আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
161 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। আমার এক বোনের প্রশ্ন কপি-পেস্ট করছিঃ

আমি জেনারেল ব্যকগ্রাউন্ডের একজন সাধারণ বোন। ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা অবিরাম চালিয়ে যাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ যতটুকু তৌফিক দিচ্ছেন। আমি দ্বীনি বোনদের নিয়ে একটা গ্রুপ খুলেছি, সেখানে সাধারণ রিমাইন্ডারমূলক বিভিন্ন বিষয় ( যেমন সাপ্তাহিক সুন্নাহ সিয়াম, গীবত থেকে বাঁচা, তাহাজ্জুদ, আইয়ামে বীদের সিয়াম, রমাদ্বানকে কাজএ লাগানো, জিলহজ্জকে কাজে লাগানো ইত্যাদি) হাদিসের রেফারেন্সসহ বা আয়াতের রেফারেন্সসহ প্রদান করা হয়, কখনো বা জুমে এই সাধারণ রিমাইন্ডারগুলো দেওয়া হয়। কখনোই ফতোয়াজাতীয় কিছু, বা মৌলিক কোনো জ্ঞান যেমন আক্বীদা, তাজউইদ এগুলো গ্রুপ থেকে শিখানো হয় না যেহেতু এগুলোর যোগ্যতা আমার নেই, আমি শিখছি। আমি তা-ই বলি গ্রুপে যা সহীহ হাদিসে বর্ণিত বিভিন্ন আ'মল, হয়তো বা অনেকে আগে থেকেই জানে, তাও রিমাইন্ডারস্বরূপ দেওয়া, বলা। এক্ষেত্রে আমি আমার অন্তরকে রিয়া থেকে মুক্ত রাখার জন্য আমার কোনো পরিচয় প্রদান করি না গ্রুপের বোনদের, আমি এও দাবি করিনা আমার কোনো ইল্মী যোগ্যতা আছে। আমি সবসময়ই বলি আমার ইল্মী কোনো যোগ্যতা নেই, জেনারেলেই পড়ি, স্রেফ হাদিস বা আয়াতের ভিত্তিতে আমলের রিমাইন্ডার দিই। এখানে আমার দুনিয়াবি শিক্ষাগত পরিচয় অন্য বোনদের কতটা জানা জরুরি আমি তা জানতে চাচ্ছি।
এই প্রেক্ষাপটে আপনার কাছে প্রশ্ন, এক্ষেত্রে আমি যে আমার পরিচয় গোপন রাখছি এতে কী কোনো সমস্যা আছে? আমি যেহেতু মৌলিক কিছু শিখাচ্ছি না,স্রেফ আমল নিয়ে কথা বলছি, তাই তাদেরকে আমার দুনিয়াবি পড়ালেখার পরিচয় দেওয়া কি এখানে অত্যাবশ্যক? অনেক বোন আমার নিয়াত না দেখেই পরিচয় গোপন রাখা নিয়ে বিভিন্ন কুধারণা ও মন্তব্য করছেন, তাই নিশ্চিত হতে ফতোয়া জানতে চাইছি।
জাঝাকুমুল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (574,590 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হ্যাঁ আপনি এই ভাবে দাওয়াতের উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করতে পারবেন।
আপনাকে কিছুরই পরিচয় দেওয়া আবশ্যক নয়।  

তবে আপনি কোনোভাবেই কোনো মাসয়ালার জবাব দিবেননা।
,
সাধারণ ব্যাক্তিদের জন্য ফতোয়া প্রদানের কোনো সুযোগ নেই।
কারন এই বিষয়ে রাসুলুল্লাহ সাঃ অনেক কঠোর ভাবে নিষেধ করেছেন।      
,
আবু দাউদ শরীফের ৩৬৫৭ নং হাদীসে এসেছে 

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ يَعْنِي ابْنَ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أَفْتَى ح وحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي نُعَيْمَةَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ الطُّنْبُذِيِّ، رَضِيعِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أُفْتِيَ بِغَيْرِ عِلْمٍ كَانَ إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ»

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে ফতোয়া দেয়া হয় ...। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে অজ্ঞতা প্রসূত ফতোয়া দেয়া হয় তার পাপ ফাতাওয়াদানকারীর উপর বর্তাবে। 

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...