বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ফরজ নামাযের আগে পরের সুন্নতে মুআক্কাদার অত্যধিক গুরুত্ব দেয়া উচিত। এ কারণেই ফুক্বাহায়ে কেরাম লিখেন যে,
ﺭﺟﻞ ﺗﺮﻙ ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﺍﻥ ﻟﻢ ﻳﺮ ﺍﻟﺴﻨﻦ ﺣﻘﺎ ﻓﻘﺪ ﻛﻔﺮ، ﻷﻧﻪ ﺗﺮﻛﻬﺎ ﺍﺳﺘﺨﻔﺎﻓﺎ ( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ - 2/492 ، ﺑﺪﺍﺋﻊ ﺍﻟﺼﻨﺎﺋﻊ - 1/644
যদি কেউ সুন্নতকে হক মনে না করে এটাকে ছেড়ে দেয়, তাহলে এ কর্ম তাকে কুফরী পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে।
ﻭﺍﻥ ﺭﺁﻫﺎ ﺣﻘﺎ ﻓﺎﻟﺼﺤﻴﺢ ﺃﻧﻪ ﻳﺄﺛﻢ، ﻷﻧﻪ ﺟﺎﺀ ﺍﻟﻮﻋﻴﺪ ﺑﺎﻟﺘﺮﻙ، ﻛﺬﺍ ﻓﻰ ﻣﺤﻴﻂ ﺍﻟﺴﺮﺧﺴﻰ، ( ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ - 1/112
তবে কেউ যদি সুন্নতকে সহীহতো মনে করে, কিন্তু অলসতা করে ছেড়ে দেয়। তাহলে সে গোনাহগার হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/400
জোহর ও জুম্মার সুন্নতে কাবলিয়্যাহ যদি এগুলো তরক হয়ে যায়,তাহলে জোহরের ওয়াক্তের ভিতর জোহরের ফরয এবং ফরয পরবর্তী সুন্নত নামাযের পর(ফরয পরবর্তী সুন্নতের আগে না পরে পড়তে হবে?এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে) সেগুলোকে পড়ে নেয়া জরুরী।তবে ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর জরুরী নয়।
لما في الدرالمختار ج٢-ص٥٨
(بخلاف سنة الظهر) وكذا الجمعة (فإنه) إن خاف فوت ركعة (يتركها) ويقتدي (ثم يأتي بها) على أنها سنة (في وقته) أي الظهر (قبل شفعه) عند محمد، وبه يفتى جوهرة.
و في ردالمحتار تحت
(قوله في وقته) فلا تقضى بعده لا تبعا ولا مقصودا بخلاف سنة الفجر.
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জোহরের পূর্বের চার রাকাত নামায সুন্নতে মুয়াক্কাদা। আর আছরে এবং ইশার পূর্বের চার রাকাত সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদা। সুতরাং বিনা কারণে যোহরের নামাযকে পরিত্যাগ করলে অবশ্যই গোনাহ হবে। আর ইশা এবং আছরের পূর্বের নামায কে পরিত্যাগ করলে যদিও গোনাহ হবে না, তবে পড়া উত্তম ও সওয়াবের কাজ। যদি কেউ কোনো কারণে যোহরের পূর্বের চার রাকাত নামাযকে পড়তে না পারে, তাহলে সে যোহরের ফরয নামায পড়ার পর পড়বে।