জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
রাসুলুল্লাহ সাঃ চিকিৎসা গ্রহন করতে আদেশ করেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ النَّمَرِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلَاقَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ، قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابَهُ كَأَنَّمَا عَلَى رُءُوسِهِمُ الطَّيْرُ، فَسَلَّمْتُ ثُمَّ قَعَدْتُ، فَجَاءَ الْأَعْرَابُ مِنْ هَا هُنَا وَهَا هُنَا، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَتَدَاوَى؟ فَقَالَ: تَدَاوَوْا فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَمْ يَضَعْ دَاءً إِلَّا وَضَعَ لَهُ دَوَاءً، غَيْرَ دَاءٍ وَاحِدٍ الْهَرَمُ
উসামাহ ইবনু শরীক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এস দেখলাম তাঁর সাহাবীদের মাথার উপর যেন পাখী বসে আছে, অর্থাৎ শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। আমি সালাম দিয়ে বসলাম। অতঃপর এদিক-সেদিক থেকে কিছু বেদুঈন এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো? তিনি বলেন, তোমরা চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করো; কেননা মহান আল্লাহ একমাত্র বার্ধক্য ছাড়া সকল রোগেরই ঔষধ সৃষ্টি করেছেন।
(আবু দাউদ ৩৮৫৫)
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُعَاذٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ، قَالَ قَالَتِ الأَعْرَابُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ نَتَدَاوَى قَالَ " نَعَمْ يَا عِبَادَ اللَّهِ تَدَاوَوْا فَإِنَّ اللَّهَ لَمْ يَضَعْ دَاءً إِلاَّ وَضَعَ لَهُ شِفَاءً أَوْ قَالَ دَوَاءً إِلاَّ دَاءً وَاحِدًا " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا هُوَ قَالَ " الْهَرَمُ "
বিশর ইবন মুআয উকাদী বাসরী (রহঃ) ... উসামা ইবন শারীক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বললেন, বেদুঈন আরবরা একবার বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি চিকিৎসা করব না? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ, হে আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা চিকিৎসা করবে, আল্লাহ তা‘আলা এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেননি যার কোন প্রতিষেধক তিনি রাখেন নি। কিন্তু একটি রোগের কোন প্রতিষেধক নেই। তাঁরা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ, সেটি কি? তিনি বললেন, বার্ধক্য। সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৪৩৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২০৩৮ [আল মাদানী প্রকাশনী] তিরমিজি ২০৪৫)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
অভিজ্ঞ ডাক্তারের মতে এই আংশিক চিকিৎসা নিলে যদি তার শারীরিক উপকার হয়,কোনো ক্ষতি না হয়,এবং তার যদি আর্থিক ভাবে কোনো সমস্যা না থাকে,সেক্ষেত্রে সে এই আংশিক চিকিৎসা নিবে।
নতুবা সে নিন্দিত ও গুনাহগার হবে।
,
তবে সে যদি যদি আর্থিক ভাবে সামর্থবান না হয়,বা এই আংশিক চিকিৎসা নিলে যদি তার শারীরিক উপকার না হয়,বা কোনো ক্ষতি হওয়ার আশংকা হয়,সেক্ষেত্রে
তিনি চাইলে এই আংশিক চিকিৎসা নেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন।
এতে কোনো গুনাহ নেই।
,
(০২)
না, এটি আত্মাহুতি এর শামিল হবেনা।