ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনি যদি বৃত্তির টাকার সম্পূর্ণ উপযোক্ত হন, তাহলে আপনার জন্য উক্ত বৃত্তির টাকা গ্রহণ করা অবশ্যই জায়েয হবে। আর যদি আপনি বৃত্তির টাকার ক্যাটাগরির ভিতর না পড়ে থাকেন, তাহলে আপনি উক্ত বৃত্তির টাকা গ্রহণ করতে পারবেন না। তখন আপনার জন্য উক্ত বৃত্তির টাকা গ্রহণ করা কখনো জায়েয হবে না।
ঘুষ কবিরা গুনাহ সমূহের একটি। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟﺮَّﺍﺷِﻲ ﻭَﺍﻟْﻤُﺮْﺗَﺸِﻲ .
ঘুষ প্রদাণকারী ও গ্রহণকারী উভয়ের উপর রাসূলুল্লাহ সাঃ লা'নত দিয়েছেন। (মুসনাদে আহমদ-৬৭৯১সুনানে আবু-দাউদ-৩৫৮০)
ঘুষ দেওয়া ব্যতীত যদি নিজ প্রাপ্য হক আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে এমতাবস্থায় ঘুষ দেয়া জায়েয। অন্যথায় ঘুষ দেয়া হারাম। তবে ঘুষ গ্রহণ করা সর্বাবস্থায়-ই নাজায়েয ও হারাম।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যদি বৃত্তির সম্পূর্ণ উপযোক্ত কেউ হন, তাহলে আপনার জন্য উক্ত বৃত্তি গ্রহণ করা জায়েয। এবং আপনার বন্ধু বা অফিসের লোককে টাকা দেওয়াও আপনার জন্য বৈধ । নতুবা আপনার জন্য বৈধ হবে না।