গাউসে আযম অর্থ সবচেয়ে বড় সাহায্যকারী।
শরীয়তের বিধান হলো এই নামে কাউকে ডাকা জায়েজ নেই।
কেহ যদি এই আকীদায় কাউকে ডাকে যে সে আমার মুশকিল,পেরেশানি দূর করে দিতে পারবে।
তাহলে তার এই আকীদা রাখা স্পষ্ট শিরক।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كُنْتُ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا فَقَالَ " يَا غُلاَمُ إِنِّي أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ احْفَظِ اللَّهَ يَحْفَظْكَ احْفَظِ اللَّهَ تَجِدْهُ تُجَاهَكَ إِذَا سَأَلْتَ فَاسْأَلِ اللَّهَ وَإِذَا اسْتَعَنْتَ فَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ وَاعْلَمْ أَنَّ الأُمَّةَ لَوِ اجْتَمَعَتْ عَلَى أَنْ يَنْفَعُوكَ بِشَيْءٍ لَمْ يَنْفَعُوكَ إِلاَّ بِشَيْءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللَّهُ لَكَ وَلَوِ اجْتَمَعُوا عَلَى أَنْ يَضُرُّوكَ بِشَيْءٍ لَمْ يَضُرُّوكَ إِلاَّ بِشَيْءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَيْكَ رُفِعَتِ الأَقْلاَمُ وَجَفَّتِ الصُّحُفُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন এক সময় আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পিছনে ছিলাম। তিনি বললেনঃ হে তরুণ! আমি তোমাকে কয়েকটি কথা শিখিয়ে দিচ্ছি- তুমি আল্লাহ্ তা'আলার (বিধি-নিষেধের) রক্ষা করবে, আল্লাহ তা'আলা তোমাকে রক্ষা করবেন। তুমি আল্লাহ্ তা'আলার সন্তুষ্টির প্রতি লক্ষ্য রাখবে, আল্লাহ্ তা'আলাকে তুমি কাছে পাবে। তোমার কোন কিছু চাওয়ার প্রয়োজন হলে আল্লাহ তা'আলার নিকট চাও, আর সাহায্য প্রার্থনা করতে হলে আল্লাহ্ তা'আলার নিকটেই কর।
আর জেনে রাখো, যদি সকল উন্মাতও তোমার কোন উপকারের উদ্দেশে ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে ততটুকু উপকারই করতে পারবে, যতটুকু আল্লাহ তা'আলা তোমার জন্যে লিখে রেখেছেন। অপরদিকে যদি সকল ক্ষতিই করতে সক্ষম হবে, যতটুকু আল্লাহ্ তা'আলা তোমার তাকদিরে লিখে রেখেছেন। কলম তুলে নেয়া হয়েছে এবং লিখিত কাগজসমূহও শুকিয়ে গেছে।
আবূ ঈসা রহঃ বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ।
সহীহঃ তিরিমিজি ২৫১৬ মিশকাত (৫৩০২), যিলালুল জান্নাত (৩১৬-৩১৮) মুসনাদে আহমাদ ২৬৬৪, ২৭৫৮, ২৮০০।)
ولایسئل غیرہ لان غیرہ غیر قادر علی العطاء والمنع و دفع الضرر جلب النفع الخ۔ (مرقاۃ المفاتیح ۵/ ۹۱)
সারমর্মঃ
অন্যের কাছ থেকে কিছুই চাইবেনা।
কেননা আল্লাহ ব্যাতিত কেহই কিছু দেওয়া,বাধা দেওয়া,ক্ষতি,, দূর করার উপর শক্তি রাখেনা।
★সুতরাং কাউকে গাউসে আজম নামে কাউকে ডাকা জায়েজ নেই।
কেহ যদি এই আকীদায় কাউকে ডাকে যে সে আমার মুশকিল,পেরেশানি দূর করে দিতে পারবে।
তাহলে তার এই আকীদা রাখা স্পষ্ট শিরক।
এতে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে।
,
★কাউকে শুধু আর রহমান বলে ডাকা জায়েজ নয়।
তবে এটি শিরক নয়।