আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
516 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
edited by
১. যদি স্পর্শ হওয়ার সময় "হুরমত যেন না হয়" এই ভয় কাজ করে এই ভয়ে লিঙ্গ একটু লম্বা হলেও যদিও নিশ্চিত না তাহলে কি হুরমত হতে পারে?

২. ১ নং ক্ষেত্রে লিঙ্গ লম্বা হয়তো পরেই হইছিল তাও আগে না পরে যদি কেউ নিশ্চিত না থাকে তাহলে কি হুরমত হতে পারে?

৩. যদি কখনো কারো প্রতি রাগ করে মনে মনে কেউ বলে ফেলে মন্নের(উত্তরবঙ্গের কোন গালি) নামায পড়ে। এখানে অবচেতন মন ঐ ব্যক্তির অসময়ে বা দীর্ঘ সময় ধরে নামায পড়াকে গালি দিয়েছে, মূল নামাযকে নয়। পরক্ষণেই অনুতপ্ত হলে কি পাপ / ক্ষমা হবে?

৪. একবার আস্তাগফিরুল্লাহ্ পাঠ করে সে গুণা আর না করার নিয়ত করলে কি ক্ষমা পাওয়া যায়?

৫. হুরমত প্রসঙ্গে আমি শাফি বা মালেকি মাযহাব যদি মেনে চলি মনের স্বস্তির জন্য তা কি গ্রহণযোগ্য হবে?

৬. আর কখনো কারো হুরমত হয়ে গেলেও শুধু বাবা-মার ব্যভিচারের গুণাহ হতে থাকবে নাকি সন্তানের উপর ও গুণাহ বর্তাবে?

1 Answer

0 votes
by (547,440 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
যদি নিশ্চিত না হোন,তাহলে শুধু মাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা। 
,
(০২)
যদি আগে না পরে,এই ব্যাপারেও সন্দেহ হয়,তাহলেও হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা। 
,
(০৩)
এক্ষেত্রে তার তওবা করতে হবে।

(০৪)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক্ষেত্রে তওবা করতে হবে।
তওবার শর্ত গুলির মধ্যে অন্যতম একটি শর্ত ভবিষ্যতে সেই কাজটি ছেড়ে দেওয়ার উপর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।
,   
যদি কেহ তওবার সমস্ত শর্ত মেনে খালেছ দিলে আল্লাহর কাছে তওবা করে,আল্লাহ যদি তার তওবা কবুল করেন,তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে ঐ গুনাহ গুলোর জন্য শাস্তি দিবেননা। 

তওবার মাধ্যমে বান্দাহর হক ব্যাতিত সকল গোনাহই ক্ষমা হয়ে যায়।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

وَأَذَانٌ مِّنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الْحَجِّ الْأَكْبَرِ أَنَّ اللَّهَ بَرِيءٌ مِّنَ الْمُشْرِكِينَ ۙ وَرَسُولُهُ ۚ فَإِن تُبْتُمْ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ وَإِن تَوَلَّيْتُمْ فَاعْلَمُوا أَنَّكُمْ غَيْرُ مُعْجِزِي اللَّهِ ۗ وَبَشِّرِ الَّذِينَ كَفَرُوا بِعَذَابٍ أَلِيمٍ [٩:٣] 

আর মহান হজ্বের দিনে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে লোকদের প্রতি ঘোষণা করে দেয়া হচ্ছে যে, আল্লাহ মুশরেকদের থেকে দায়িত্ব মুক্ত এবং তাঁর রসূলও। অবশ্য যদি তোমরা তওবা কর, তবে তা, তোমাদের জন্যেও কল্যাণকর,আর যদি মুখ ফেরাও,তবে জেনে রেখো, আল্লাহকে তোমরা পরাভূত করতে পারবে না। আর কাফেরদেরকে মর্মান্তিক শাস্তির সুসংবাদ দাও। [সূরা তওবা-৩] 

عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ، كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ»

হযরত ইবাদা বিন আব্দুল্লাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, গোনাহ থেকে তওবাকারী গোনাহ করে নাই ব্যক্তির মত হয়ে যায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪২৫০] 
.
তওবার পদ্ধতি সম্পর্কে  বিস্তারিত জানুনঃ  
,
(০৫)
এটি গ্রহনযোগ্য হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...