আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَاسْأَلُواْ أَهْلَ الذِّكْرِ إِن كُنتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ
জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর, যদি তোমাদের জানা না থাকে।(সূরা নাহল-৪৩)
وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنَا قَبۡلَکَ اِلَّا رِجَالًا نُّوۡحِیۡۤ اِلَیۡہِمۡ فَسۡـَٔلُوۡۤا اَہۡلَ الذِّکۡرِ اِنۡ کُنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۷﴾
আর আপনার আগে আমরা ওহীসহ পুরুষদেরকেই পাঠিয়েছিলাম; সুতরাং যদি তোমরা না জান তবে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর।
(সুরা আম্বিয়া ০৭)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَنْطَاكِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ خُرَيْقٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ خَرَجْنَا فِي سَفَرٍ فَأَصَابَ رَجُلاً مِنَّا حَجَرٌ فَشَجَّهُ فِي رَأْسِهِ ثُمَّ احْتَلَمَ فَسَأَلَ أَصْحَابَهُ فَقَالَ هَلْ تَجِدُونَ لِي رُخْصَةً فِي التَّيَمُّمِ فَقَالُوا مَا نَجِدُ لَكَ رُخْصَةً وَأَنْتَ تَقْدِرُ عَلَى الْمَاءِ فَاغْتَسَلَ فَمَاتَ فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أُخْبِرَ بِذَلِكَ فَقَالَ " قَتَلُوهُ قَتَلَهُمُ اللَّهُ أَلاَّ سَأَلُوا إِذْ لَمْ يَعْلَمُوا فَإِنَّمَا شِفَاءُ الْعِيِّ السُّؤَالُ إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيهِ أَنْ يَتَيَمَّمَ وَيَعْصِرَ " . أَوْ " يَعْصِبَ " .
মূসা ইবনু আব্দুর রহমান ......... আতা (রহঃ) থেকে জাবের (রাঃ)-র সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন এক সফরে যাওয়ার সময় আমাদের এক ব্যক্তির মাথা প্রস্তরাঘাতে জখম হয় এ অবস্হায় তার স্বপ্নদোষ হয় সে তার সাথীদের জিজ্ঞাসা করে, এ অবস্হায় আমি কি তায়াম্মুম করতে পারি? তারা বলেন, যেহেতু তুমি পানি ব্যবহারে সক্ষম তাই তোমাকে তায়াম্মুমের অনুমতি দেয়া যায় না। অতঃপর সে ব্যক্তি গোসল করার ফলে মৃত্যুমুখে পতিত হয়।এই সফর হতে প্রত্যাবর্তনের পর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এই সংবাদ দেয়া হলে তিনি বলেনঃ তার সাথীরা তাকে হত্যা করেছে, আল্লাহ তাদের ধবংস করুন (তিনি রাগান্বিতভাবে এরূপ উক্তি করেন)। যখন তারা অবগত ছিল না-তখন জিজ্ঞাসা করল না কেন? কেননা অজ্ঞতার ঔষধ হল জিজ্ঞাসা করা। সে ব্যক্তি তায়াম্মুম করলেই যথেষ্ট হত তার আহত স্হানে ব্যান্ডেজ করে তার উপর মাসেহ্ করলেই চলত এবং শরীরের অন্যান্য স্থান ধুয়ে ফেললেইতো হত।
(আবু দাউদ ৩৩৬)
ক,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَخْبَرَنَا عُتْبَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي خُطْبَتِهِ يَحْمَدُ اللَّهَ وَيُثْنِي عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ يَقُولُ " مَنْ يَهْدِهِ اللَّهُ فَلاَ مُضِلَّ لَهُ وَمَنْ يُضْلِلْهُ فَلاَ هَادِيَ لَهُ إِنَّ أَصْدَقَ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللَّهِ وَأَحْسَنَ الْهَدْىِ هَدْىُ مُحَمَّدٍ وَشَرَّ الأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ وَكُلَّ ضَلاَلَةٍ فِي النَّارِ "
