ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মাছ বা মাংস যেভাবে মানুষরা খায়,ঠিক সেভাবে জ্বীনদের এক শ্রেণীও খায় বলে কোনো কোনো কিতাবে পাওয়া যায়।তবে অধিকাংশ বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, হাড্ডি এবং গোবর জ্বীনদের খাদ্য।
জ্বীনরা না বলে কিছু খায় না, তবে জ্বীনদের মধ্যে কিছু কিছু দুষ্ট জ্বীন এমনও রয়েছে,যারা অনুমতিহীন খেয়ে নেয়।সুতরাং বিনা অনুমতিতে জ্বীনরা কারো কাছ থেকে কিছু খেয়ে নিতে পারে।এর চিকিৎসা স্বরূপ সূরায়ে নাস ও সূরায়ে ফালাক পড়া যেতে পারে।তবে রসূন সাথে করে নেওয়ার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। হ্যা যদি রসূনকে জ্বীনরা ভয় পায় বলে বিজ্ঞজনরা বলে থাকেন,তাহলে রসুন সাথে রাখা যেতে পারে। তবে রসুনকে যে সাথে রাখতেই হবে,এরকম কোনো বাধ্যবাধকতা শরীয়তে নাই।
বরং এমন আকিদা বিশ্বাস পোষণ করা বিদ'আত ও কুসংস্কার বলে বিবেচিত হবে।
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أمِّ المؤمنين أم عبدالله عائشةَ رضي الله عنها قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ((من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رَدٌّ))؛ [رواه البخاري ومسلم]، وفي رواية لمسلم: ((من عمِل عملًا ليس عليه أمرنا فهو رَدٌّ)).
মর্মার্থ- দ্বীনে ইসলামে নতুন কিছু আবিস্কার করা,সংযোজিত করার নামই হল বিদআত।