আল্লাহ তায়ালা সুরা বাকারার ২২৫ নং আয়াতে উল্লেখ করেনঃ
لَا یُؤَاخِذُکُمُ اللّٰہُ بِاللَّغۡوِ فِیۡۤ اَیۡمَانِکُمۡ وَ لٰکِنۡ یُّؤَاخِذُکُمۡ بِمَا کَسَبَتۡ قُلُوۡبُکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ غَفُوۡرٌ حَلِیۡمٌ ﴿۲۲۵
আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের অর্থহীন শপথের জন্য পাকড়াও করবেন না। কিন্তু পাকড়াও করবেন যা তোমাদের অন্তরসমূহ অর্জন করেছে। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।
★কসম হবে কেবল আল্লাহর নামে অথবা তার কোন গুনের নাম নিয়ে অথবা কুরআন স্পর্শ করে।
অন্যথায় তাহা জায়েজ নয়।
★শরীয়তের বিধান হলো কেহ যদি কসম করার সাথে সাথেই ইনশাআল্লাহ বলে তাহলে সেই কসম বাতিল হয়ে যায়।
সেটি আর পূর্ণ করতে হয়না,সেটি ভঙ্গ করলে কাফফারাও দিতে হয়না।
,
ফাতাওয়ায়ে শামীতে উল্লেখ আছেঃ
وصل بحلفہ إن شاء اللہ بطل یمینہ وکذا یبطل بہ أي بالاستثناء المتصل کل ما تعلق بالقول عبادة أو معاملة․ (درمختار مع الشامي: ۵/۵۲۷، ط: زکریا).
সারমর্মঃ
কেহ যদি কসমের সাথে ইনশাআল্লাহ যুক্ত করে,তাহলে কসম বাতিল হয়ে যাবে।
একই ভাবে সাথে সাথে ইস্তেছনা করার দ্বারা ইবাদত বা লেনদেন সংক্রান্ত কথা বাতিল হয়ে যাবে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
যেহেতু কেহ কসম করার সাথে সাথেই ইনশাআল্লাহ বললে, সেই কসম বাতিল হয়ে যায়।
সেই হিসেবে কেহ যদি কসমের বাক্য না বলে ইনশাআল্লাহ বলে,যেমনটি প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে,এক্ষেত্রে তো কোনো সমস্যাই নেই।
কসমই হবেনা,কাফফারার কোনো প্রশ্নই উঠেনা।
,
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো কাফফারা আদায় করতে হবেনা।