য অনুযায়ী-ভাবে তার পরিবারের খুজ খবর নিলে সে উত্তরে আমার বন্ধু বলে, 

১."আমাকে সালাম দাও তাতে সমস্যা নাই"

২--"আমার খুজ তোমরা নেও, তাতে সমস্যা নাই"

৩--"আমার সাথে কুশল বিনিময়ের কথা বলো, তাতেও সমস্যা নাই"

(পরের পয়েন্ট লক্ষ্য করুন)--

৪--"কিন্তু তোমরা আমার পরিবারের কথা বার বার বলো কেনো? আমার পরিবারের খুজ-খবর নেও কেনো?"--এই কথা বলে।

 

আমার প্রশ্ন হলো,  সালাম দেয়ার পর সময় থাকলে কুশল বিনিময় করা সুন্নত। তাইলে এই যে কুশল বিনিময় করার সময়, "আপনার বাড়ির সবাই কেমন আছে?"-এই কথাটুক বলা কি সুন্নত আমলের অন্তর্ভুক্ত?

মানে--

১)

যদি সুন্নত হয়,,তাইলে আমার বন্ধু যে জেনে শুনে রাগ করে (তার পরিবারের খুজ নিলে),,এতে কি তার ঈমান চলে যাবে?

২)

তাছাড়া ---"আপনার বাড়ির সবাই কেমন আছে?"-- এই কথা বলা সরাসরি সুন্নত আমলের আওতাধীন কি? --

((-কারন অনেকের পরিবারের খুজ নিলে রাগ করে বসে। তাই তাদেরকে কি আমি বলতে পারবো যে-"ভাই এই কথা বলা সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত"। আমি এখন পর্যন্ত জানি না যে,,ওই বাক্য বলা সুন্নত আমলের অন্তর্ভুক্ত কি না,,এজন্য তাদেরকেও বলি না যে ""এই বাক্য বলা সুন্নত কি না,না?""

এই ২টি প্রশ্ন ছিলো।।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
এতে তার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।
,
(০২)
 হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى الْمَخْزُومِيُّ الْمَدَنِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لِلْمُؤْمِنِ عَلَى الْمُؤْمِنِ سِتُّ خِصَالٍ يَعُودُهُ إِذَا مَرِضَ وَيَشْهَدُهُ إِذَا مَاتَ وَيُجِيبُهُ إِذَا دَعَاهُ وَيُسَلِّمُ عَلَيْهِ إِذَا لَقِيَهُ وَيُشَمِّتُهُ إِذَا عَطَسَ وَيَنْصَحُ لَهُ إِذَا غَابَ أَوْ شَهِدَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক মুমিনের জন্য আরেক মুমিনের উপর ছয়টি দায়িত্ব রয়েছেঃ (১) সে অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাবে, (২) মারা গেলে তার জানাযায় উপস্থিত হবে, (৩) ডাকলে তাতে সাড়া দিবে, (৪) তার সাথে দেখা হলে তাকে সালাম করবে, (৫) সে হাঁচি দিলে তার জবাব দিবে এবং (৬) তার অনুপস্থিতি কিংবা উপস্থিতি সকল অবস্থায় তার শুভ কামনা করবে।

সহীহঃ সহীহাহ (৮৩২), মুসলিম অনুরূপ,তিরমিজি ২৭৩৭)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়টি সরাসরি সুন্নাত আমলের অন্তর্ভুক্ত নয় 
তবে এমনটি জিজ্ঞাসা করা জায়েজ আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...