আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
Assalamualikum! Pension er takay shonchoy potro kine tar munafa diye shongshar chole. R kono income source nai. Ai obosthay pension er je mul taka tar nominee kora hoyeche wife r boner meyr name 50% kore. Ukto bektir kono shontan nei. Tobe 4 bon (ek bon mrito)  r ek vai ache. Ekhon ai taka evabe nominee/ bonton kora thik ache ki? R ai munafa sud hishebe dhora hole tar protikar ki? Islamic shoria board porichalito bank e mul taka biniyog korle ja pawa jabe tate shongshar cholbe na. Unar onek boyosh, business ba job kichu koraro upay nai.

1 Answer

0 votes
by (560,820 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

হারাম মাল ভক্ষণ করলে দু'আ কবুল হয় না।
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ} [المؤمنون: ٥١] وَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ} [البقرة: ١٧٢] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟ "
 তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত মুনাফা অর্জন, তাহা ভক্ষন কোনোটাই জায়েজ নেই।
স্পষ্ট হারাম।
,
এক্ষেত্রে উক্ত মহিলা সেই পেনশনের টাকা দিয়ে অন্য কাউকে দিয়ে ব্যাবসা করাতে পারে।
বা প্রশ্নে উল্লেখিত ভাই/বোনদের দিয়েও ব্যবসা করাতে পারে।
কোনো ছোট খাটো যানবাহন ক্রয় করে তাহা ভাড়া দিতে পারে।
কোনো জায়গা /বাসা/ঘর/দোকান ক্রয় করে তাহা ভাড়া দিতে পারে।
বা কাহারো ব্যবসায় এই টাকা ইনভেস্ট করতে পারে,শরিকানা ব্যবসা করতে পারে।
বা অন্য কোনো বৈধ উপায়ে ইনকাম করে চলতে পারে। 
সর্বপরি এই সূদ খাওয়া জায়েজ হবেনা।

আরো জানুনঃ  
,
★পেনশনের টাকা মাইয়্যিত যাদের নামে করে দিয়ে গেছেন,শুধু মাত্র তারাই এর হকদার।
অন্য কেউ নয়।
,
তাই অন্য কেহ দাবীও করতে পারবেনা।  
 
কেননা শরীয়তের বিধান হলোঃ  যদি মৃত ব্যক্তির পেনশন শুধু স্ত্রীর নামেই লিখে গিয়ে থাকে, বা পেনশনের টাকাটি শুধু স্ত্রীর জন্যই কোম্পানী বরাদ্দ কওে থাকে, তাহলে উক্ত পেনশনের টাকায় অন্য কেউ অংশিদার হবে না। শুধু স্ত্রীই এর মালিক হবে।

আরো জানুনঃ 

যদি মৃত ব্যাক্তি পেনশনের টাকা কাহারো নামে করে না দিয়ে যান,সেক্ষেত্রে মিরাসের ন্যায় এটিও বন্টন হবে।
এই টাকা সহ মৃত ব্যাক্তির পুরো  সম্পত্তি ২০ ভাগে ভাগ হবে।
স্ত্রী পাবে (চার ভাগের এক ভাগ) তথা ৫ অংশ।
ভাই পাবে ৬ অংশ।
জীবিত তিন বোনের প্রত্যেক বোন ৩ করে মোট ৬ অংশ পাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

No related questions found

...