উতবা ইবনু আব্দুল্লাহ (রহঃ) ... জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার খূৎবায় বলতেন। তিনি আল্লাহ তা'আলার যথাযোগ্য প্রসংসা এবং গুন বর্ণনা করতেন।
مَنْ يَهْدِهِ اللَّهُ فَلاَ مُضِلَّ لَهُ وَمَنْ يُضْلِلْهُ فَلاَ هَادِيَ لَهُ إِنَّ أَصْدَقَ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللَّهِ وَأَحْسَنَ الْهَدْىِ هَدْىُ مُحَمَّدٍ وَشَرَّ الأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ وَكُلَّ ضَلاَلَةٍ فِي النَّارِ
“যাকে আল্লাহ হিদায়াত করেন তাকে গুমরাহ করার কেউ নেই, আর যাকে গুমরাহ করেন তাকে হিদায়াত করার কেউ নেই।
উত্তম হাদীস আল্লাহর কিতাব; উত্তম হিদায়াত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হিদায়াত; নিকৃষ্টতর কাজ হচ্ছে বিদ’আত, প্রত্যেক বিদ’আতই হচ্ছে ভ্ৰষ্টতা।
প্রত্যেক গুমরাহী হচ্ছে জাহান্নামে যাবার কারণ।
,
খ,
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم مَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ
উক্ত আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমার নামে ইচ্ছাকৃত মিথ্যা বলে, সে যেন নিজের বাসস্থান জাহান্নামে বানিয়ে নেয়।” (বুখারী ১১০, ৬১৯৭, মুসলিম ৪)
গ,
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ أَلاَ لَيُذَادَنَّ رِجَالٌ عَن حَوْضِى كَمَا يُذَادُ الْبَعِيرُ الضَّالُّ أُنَادِيهِمْ أَلاَ هَلُمَّ فَيُقَالُ إِنَّهُمْ قَدْ بَدَّلُوا بَعْدَكَ فَأَقُولُ سُحْقًا سُحْقًا
আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, হাওয কওসরের পানি পান করার জন্য পিপাসার্ত লোক (কিয়ামতের) দিন আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হবে। কিন্তু তাদেরকে নিরুদ্দেশ উট বিতাড়িত করার ন্যায় বিতাড়িত করা হবে। তিনি বলবেন, ওরা আমার দলের। (বা ওরা তো আমার উম্মত)। বলা হবে, আপনি জানেন না, আপনার বিগত হওয়ার পর ওরা কি নবরচনা করেছিল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বলবেনঃ দূর হও, দূর হও।
(মুসলিম ৬০৭)
حديث أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، يَزِيدُ فِيهِ فَأَقُولُ: إِنَّهُمْ مِنِّي، فَيُقَالُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ، فَأَقُولُ: سُحْقًا سُحْقًا لِمَنْ غَيَّرَ بَعْدِي
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) এর নিকট হতে এতটুকু অধিক বর্ণিত। [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ] আমি তখন বলব যে এরা তো আমারই উম্মাত। তখন বলা হবে, তুমি তো জান না তোমার পরে এরা কি সব নতুন নতুন কীর্তি করেছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন তখন আমি বলব, দূর হও! আমার পরে যারা দীনের মাঝে পরিবর্তন এনেছ তারা আল্লাহর রহমত থেকে দূর হও।
সহীহুল বুখারী, পর্ব ৮১: সদয় হওয়া, অধ্যায় ৫৩, হাঃ ৬৫৮৪; মুসলিম, পর্ব ৪৩: ফাযায়েল, অধ্যায় ৯, হাঃ ২২৯০, ২২৯১
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
(وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى)
‘‘একের বোঝা অন্যের উপর চাপানো হবে না।’’
আর কোন বহনকারী অন্য কারো গুনাহের ভার বহন করবে না।
[সূরা আল-আন‘আমঃ ১৬৪, বনী ইসরাঈলঃ ১৫, ফাতিরঃ ১৮, যুমারঃ ৩৯ এবং নাজমঃ ৩৮]