আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
353 views
in সাওম (Fasting) by (35 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকা তুহ  
হজরত,

১.রমজান মাস ব্যাতিত অন্যান্য মাসে  সেহরির নির্দিষ্ট সময়ের পর কেউ যদি কোনো কিছু খায় তাহলে কি রোজা হবে?
সেহরির শেষ সময়ের পর রমজান মাসে শুনলাম ৩ মিনিটের ভিতরে খেলে রোজা থাকবে নাহলে থাকবে না।এইটা কি সহিহ? আর রমজান মাস ছাড়া এর সময় কি?
এই সময়টুকু একটু বুঝিয়ে বলার অনুরোধ রইলো শায়েখ।

২.সেহরির শেষ সময়ের পর অনেকে খেয়ে আবার সারাদিন রোজা রাখেন।তাদের রোজা কি কবুল হবে? কবুল না হলে তাদের এখন করনীয় কি? কতটি রোজা সময়ের পর খেয়েছেন এর হিসেব না থাকলে কি করনীয়?

৩.রোজা রেখে দাঁত ব্রাশ করা যাবে? রোজাবস্তায় ছালি বা দাঁতমাজন ব্যবহার করা যাবে?   
৪.রমজান মাস ব্যাতিত অন্যান্য মাসে ফজরের জামাত থাকে সেহরির খাবার ৫০-৬০ মিনিট পর।সেক্ষেত্রে ওয়াক্ত হওয়ার পর আমি যদি বাসায় নামাজ পড়ে শুয়ে পড়ি তাহলে কি গুনাহ হবে?


৫.রমজান মাসের ফরজ রোজার কাযা রোজা এখন জিলহজ্জ মাসের নফল রোজার নিয়তে  একসাথে করলে কি একই সাথে (কাযা+জিলহজ্জ মাসের নফল রোজা)  হয়ে যাবে? নাকি আলাদাভাবে ফরজ রোজার কাযা আদায় করতে হবে?
জাযাকাল্লাহু খইরন শায়েখ।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

(১)
রমজান বলেন আর রমজান ছাড়া বলেন, কোনো সময়ই সেহরির শেষ সময় গত হওয়ার পর আর খাওয়া যাবে না।সাহরির শেষ সময় গত হওয়ার পর ভক্ষণ করলে আর রোযা হবে না।ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিক ক্যালেন্ডার দেখে সেহরি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।


(২)
যতটা রোযা এভাবে রেখেছেন,তার হিসাব করে দেখবেন।হিসাব করে করে আপনি সবগুলো রোযার কাযা করে নিবেন। হিসাব করা সম্ভব না হলে,অনুমানের উপর বিত্তি করে আপনি কাযা করে নিবেন।


(৩)
রোযা অবস্থায় ট্রুথ ব্রাশ, দাত মাজন ইত্যাদি ব্যবহার করা মাকরুহ।

(৪)
জামাতের সাথে নামায পড়া সুন্নতে মু'ক্কাদা বা ওয়াজিব।সুতরাং আপনি যদি বিনা প্রয়োজনে ঘরে ফজরের নামায পড়েন,তাহলে আপনার গোনাহ হবে।

(৫)
ফরয রোযার কাযা পৃথক ভাবে আদায় করতে হবে।এবং জিলহজ্ব মাসের রোযাকে পৃথকভাবে রাখতে হবে,যদি রাখার নিয়ত থাকে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 115 views
0 votes
1 answer 248 views
0 votes
1 answer 251 views
+1 vote
1 answer 194 views
...