আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
373 views
in সাওম (Fasting) by (59 points)
আরাফার রোজা সৌদি হিসাবে ৯ জিলহজ্জ ১৯ জুলাইতে রাখবো নাকি স্থানীয় চাঁদ দেখা তথা বাংলাদেশি হিসাবে ৯ জিলহজ্জ ২০ জুলাইতে রাখবো। এব্যাপারটি জানতে চাই। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছি এবং লোকাল চাঁদ দেখার হিসাব অনুযায়ী ইদ পালন করি।

1 Answer

+1 vote
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


আরাফার রোজা হয় জিলহজ মাসের ৯ তারিখ।
সুতরাং বাংলাদেশে আগামী ২০ জুলাই মঙ্গলবার আরাফার রোযা রাখতে হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُسَدَّدٌ، قَالَا: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ غَيْلَانَ بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدٍ الزِّمَّانِيِّ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ رَجُلًا، أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ تَصُومُ؟، فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ قَوْلِهِ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ عُمَرُ قَالَ: رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا، وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا، وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا، نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ غَضَبِ اللَّهِ، وَمِنْ غَضَبِ رَسُولِهِ، فَلَمْ يَزَلْ عُمَرُ يُرَدِّدُهَا حَتَّى سَكَنَ غَضَبُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ بِمَنْ يَصُومُ الدَّهْرَ كُلَّهُ؟، قَالَ: لَا صَامَ وَلَا أَفْطَرَ، قَالَ مُسَدَّدٌ: لَمْ يَصُمْ وَلَمْ يُفْطِرْ، أَوْ مَا صَامَ وَلَا أَفْطَرَ - شَكَّ غَيْلَانُ - قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ بِمَنْ يَصُومُ يَوْمَيْنِ وَيُفْطِرُ يَوْمًا؟، قَالَ: أَوَ يُطِيقُ ذَلِكَ أَحَدٌ؟، قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَكَيْفَ بِمَنْ يَصُومُ يَوْمًا، وَيُفْطِرُ يَوْمًا؟، قَالَ: ذَلِكَ صَوْمُ دَاوُدَ، قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَكَيْفَ بِمَنْ يَصُومُ يَوْمًا، وَيُفْطِرُ يَوْمَيْنِ؟ قَالَ: وَدِدْتُ أَنِّي طُوِّقْتُ ذَلِكَ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ثَلَاثٌ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَرَمَضَانُ إِلَى رَمَضَانَ، فَهَذَا صِيَامُ الدَّهْرِ كُلِّهِ، وَصِيَامُ عَرَفَةَ إِنِّي أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ، وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ، وَصَوْمُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ إِنِّي أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ

আবূ কাতাদাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এক ব্যক্তি এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কিভাবে সওম রাখেন? এতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসন্তুষ্ট হলেন। উমার (রাযি.) তা দেখতে পেয়ে বললেন, আমরা আল্লাহকে আমাদের রব, ইসলামকে আমাদের দীন এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমাদের নবী হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট। আমরা আল্লাহর কাছে তাঁর রাসূলের অসন্তুষ্টি থেকে আশ্রয় চাই। উমার (রাযি.) উক্ত বাক্যটি বারবার বলতে লাগলেন, এক পর্যায়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অসন্তুষ্টির ভাব দূরীভূত হলো। এরপর উমার (রাযি.) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ঐ ব্যক্তি কেমন যে সারা বছর সওম রাখে? তিনি বললেনঃ এমনও কি কেউ সামর্থ্য রাখে? তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ঐ ব্যক্তি কেমন যে দুই দিন সওম পালন করে এবং একদিন রোযদীন থাকে? তিনি বললেন, কেউ কি এরূপ করতে সক্ষম?

তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এ ব্যক্তি কেমন যে একদিন সওম পালন করে এবং একদিন রোযহীন থাকে? তিনি বললেন, তা দাঊদ (আঃ)-এর সওমের মতই। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! ঐ ব্যক্তির সওম কেমন যে একদিন সওম রেখে দু‘দিন রোযাহীন থাকে? তিনি বললেনঃ আমি এটাই কামনা করি, যেন আমাকে এরূপ করার শক্তি দেয়া হয়। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ প্রতি মাসে তিনটি সওম এবং এক রমাযান থেকে পরবর্তী রমাযান পর্যন্ত প্রতি বছরের রমাযানের সওম, এটাই হচ্ছে সর্বদা সওম পালনের সমতুল্য। আরাফাহ্ দিনের সওম আমি আল্লাহর কাছে আশা করি, এর দ্বারা তিনি পূর্বের এক বছর এবং পরের বছরের গুনাহ ক্ষমা করবেন। আর আশূরার সওম, আমি আল্লাহর কাছে আশা করি তিনি (এর বিনিময়ে) আগামী এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করবেন।
(আবু দাউদ ২৪২৫.মুসলিম, তিরমিযী, নাসায়ী, আহমাদ। ইমাম তিরমিযী বলেন: হাদীসটি হাসান।)
,
বিস্তারিত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...