আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
1,016 views
in সালাত(Prayer) by (72 points)
শায়খ
মাজুর ব্যক্তির সংজ্ঞা আমরা জানি যে কোন পূর্ণ ওয়াক্ত সময়ের মধ্যে যদি একটু সময়ও না পায় যে ফরজ সালাত আদায় করতে পারে অর্থাৎ ওজর উপস্থিত থাকে তাহলে তাকে মাজুর বলা হয়।(আমি অনবরত বায়ু আসা কে উদাহরণ হিসেবে বলতে চাই)

১)আমার প্রশ্ন হলো, যে ওয়াক্ত কেউ মাজুর কিনা এটা নির্ণয়ে কাটাবে ওই ওয়াক্তের নামাজ কি ওজর অবস্থায় ই আদায় করে নিবে?
২) কোনো ওয়াক্ত নামাজ পড়ার সময় যদি তার এই ওজর একবার আসে এবং সেটাকে সে ওয়াসওয়াসা হিসেবে ধরে নেয় বা নিশ্চিত না হওয়ার কারণে নামাজ আর দ্বিতীয়বার না পড়ে তাহলে কি নামাজ আদায় হয়ে যাবে? নাকি কাজা নামাজ পড়তে হবে?(ওয়াক্তের পড়ে মোটামুটি নিশ্চিত হয় যে হয়ত বায়ু ই বের হচ্ছে)

৩) আর মাজুর কিনা এইটা নির্ণয় এর জন্য কি ওয়াক্তের মাকরুহ সময় টুকুও দেখবে?

JajakAllahu khairan.

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ভূমিকা
কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়াজ জন্য শর্ত হলো,
شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-
শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)

সুতরাং যদি কোনো একদিন কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,বায়ু উযরের কারণে ফরয নামায পড়া আপনার জন্য সম্ভবপর না হয়,তাহলে আপনি মা'যুর। অন্যথায় শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।কেউ শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হলে,তার জন্য প্রতি ওয়াক্তে একটি ওজুই যথেষ্ট।আর শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত না হলে,তখন প্রতি নামাযের জন্য পৃথক পৃথক ওজু করতে হবে।নামাযে যখনই ওজু চলে যাবে,তখন আবার ওজু করে নামাযকে পড়তে হবে।যখন সারা ওয়াক্ত ব্যাপী উযর দেখা দিবে,তখন আপনি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবেন।কিন্তু যদি উযর কখনো কমে আসে,সারা ওয়াক্ত ব্যাপী না থাকে,বরং কমপক্ষে এতটুকু সময় পাওয়া যায় যে,উক্ত ওয়াক্তের ফরয সুন্নত নামায পড়া যায়,তাহলে তখন ঐ ব্যক্তি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবে না।সুতরাং তখন হুকম হলো,প্রয়োজন হলেও বারবার ওজু করে নামাযকে সম্পন্ন করা।যখন আপনার এ রোগ কমে আসবে,তখন আপনি প্রয়োজনে বারংবার অজু করে ঐ নামাযকে সম্পন্ন করবেন।অজুকে ধরে রাখার কৌশল হিসেবে প্রয়োজনে চেয়ারে বসে নামায পড়তে পারেন।যদি চেয়ারে বসে নামায পড়ে নিতে পারেন এবং অজু ভঙ্গ না হয়,তখন কিন্তু আপনি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবেন না।বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/4504

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)আপনি মাজুর কিনা? এটা নির্ণয়ের জন্য যে ওয়াক্তে পরীক্ষা করবেন, সেই ওয়াক্তের একেবারে শেষ মুহুর্তে আপনি মা’যুর হিসেবেই উক্ত ওয়াক্তের নামায পড়বেন।
(২) বায়ু বের হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে সেটাকে ওয়াসওয়াসা হিসেবেই ধরে নিতে হবে। যদি কেউ ওয়াক্তের পর মোটামুটি নিশ্চিত হয় যে, হয়ত বায়ু-ই নির্গত হয়েছিল, তাহলে তার জন্য উক্ত ওয়াক্তের নামায কাযা করা ওয়াজিব। 
(৩) মা’যুর কি না? সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওয়াক্তের মাকরুহ ওয়াক্তকেই দেখতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 155 views
...