আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (39 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ, একটা সমস্যার বিধান প্রয়োজন ছিলো। কিছুদিন পূর্বে আমার এক বন্ধু ইনবক্সে আমার হল আইডি কার্ডের ছবি চায়। তার উপরে বিশ্বাস থাকায় কোন প্রশ্ন করা ছাড়াই তাকে আমার হল আইডি কার্ডের ছবি পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করি কি জন্য নিলো। সে জানিয়েছিলো শিক্ষা মনণালয়ের এক বৃত্তির জন্য সে নিয়েছে৷ আমি ভেবেছি সে আমার হয়ে এপ্লাই করে দিবে। তো এজন্য আর কিছু বলি নি। পরবর্তীতে সরকার বৃত্তির লিস্ট দিলে সেখানে আমার নাম দেখতে পাই যেখানে ১০ হাজার টাকা পাবার কথা। এ ব্যাপারে তার সাথে কথা প্রসঙ্গে জানতে পারি আমাদেরই আরেক বন্ধু তার পরিচিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চাকুরীরত একজনের মাধ্যমে আমাদের (আমি সহ আমাদের পরিচিত আরো অনেকের) বৃত্তির ব্যবস্থা করেছে যার জন্য বৃত্তির টাকার কিছু অংশ সেই লোককে এবং কিছু অংশ আমার ওই বন্ধুকে দিতে হবে। আমি আগে এই ব্যাপারে জানতাম না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে উল্লেখিত সুরতে উক্ত টাকার কোন অংশ গ্রহণ কি আমার জন্য জায়েজ হবে।

জাজাকাল্লাহ খাইরান

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনি যদি বৃত্তির টাকার সম্পূর্ণ উপযোক্ত হন, তাহলে আপনার জন্য উক্ত বৃত্তির টাকা গ্রহণ করা অবশ্যই জায়েয হবে। আর যদি আপনি বৃত্তির টাকার ক্যাটাগরির ভিতর না পড়ে থাকেন, তাহলে আপনি উক্ত বৃত্তির টাকা গ্রহণ করতে পারবেন না। তখন আপনার জন্য উক্ত বৃত্তির টাকা গ্রহণ করা কখনো জায়েয হবে না। 

ঘুষ কবিরা গুনাহ সমূহের একটি। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟﺮَّﺍﺷِﻲ ﻭَﺍﻟْﻤُﺮْﺗَﺸِﻲ .
ঘুষ প্রদাণকারী ও গ্রহণকারী উভয়ের উপর রাসূলুল্লাহ সাঃ লা'নত দিয়েছেন। (মুসনাদে আহমদ-৬৭৯১সুনানে আবু-দাউদ-৩৫৮০)

ঘুষ দেওয়া ব্যতীত যদি নিজ প্রাপ্য হক আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে এমতাবস্থায় ঘুষ দেয়া জায়েয। অন্যথায় ঘুষ দেয়া হারাম। তবে ঘুষ গ্রহণ করা সর্বাবস্থায়-ই নাজায়েয ও হারাম।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/604

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যদি বৃত্তির সম্পূর্ণ উপযোক্ত কেউ হন, তাহলে আপনার জন্য উক্ত বৃত্তি গ্রহণ করা জায়েয। এবং আপনার বন্ধু বা অফিসের লোককে টাকা দেওয়াও আপনার জন্য বৈধ । নতুবা আপনার জন্য বৈধ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (39 points)
জ্বী শায়েখ, বৃত্তির জন্য উপযুক্ত। যে সব বৈশিষ্ট্য ছিল তা আলহামদুলিল্লাহ পূরণ হয়েছে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...