বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কোনো ব্যক্তি তার বালিগ সন্তান এবং তার স্ত্রীর অনুমতি ব্যতিত সে কুরবানি দিতে পারবে না। দিলে তাদের ওয়াজিব আদায় হবে না। হ্যা, নফল হিসেবে ঐ কুরবানির সওয়াব পৌছানো যাবে।
وليس على الرجل أن يضحي عن أولاده الكبار وامرأته إلا بإذنه
[«الفتاوى العالمكيرية = الفتاوى الهندية» (5/ 293)]
একজন ব্যক্তি অন্যজনের ওয়াজিব কুরবানি আদায় করতে হলে,তাকে ঐ ব্যক্তির অনুমতি নিয়ে আদায় করতে হবে। অনুমতি না নিলে,কুরবানি আদায় হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
বড় ভাই যদি ছোট ভাইয়ের ওয়াজিব কুরবানি আদায় করতে চায়,তাহলে অবশ্যই ছোট ভাইয়ের অনুমতি নিতে হবে।অনুমতি না নিলে কুরবানি আদায়-ই হবে না।
গরু দ্বারা কুরবানি দিলে সাত ভাগের সব কয়টা ভাগকে নিজের জন্য রাখা যাবে।এবং পরিবারের যাদের উপর কুরবানি ওয়াজিব নয়,তাদের অনুমতি ব্যতিত নফল হিসেবে তাদের নামেও রাখা যাবে।কিন্তু যাদের উপর ওয়াজিব,তাদের অনুমতি নিতে হজে। পরিবারে আর কারো উপর কুরবানি ওয়াজিব না হলে,পরিবারের যেকোনো ছয়জনকে তাদের অনুমতি ব্যতিত আপনি ঐ কুরবানিতে শরীক করতে পারবেন।এভাবে পরিবারের পক্ষ্য থেকে কুরবানি আদায় করার কোনো নিয়ম শরীয়তে নাই।কেননা কুরবানি ব্যক্তির উপর ওয়াজিব হয়ে থাকে,পরিবারের উপর ওয়াজিব হয় না।
কুরবানী ৭ ভাগে হয়ে থাকে এই সাত ভাগে আলাদা আলাদা সাত জনের নাম দিতে হবে।
মনে মনে নিয়ত রাখতে হবে। যারা কুরবানি দিবেন, তারা মনে মনে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়ত রাখবেন।