আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
283 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (33 points)

আসসালামু আলাইকুম মুহতারাম, 

কুরববানির গরুর বটের যে চর্বি সেটা তো ফেলে দিতে হয়, দুর্গন্ধ থাকায় কোনো ভাবেও ব্যবহার করা যায় না৷ সেই ফেলার উপযুক্ত চর্বিগুলো কিছু ক্রেতা ক্রয় করে এইরকম চর্বিকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগায়৷ এই রকম লোকের কাছে কুরবানির পশুর চর্বি বিক্রয় করলে কি কোনো গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/23322 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
কোরবানিকারী কোরবানির গোশত নিজে খেতে পারেন, হাদিয়া দিতে পারেন এবং সদকা করতে পারেন। দলিল হচ্ছে আল্লাহ্র বাণী: “অতঃপর তোমরা তা থেকে খাও এবং দুঃস্থ অভাবীকে আহার করাও”।[সূরা হাজ্জ, আয়াত: ২৮] আল্লাহ্ আরও বলেন: “তখন তোমরা তা থেকে খাও এবং আহার করাও এমন দরিদ্রকে যে ভিক্ষা করে এবং এমন দরিদ্রকে যে ভিক্ষা করে না। এভাবে আমরা সেগুলোকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছি যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর”।[সূরা হাজ্জ, আয়াত: ৩৬] সালামা বিন আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি্ ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমরা খাও, খাওয়াও এবং সংরক্ষণ করে রাখ”।[সহিহ বুখারী] হাদিসে ‘খাওয়াও’ কথাটি ধনীদেরকে হাদিয়া দেয়া এবং দরিদ্রদেরকে দান করাকে অন্তর্ভুক্ত করবে। আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমরা খাও, সংরক্ষণ করে রাখ এবং দান কর”।[সহিহ মুসলিম]

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্তে সম্পূর্ণ পশুকে আল্লাহর নামে বিলিয়ে দেয়ার নামই কুরবানি। যেজন্য এ পশুর মধ্য থেকে কাউকে বিনিময় হিসেবে কিছুই দেয়া যাবে না।
চামড়া বা গোশতকে কোনো কিছুর বিনিময়ে কাউকে-ই দেয়া যাবে না।নতুবা সম্পূর্ণ পশুকে যে আল্লাহর নামে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্তে দেয়া হয়েছে,তা বুঝা যাবে না। বরং তখন আল্লাহর নামে দেয়া পশুতে গায়রুল্লাহর সংশ্লিষ্টতা চলে আসবে,যা সম্পূর্ণ অনুচিত এবং কুরবানির উদ্দেশ্যর পরিপন্থী।


সুতরাং কুরবানির গোশতকে হয়তো নিজে খেতে হবে,বা বা মন চাইলে হাদিয়া দেয়া যাবে।তবে বিক্রি করা যাবে না,চর্বিকেও বিক্রি করা যাবে না। কেউ বিক্রি করে নিলে,উক্ত টাকা সদকাহ করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 145 views
...