আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
343 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (62 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ। আমাদের বাড়িটি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া হয়েছে। ঐ লোন থেকে প্রাপ্ত টাকা আমাদের অন্য হালাল ব্যাবসাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে, যা আটকা পড়ে আছে। কিন্তু ব্যাংক থেকে নেওয়া টাকা গুলো আমাদের মূল হালাল ব্যাবসাতে মূলধন হিসেবে বিনিয়োগ হয়নি কিন্তু ব্যাবসাতে ব্যাবহৃত হয়েছে। মূল ব্যাবসা থেকেই আমাদের উপার্জন হয়। আমার সুদের কিস্তি এখনো শেষ হয়নি। আর এখনো আমি ব্যাংকে সুদ হারে ঋণ পরিশোধ করছি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এই অবস্থায় কি কি করলে আমার গুণাহ কম হবে এবং আমার ব্যাংকে সুদ হারে টাকা পরিশোধ করার কারণে আমার হালাল উপায়ে উপার্জিত টাকা সমূহ কি হারাম উপার্জন হয়ে যাবে? যতদিন আমি লোন পরিশোধ করছি না, আমি কি অন্য কাউকে আমার বাসায় দাওয়াত দিতে পারব বা হালাল ব্যাবসার টাকা দিয়ে অন্য কাউকে কোন হাদিয়া বা খাবার খাওয়াইতে পারব? এগুলোর সাথে এগুলোর কি কোন সম্পর্ক আছে?

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
اجْتَنِبُوا السّبْعَ المُوبِقَاتِ، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللّهِ وَمَا هُنّ؟ قَالَ: الشِّرْكُ بِاللّهِ... وَأَكْلُ الرِّبَا، وَأَكْلُ مَالِ اليَتِيمِ...
তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে বিরত থাক। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! সেই সাতটি ধ্বংসাত্মক কাজ কী? তিনি বললেন-
১. আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপন করা, ২. জাদু করা, ৩. অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা, যা আল্লাহ নিষেধ করেছেন। ৪. সুদ খাওয়া, ৫. এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করা, ৬. জিহাদের ময়দান থেকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে পালিয়ে যাওয়া। ৭. সতী-সাধ্বী সরলমনা-উদাসীনা মুমিন নারীদের বিরুদ্ধে অপকর্মের মিথ্যা অপবাদ দেওয়া। (সহীহ বুখারী, হাদীস ২৭৬৬, ৬৮৫৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৮৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৮৭৪; সুনানে নাসাঈ, হাদীস ৩৬৭১)

অপর একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-
لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ آكِلَ الرِّبَا، وَمُؤكِلَهُ، وَشَاهِدَيْهِ، وَكَاتِبَهُ.
যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, যে সাক্ষী থাকে এবং যে ব্যক্তি সুদের হিসাব-নিকাশ বা সুদের চুক্তিপত্র ইত্যাদি লিখে দেয় সকলের প্রতি রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা‘নত করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৬৬০; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৩৩৩; জামে তিরমিযী, হাদীস ১২০৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ব্যাংক থেকে আপনি যত টাকা সুদ নিয়েছেন, এবং এই সুদের টাকা যে যে ক্ষেত্রে আপনি বিনিয়োগ করেছেন, সেই সব ক্ষেত্র থেকে আপনি কি লাভ গ্রহণ করতে পারবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বলা যায় যে, এ সম্পর্কে দু-রকম বক্তব্য পাওয়া যায়, কেউ বলেন, সুদ গ্রহণ হারাম হলেও এর দ্বারা অর্জিত মুনাফা হালাল। আবার কেউ বলেন, সুদ গ্রহণ হারাম সুতরাং এই সুদের টাকা দিয়ে যা কিছু লাভ হবে, তার সবগুলোই হারাম বলে বিবেচিত হবে।

আপনি আল্লাহর কাছে তাওবাহ করেন, এবং ভবিষ্যতে আর কখনো সুদে ধার করবেন না বলে আল্লাহর কাছে পাক্কা ওয়াদা করুন। আল্লাহ অবশ্যই ক্ষমা করে দিবেন। কাউকে দাওয়াত বা হাদিয়া দিতে হলে আপনি আপনার হালাল মাল থেকেই হাদিয়া দিবেন ও দাওয়াত খাওয়াবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...