আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
384 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
closed by
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ

আলহামদুলিল্লাহ আমার একটি বিড়াল রয়েছে,  সে একটি মেয়ে বিড়াল, ফলে কিছুদিন পরপরই তার বাচ্চা হয়। কিন্তু, আমার ধারণা অনুযায়ী সে এই দায়িত্বের জন্য শারীরিকভাবে সমর্থ নয়। তার প্রত্যেকবারের বাচ্চাগুলো মারা যায়, এবং সে খুবই দূর্বল হয়ে যায়। আমার ভয় হয়, আমাদের সবার ভালোবাসার বিড়ালটি এভাবে যদি মারা যায়! খুব বেশি দূর্বল হয়ে যায় সে! বাচ্চাগুলোও বাঁচে না! আমার ধারণা ছিল, নিউটার করানো জায়েয নয়, তাই আমি আমার ফ্যামিলিকে মানা করে দিয়েছিলাম। কিন্তু... এখন একজন দ্বীনি ভাইয়ের প্রশ্নে দেখলাম তিনি দেখেছেন ইউটিউবে যে এটা জায়েয। আর মুফতি ইমদাদুল হক উত্তর দিয়েছেন যে বিড়াল এখানে সেখানে প্রস্রাব করে দেয়, এই কারণে তা জায়েয। আমার দর্শানো কারণে কি তা জায়েয হবে? তার জীবনের ঝুঁকি ত্যাগ করতে?
জাযাকুমুল্লহু খইরন ফিদ দুনিয়া ওয়াল আখিরহ
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ
closed
by (597,330 points)
আপনি কি জানতে চাচ্ছেন? সেটা আমাদের খুলে বলবেন? জাযাকুমুল্লাহ। আপনি কি বিড়াল বন্ধ্যাকরণ নিয়ে জানতে চাচ্ছেন।  
by (13 points)
জ্বী উস্তায, আমি এই ব্যাপারেই জানতে চাচ্ছি। বিড়ালটি যদি বাচ্চা দিতে গিয়ে বারবার দূর্বল হয়ে যায় আর তার বাচ্চা মারা যায়, তাহলে কি তাকে বন্ধ্যাত্বকরণ জায়েয? 
by (13 points)
কিন্তু আমার বলায় একটা ভুল হয়েছে, আমি বলেছি যে উল্লেখ্য ফাতওয়াটি আপনি দিয়েছেন  কিন্তু তা মুফতি ওলি উল্লাহ দিয়েছিলেন। আমার মনে ছিল না। 

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
selected by
 
Best answer

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যেহেতু বিড়ালটি শারিরিকভাবে বাচ্ছা দানের উপযোক্ত নয়, তাছাড়া বিড়ালটি দিনদিন দুর্বল হচ্ছে, তাই উক্ত বিড়ালের বন্ধ্যাকরণ জায়েয হবে ইনশাআল্লাহ। 
ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
স্থান-কাল-পাত্র বেধে সময়ের  প্রয়োজনে ফুকাহায়ে কিরামগন সহজতার স্বার্থে আসল হুকুম থেকে সরে এসে তার বিপরীত সাময়িক হুকুম মাঝেমধ্যে প্রয়োগ করে থাকেন।একেই পরিভাষায় জরুরত বলে। জরুরত বা সময়ের চাহিদায় অনেক বিধিত সিদ্বান্তকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক পরিবর্তন করে দেয়।
এরকম কিছু ফিকহী মূলনীতি 'উসূলে ফিকহ' এর কিতাবাদিতে সবিস্তারে বর্ণিত আছে,তন্মধ্যে কিছু মূলনীতি হল।
 যথাক্রমেঃ-
 ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।

সুতরাং বিশেষ প্রয়োজন বশত আপনি ঐ বিড়ালটির বন্ধ্যা করতে পারবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...