আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
356 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (33 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته
بسم الله الرحمان الرحيم
আমার একটি একুয়ারিয়াম আছে এবং সেটাতে ২টা ছোট মাছ আছে। আমি একবার মসজিদের তা'লিমি হাল্কায় ফাজায়েলে সাদাকাত এ পেলাম প্রয়োজনীয় গৃহপালিত জীবজন্তু কে ঠিকমতো না খেতে দিলে এর জন্য শাস্তি রয়েছে হয় তাদের ঠিকমতো খেতে দিতে হবে না হয় আটকিয়ে রাখা যাবে না। পরে আমি ভেবে দেখলাম আমি এটা কিনেছিলাম আমার ৪-৫বছরের ছোট বোনের জন্য যাতে সে টিভি থেকে অনাসক্ত হয়, কিন্তু এই প্ল্যান খুব একটা কাজে দেই নি। তাই এখন মোটামুটি এই মাছগুলো আমার প্রয়োজনীয় নয় কিন্তু ঘড়ের সৌন্দর্যবর্ধক। তাই একটা ভয় কাজ করলো যে এদের খাবার দিচ্ছি ঠিকই কিন্তু এভাবে বন্দি করে রাখাটা কি ঠিক হচ্ছে কিনা। তাই আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেবকে জিজ্ঞেস করলাম যে একুয়ারিয়ামে মাছ শখের বসে পোষা জায়েজ কিনা, তিনি বল্লেন: সমস্যা নেই- কিন্তু এটা বিলাসিতা।

এখন আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। আমি কি মাছ এইভাবে ঠিকমতো খেতে দিয়ে পুষতে থাকবো নাকি কি করবো। আমি মাছের জন্য পানিতে বাতাস ঢুকাবার মেশিন, একুয়ারিয়ামের কাচ এসব যাবতীয় জিনিস কিনে রেখেছি তাহলে এগুলই বা কি করবো?

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।    

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

পাখিকে নিয়মিত খাবার - পানি ও চিকিৎসা দিয়ে খাচায় বন্দী করে সুন্দরভাবে পরিচর্যা করে লালন-পালন করা জায়েয।কিন্তু এক্ষেত্রে যথাযথ পরিচর্যা করতে হবে। পরিচর্যা করতে না পারলে অথবা বন্দি করে রাখার কারণে কষ্ট পেলে খাচায় আটকে রাখা জায়েয হবে না। বরং ছেড়ে দিতে হবে। ( রদ্দুল মুহতার ৬/৪০১)

 কিছু সাহাবী থেকে খাচায় পাখি লালন-পালন করা প্রমাণিত রয়েছে। হযরত হিশাম ইবনে উরওয়া রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

كَانَ ابْنُ الزّبَيْرِ بِمَكّةَ وَأَصْحَابُ النّبِيِّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يَحْمِلُونَ الطّيْرَ فِي الْأَقْفَاصِ.

আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রা. মক্কায় ছিলেন। তখন সাহাবীগণ খাচায় পাখি রাখতেন। (আল আদাবুল মুফরাদ, হাদীস ৩৮৩)

অন্য এক হাদীসে রয়েছে-

عن أَنَسٍ: قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَحْسَنَ النَّاسِ خُلُقًا وَكَانَ لِي أَخٌ يُقَالُ لَهُ أَبُو عُمَيْر، وقال أحبه فَطِيمٌ وَكَانَ إِذَا جَاءَ قَالَ: يَا أَبَا عُمَيْرٍ، مَا فَعَلَ النُّغيْرُ نُغَرٌ كَانَ يَلْعَبُ بِهِ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সবার চেয়ে অধিক সদাচারী ছিলেন। আমার একজন ভাই ছিল; তাকে আবূ ‘উমায়র’ বলে ডাকা হতো। আমার অনুমান যে, সে তখন মায়ের দুধ খেতো না। যখনই সে তাঁর নিকট আসতো, তিনি বলতেনঃ হে আবূ ‘উমায়র! তোমার নুগায়র কি করছে? সে নুগায়র পাখিটা নিয়ে খেলতো। (বুখারী হাদীস নং ৬২০৩; মুসলিম ,২১৫০)

 

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

আপনি মাছগুলোকে নিয়মিত খাবার - পানি দিয়ে সুন্দরভাবে পরিচর্যা করার মাধ্যমে পুষতে পারবেন। এতে আপনার কোন গুনাহ হবে না। তবে যথাযথ পরিচর্যা করতে হবে। যথাযথ পরিচর্যা করতে না পারার কারণে কষ্ট পেলে একুরিয়ামে আটকে রাখা জায়েয হবে না।

 

 

 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...