আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
277 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (18 points)
আসসালামুআলাইকুম।
আমার স্ত্রী জিনের সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছিল।তখন ওকে এক  হুজুরের কাছে নিয়ে যাওয়া হইছিল।সে বিভিন্ন চিকিৎসার পাশাপাশি তাবিজ ও দিয়েছিল।

আমি এমনিতেই ওয়াসওয়াসা রোগী।আমার মনের  মধ্যে সন্দেহ হতে থাকে যে ওনি যদি তাবিজে কোন কুফরী শিরকী লিখে থাকে কিন্তু ওনি তাবিজে কি লিখছে তা জানা সম্ভব হয় নাই। কিন্তু ঘরে কিছু কাগজ লিখে  ওইগুলা একজন আলেমকে দেখাইছিলাম তিনি বলছেন যে এতে কুফরী শিরকী কিছু নাই।।কিন্তু আমার শুধু সন্দেহ হতে থাকে যদি ওনি কুফরী শিরকি কিছু করে তাহলে আমার স্ত্রী যদি ঈমানহারা হয়ে যায় তাহলে আমাদের বিবাহ তো ভেংগে যাবে।
কিন্তু আমার স্ত্রী, আমরা তো তাবিজকে শুধু ওসিলা মনে করে মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইছিলাম।

এমন অবস্থায় আমাদের কি করা উচিত। আমাদের বিয়ের কি কোন সমস্যা হতে পারে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যেহেতু ঐ আলেম সাহেব তাবিজ দেখে আপনাকে বলেছেন যে,তাতে কোনো শিরিক নাই,তাই আপনি ঐ তাবিজ ব্যবহার করতে পারবেন।এতে কোনো অসুবিধে হবে না।ইনশা আল্লাহ।

https://www.ifatwa.info/226 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।তবে গর্ভবর্তী মহিলার জন্য তাবিজ ব্যবহার জরুরী বা উত্তম বলে ইসলামী শরীয়তে কোনো কিছু নেই।তাবিজকে বিভিন্ন টিকামূলক ইনজেকশনের মত মনে করতে পারেন।যা দেওয়া বা না দেওয়া সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত বিষয়।যেমন নিম্নোক্ত হাদীসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি নিজ নাবালিগ সন্তাদিকে তাবিজ লঠকিয়ে দিতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়-

আমর ইবনে শুয়াইব তার সনদে বর্ণনা করেন,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ঘুমে ভয় পায়, তখন সে যেন পড়ে-  'আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত-তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ই'ক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ-শায়াতিনি,ওয়া আইয়াহদুরুন'  এই দু'আ পড়লে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি, তার সাবালক সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দিতেন।এবং নাবালক সন্তাদির গলায় উক্ত দু'আ তাবিজ আকারে লিখে ঝুলিয়ে দিতেন।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৪৭৭)

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি উনার নাবালক সন্তানদের গলায় তাবিজ ঝুলিয়ে দিতেন।হাদীসের সনদের উপর মুহাদ্দিসগণের কালাম রয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (18 points)
আসসালামুআলাইকুম।
আমি আলেমকে তাবিজ দেখাইতে পারি নাই।।।তাবিজ দিছিলো এবং ঘর বন্ধের জন্য কাগজ লিখে দিছিলো।।শুধু সেই কাগজটা দেখাইতে পারছি।।।
তাবিজে কি ছিল জানি না।।।
সেক্ষেত্রে আমাদের বিয়ের ব্যপারে কি কোন সমস্যা হবে?
by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম 
যে তাবিজটা ব্যবহার করা যাবে সেটা তোহ আল্লাহ কালাম থাকে তাহলে ওয়াশরুম যাওয়া  হয় বা মেয়েদের হায়েজ হলে নাপাক থাকে। তাহলে সেক্ষেত্রে তাবিজ পড়া বা ব্যবহার করা কি গুন্নাহ হবে?? কী করণীয় সেই দিক থেকে?
by (597,330 points)
ruhul1219 @ আপনাদের বিয়েতে কোনো সমস্যা হবে না। তবে তাবিজ প্রদাণকারী সম্পর্কে খোজখবর নিবেন, তিনি কিভাবে তাবিজ দেন। সর্বোপরি তাবিজ কবজ থেকে বেচে থাকাই সর্বোত্তম পথ ও মত।
by (597,330 points)
Aziza Tarannum @ যদি তাতে কোরআনের আয়াত থাকে, তাহলে বাথরুমে নেওয়া যাবে না। এবং হায়েয অবস্থায় সেগুলো পরিধান করা যাবে না।  
by (2 points)
 তাবিজে  তোহ  একটা শক্ত স্টিলের মতো একটা জিনিসে মোম দিয়ে আটকিয়ে দেওয়া থাকে।।তাহলে সেটি বাথরুমে প্রবেশের সময় বা হায়েজ সময় ব্যবহার করা যাবে না??
by (597,330 points)
না, নেয়া যাবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 150 views
...