বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ব্যাংক লোন সুদ। আর সুদ হারাম। সুতরাং ব্যাংক লোন গ্রহণ করা কখনো জায়েয হবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
اَلَّذِیْنَ یَاْكُلُوْنَ الرِّبٰوا لَا یَقُوْمُوْنَ اِلَّا كَمَا یَقُوْمُ الَّذِیْ یَتَخَبَّطُهُ الشَّیْطٰنُ مِنَ الْمَسِّ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَالُوْۤا اِنَّمَا الْبَیْعُ مِثْلُ الرِّبٰوا ۘ وَ اَحَلَّ اللهُ الْبَیْعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا فَمَنْ جَآءَهٗ مَوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّهٖ فَانْتَهٰی فَلَهٗ مَا سَلَفَ وَ اَمْرُهٗۤ اِلَی اللهِ وَ مَنْ عَادَ فَاُولٰٓىِٕكَ اَصْحٰبُ النَّارِ هُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ.
যারা সুদ খায় তারা (কিয়ামতের দিন) সেই ব্যক্তির মতো দাঁড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। এটা এজন্য যে, তারা বলে, ক্রয়-বিক্রয় তো সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। যার নিকট তার প্রতিপালকের উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, তবে অতীতে যা হয়েছে তা তারই। আর তার ব্যাপার আল্লাহর এখতিয়ারে। আর যারা পুনরায় করবে তারাই জাহান্নামের অধিবাসী হবে। সেখানে তারা হবে চিরস্থায়ী। -সূরা বাকারা (২) :
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ব্যাংক লোন ব্যতিত কারো নিকট যদি অন্য কোনো নেসাব পরিমাণ মাল না থাকে,চায় নামী হোক বা গায়রে নামী হোক? কুরবানি ওয়াজিব হবে না। আর যদি ব্যাংক লোন ব্যতিত কারো নিকট নেসাব পরিমাণ মাল থাকে, চায় উক্ত মাল গায়রে নামী হোক,তার উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে। কুরবানি ওয়াজিব অবস্থায় যদি কেউ ব্যাংক লোন দ্বারা কুরবানি করে, তার কুরবানি গ্রহণযোগ্য হবে না।