ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মৃত ব্যক্তির জন্য দু'আ করতে পারেন। কুরআনে কারীম তেলাওয়াত করে তাদের নামে বখশিয়ে দিতে পারেন। হ্যা দু'আ নিয়তে আরো অনেক কিছুই করতে পারেন। তন্মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হচ্ছে তাদের নামে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে মসজিদ-মাদরাসা নির্মাণ করে দেয়া।এবং তাদের নামে রাস্তাঘাট ও চিকিৎসা কেন্দ্র নির্মাণ সহ যাবতীয় সমাজসেবা মূলক কাজ করা। অর্থাৎ সর্ব প্রকার ভালো কাজ করে তাদের নামে সওয়াব বখশিয়ে দেয়া।তবে টাকার বিনিময়ে খতমে কোরাআন বা অন্য কোরো খতম করিয়ে ঈসালে সওয়াব করানো জায়েয হবে না।
আল্লাম ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
ﻭﺃﺧﺬ ﺍﻷﺟﺮﺓ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺬﻛﺮ ﻭﻗﺮﺍﺀﺓ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ، ﻭﻏﻴﺮ ﺫﻟﻚ ﻣﻤﺎ ﻫﻮ ﻣﺸﺎﻫﺪ ﻓﻲ ﻫﺬﻩ ﺍﻷﺯﻣﺎﻥ، ﻭﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﻛﺬﻟﻚ ﻓﻼ ﺷﻚ ﻓﻲ ﺣﺮﻣﺘﻪ ﻭﺑﻄﻼﻥ ﺍﻟﻮﺻﻴﺔ ﺑﻪ، ﻭﻻ ﺣﻮﻝ ﻭﻻ ﻗﻮﺓ ﺇﻻ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﺍﻟﻌﻠﻲ ﺍﻟﻌﻈﻴﻢ-
আল্লাহর যিকির বা কুরআন তেলাওয়াত করে বিনিময় গ্রহণ করা মাকরুহ।যে প্রথা বর্তমান সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরকম প্রথা/রুসুম চালু হয়ে গেলে সেটা হারাম হবে।এবং এর ওসিয়ত বাতিল করলে সেটাও বাতিল বলে গণ্য হবে। এতে কোনো সন্দেহ নাই। {রদ্দুল মুহতার(শামেলা):২/২৪১ আহসানুল ফাতাওয়া-৭/২৯৯}
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
কুরআনে কারীম মানব জাতির জন্য শে'ফা স্বরূপ নাযিল হয়েছে।বাহ্যিক ও অন্তর্গত সকল বিষয়ে কুরআনে কারীম মানব জাতির জন্য কল্যাণকর। কুরআনে কারীম যেভাবে একজন মানুষকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর পথে নিয়ে আসতে পারে। ঠিকতেমনি বাহ্যিক অসুস্থতাকে সুস্থতায় পরিণত করে দিতেও পারে।কুরআনে কারীম মূত্যুর পরও কাজ দিবে।অর্থাৎ আল্লাহর হুকুমে তেলাওয়াতকারীকে করব জগতের আ'যাব থেকে রক্ষা করবে। মোটকথা,ঈসালে সওয়াব(কাউকে সওয়াব পৌছিয়ে দেয়া) হিসেবে কুরআনে কারীম তেলাওয়াত করা যাবে।তবে এক্ষেত্রে বিনিময় গ্রহণ করা যাবে না। তবে হ্যা দুনিয়াবি প্রয়োজন হিসেবে চিকিৎসা স্বরূপ বিনিময়ের সাথে কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে বা কোনো বিশেষ সূরা পড়া যাবে। এক্ষেত্রে অনুমোদন রয়েছে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/997 (শেষ)
সুরা ইয়াসিন, সুরা মূলক পড়ে ২ রাকাত নফল নামাজ পড়ে আপনি মৃত ব্যক্তির রুহের মাগফিরাত কামনা করে তার নামে বখশিয়ে দিতে পারবেন। এছাড়া আপনি যাবতীয় নেকাকাজ ঐ মৃত ব্যক্তির নামে করতে পারবেন।