আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা আমাদের খবর দিয়েছেন যে নিশ্চয়ই মালাকুল মউত বনি আদমের জান কবজ করেন।
,
قُلۡ یَتَوَفّٰىکُمۡ مَّلَکُ الۡمَوۡتِ الَّذِیۡ وُکِّلَ بِکُمۡ ثُمَّ اِلٰی رَبِّکُمۡ تُرۡجَعُوۡنَ ﴿۱۱﴾
বলুন, তোমাদের জন্য নিযুক্ত মৃত্যুর ফেরেশতা তোমাদের প্রাণ হরণ করবে। তারপর তোমাদের রবের কাছেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
(সূরা ৩২. আস-সাজদাহ
আয়াত নং ১১)
★মানব জাতী,জিন জাতি,আর ফেরেশতাদের রুহ আজরাইল আঃ কবজ করেন।
তবে প্রশ্নে উল্লেখিত অন্যান্যদের জান কবজ সংক্রান্ত কুরআন হাদীসে উল্লেখ নেই।
যেহেতু এই বিষয়ে জানার উপর আমাদের দুনিয়াবি ও আখেরাতের কোনো ফায়েদা নেই,আর ছাহাবায়ে গনও বিষয়টি সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাঃ কে জিজ্ঞাসা করেননি,তাই বিষয়টি সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা নেই।
,
একটি মওজু হাদীস পাওয়া যায়ঃ
رواه العقيلي قي الضعفاء بلفظ: ( آجال البهائم كلها من القمل والبراغيث والجراد والخيل والبغال كلها والبقر وغير ذلك ، آجالها في التسبيح ، فإذا انقضى تسبيحها قبض الله أرواحها ، وليس إلى ملك الموت من ذلك شيء ). قال الألباني في "السلسلة الضعيفة" (4/188) : موضوع .
সারমর্মঃ
অন্যান্য প্রানী গুলোর মৃত্য তাসবিহ পাঠ পর্যন্ত।
যখন তাদের তাসবিহ শেষ হয়ে যাবে,আল্লাহ তায়ালাই তাদের রুহ কবজ করবেন।
মালাকুল মউত এর এই বিষয়ে কোনো কর্তৃত্ব নেই।
তবে আলবানী রহঃ এই হাদীসকে মওজু' তথা বানোয়াট বলেছেন।
,
(০২)
মাগফিরাত কামনার অর্থ হল, আল্লাহ যেন তার ‘গুনাহখাতা’ মাফ করে দেন, এই দুআ করা। গুনাহ যেমন মানুষের আভ্যন-রীণ ‘নফস’ দ্বারা হয় তেমনি বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারাও হয়।
তদ্রূপ আল্লাহ তাআলা না করুন-দুনিয়ার এইসব গুনাহখাতার জন্য যদি আখিরাতের আযাব ভোগ করতে হয় তাহলে রূহ যেমন তা ভোগ করবে তেমনি দেহও যে অবস্থায়ই থাকুক না কেন, তা ভোগ করবে। এটিই আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআর আকীদা।
একইভাবে নেয়ামত, সুখ-শান্তি ও দেহ-আত্মা উভয়ই ভোগ করবে। তাই দেহকে বাদ দিয়ে শুধু রূহের জন্য মাগফিরাত প্রার্থনার কোনো অর্থ হয় না।