ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মাসিক অনিয়মিত হলে এখানে বিবেচনার কোনো দিক নাই। বরং যখনই হায়েয শেষ হবে, তখনই সহবাস করা যাবে। সহবাসের সম্পর্ক হায়েয হওয়া না হওয়ার সাথে। হায়েয যখন থাকবে, তখন সহবাস করা যাবে না। যখন হায়েয থাকবে না, তখনই সহবাস করা যাবে। হ্যা, হায়েয কি না ? এ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া না গেলে, তখন সতর্কতামূলক ১০ দিন পর্যন্ত সহবাস থেকে বিরত থাকা যাবে।
মাসিক চলাকালীন সময়ে হাটু থেকে উরুর অংশ পর্যন্ত স্থানের দিকে তাকানো বা ধরা জায়েয রয়েছে।
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
عن ابن عمر رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : " لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئاً من القرآن
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,হায়েযা এবং জুনবী ব্যক্তি কুরআন থেকে কিছুই পড়তে পারবে না।(সুনানু তিরমিযি-১৩১) বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/389
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
মাসিক চলাকালীন সময়ে কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে না। তবে দু’আর নিয়তে কুরআনের ঐ সমস্ত আয়াত পড়া যাবে, যে আয়াত সমূহে দু’আর অর্থ বিদ্যমান রয়েছে। সে হিসেবে আমরা বলব, চার কুল, আয়তুল কুরসি,এবং সূরায়ে হাশরের শেষ ৩ আয়াত আপনি পড়তে পারবেন। কেননা এগুলো কে দু’আ হিসেবে পড়ার কথা হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।