ওয়া আলাইকুমুস-সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
১.
রমজানের রোজা, নির্দিষ্ট মানতের রোজা ও নফল রোজার নিয়ত রাত থেকে
শুরু করে দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত করা যাবে। হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ ـ رضى الله عنه
ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ رَجُلاً يُنَادِي فِي النَّاسِ،
يَوْمَ عَاشُورَاءَ " أَنْ مَنْ أَكَلَ فَلْيُتِمَّ أَوْ فَلْيَصُمْ،
وَمَنْ لَمْ يَأْكُلْ فَلاَ يَأْكُلْ ".
সালমা ইবনু আকওয়া
(রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, ‘আশূরা (আশুরা/আসুরা/আসূরা)র
দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যাক্তিকে এ বলে লোকদের মধ্যে ঘোষণা দেওয়ার
জন্য পাঠালেন, যে ব্যাক্তি খেয়ে ফেলেছে সে
যেন পূর্ণ করে নেয় অথবা বলেছেন, সে যেন সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম)
আদায় করে নেয় আর যে এখনো খায়নি সে যেন আর না খায়। সহীহ বুখারী, ১৮০২)
আর রমজানের কাজা, সাধারণ মানত, কাফফারা ও যিহারের
কাফফারা রোজার নিয়ত রাতে না করলে রোজা বিশুদ্ধ হবে না।
হাদীস শরীফে এসেছে।
উম্মুল মুমিনীন হাফসা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
من
لم يجمع الصيام قبل الفجر فلا صيام له.
যে ব্যক্তি ফজরের
আগে রোযা রাখার নিয়ত করবে না তার রোযা (পূর্ণাঙ্গ) হবে না।-সুনানে আবু দাউদ ১/৩৩৩
২.
ফজরের নামাজ সুন্নতসহ কোন কারণে পড়তে না পারলে উভয়টির কাযা সুর্য উদিত
হবার পর আদায় করবে ।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « إِذَا رَقَدَ أَحَدُكُمْ عَنِ الصَّلاَةِ أَوْ
غَفَلَ عَنْهَا فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ أَقِمِ
الصَّلاَةَ لِذِكْرِى
অনুবাদ-যখন তোমাদের
কেউ নামায ছেড়ে ঘুমিয়ে পড়ে, বা নামায থেকে গাফেল
হয়ে যায়, তাহলে তার যখন বোধোদয় হবে
তখন সে যেন তা আদায় করে নেয়। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-আমাকে স্মরণ হলে নামায
আদায় কর। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬০১
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ
اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ لَمْ يُصَلِّ رَكْعَتَيِ الفَجْرِ
فَلْيُصَلِّهِمَا بَعْدَ مَا تَطْلُعُ الشَّمْسُ
হযরত আবু হুরায়রা
রা: থেকে বর্ণিত যে, নবীজি সা: বলেন-যে ফজরের দুই
রাকআত সুন্নত (সময়মতো) পড়ল না সে যেন সূর্যোদয়ের পর তা আদায় করে। ( জামে তিরমিজী-১/৯৬, হাদীস নং-৪২৩
অন্য এক হাদীসে এসেছে-
أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ فَاتَتْهُ
رَكْعَتَا الْفَجْرِ، فَقَضَاهُمَا بَعْدَ أَنْ طَلَعَتِ الشَّمْسُ
হযরত ইমাম মালেক রহ:
বলেন, আমি জেনেছি যে, আবদুল্লাহ বিন ওমর রা: এর ফজরের দুই রাকাআত ছুটে
গিয়েছিল। তিনি তা সূর্যোদয়ের পর আদায় করেন। (মুয়াত্তা মালিক-৪৫, হাদীস নং-৪২২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
১. আপনার রোজা যদি
নফল রোজা অথবা নির্দিষ্ট মানতের রোজা হয়ে
থাকে তাহলে উক্ত রোজা সহীহ হয়ে গিয়েছে।
২.যেহেতু সুন্নত নামাজের
কাজা নেই। আর ফজরের দুই রাকাত সুন্নত এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। তাই যেদিন ফজরের
নামাজ ফরজ ও সুন্নত উভয়টি কাজা হবে সেদিনই যদি সূর্য উদিত হওয়ার পর পড়েন তাহলে ফরজ
ও সুন্নত উভয়টির কাজা করবেন। আর যদি অন্য কোন দিন কাযা আদায় করেন তাহলে শুধু দু রাকাত
ফরজ পড়লেই হবে, সুন্নত পড়া লাগবে না।