বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব।কার উপর ওয়াজিব?এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
مِنْهَا الْيَسَارُ وَهُوَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبِ صَدَقَةِ الْفِطْرِ دُونَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبُ الزَّكَاةِ،
এই পরিমাণ ধনবান ব্যক্তির উপর কুরবানি ওয়াজিব,যে পরিমাণ ধনসম্পত্তি থাকার কারণে কারো উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয়।যাকাত ওয়াজিব হওয়ার নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া শর্ত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/২৯২, কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/১৩১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার মাতাপিতা যেহেতু নেসাব পরিমাণ মালে গায়রে নামী(অক্রমবর্ধমান) এর মালিক। তাই তাদের উপর কুরবানি ওয়াজিব। এবং আপনার নিকটও যদি কুরবানির দিন সমূহের কোনো একদিন নেসাব পরিমাণ তথা ৫২ ভড়ি রুপার সমতুল্য টাকা থাকে,তাহলে আপনার উপরও কুরবানি ওয়াজিব, নতুবা ওয়াজিব হবে না,কেননা এছাড়া আপনার নিকট আর কোনো জমিজামা নেই।
আপনি যখন আপনার মাতাপিতাকে উক্ত টাকা দিবেন,তখন যদি আপনি তাদেরকে এ নিয়তে টাকা দেন যে,তারা একটা গরু ক্রয় করবে,এবং উক্ত গরুতে আপনার একটি নাম থাকবে,তাহলে তারা গরুতে দুই নাম দিলেও আপনার কুরবানি আদায় হয়ে যাবে।কেননা গরুতে সর্বমোট সাত নাম পর্যন্ত দেওয়া যায়।আর যদি আপনি টাকা দেওয়ার সময় তাদেরকে উক্ত টাকার মালিক বানিয়ে দেন,তাহলে আপনার কুরবানি আদায় হবে না।আপনার নিকট নেসাব পরিমাণ মাল থাকলে আপনাকে আবার কুরবানি দিতে হবে।